তবু সে ঘুরছে
মা ভাল নেই। মা অসুস্থ।
তাই অসুস্থ তার সন্তান। সন্তানেরা।
লক্ষ কোটি কোটি অগুনতি সন্তানেরা।
তবু সে ঘুরছে। প্রদক্ষিণ করে চলেছে সূর্যকে।
অসুস্থ শরীরেও। সে ভালো নেই।
অপুষ্ট সন্তানদের বুকে করে সে ঘুরছে
আমাদের তার না হলেও চলত
তাকে না হলে চলবে না আমাদের
যদি শান্তি চাও
যদি শান্তি চাও, দোষ দেখো না – বহুশ্রুত মা সারদার উক্তি বা উপদেশ। কিন্তু... - একটা 'কিন্তু' তবু খচখচ করে। সেটা কি করে সম্ভব? তবে কি উনি মৃত্যুশয্যায় একটা গোলমেলে কথা বলে গেলেন? তা কি করে হয়?
এ কথাটা বহুবার ভেবেছি। ভুল না ধরলে শুধরাব কি করে? যার যেটা ভুল সেটা তাকে বলব না? সে তো আরো বিপথে যাবে? এরকম নানান তর্ক যুক্তি মাথার মধ্যে ঘোরে।
যতটা জল ভরা
জল তরঙ্গের আওয়াজ শুনেছ?
যতটা জল ভরা
তার ওপর হয় সুরের হেরফের
তোমার বুকে কতটা জল ভরা?
প্রতিশ্রুতি
ওঠো
জানলাটা খোলো। দরজাটা খোলো।
ওরা অনেকবার তোমার দরজায় টোকা দিয়ে গেছে।
কারা?
এক নদী জল
আর এক আকাশ তারা
মলাটটা ছেঁড়ো। ভূমিকাটা মোছো।
ওরা অনেকবার এ পাশ ও পাশ করে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কারা?
এক পাহাড় স্বপ্ন
আর একমুঠো স্বচ্ছ কবিতারা
আড়ি
মৃত্যুকে কতবার বলেছি আড়ি
যা যা যা
নেব না তোকে খেলায়,
যাব না তোর বাড়ি
আড়ি আড়ি আড়ি
ব্রত
আমি ধ্রুবসত্য কি জানিনি
খুঁজিনিও কোনোদিন
আমার বুকের ভিতর থেকে
মিথ্যাকে স্বীকার করিনি কোনোদিন
যত রমনীয়, যত মনোহর
যত আরামের, যত কমনীয়
সে হোক
অসহ রাত, অসহ বিচ্ছেদ
অসহ বিভীষিকা, অসহ পথ
হয়েছে সহনীয় অবশেষে
অন্তঃবাসী
হৃদয় ঈশ্বরের চেয়েও রহস্যময়
তবু সেই হৃদয়েই ফিরে আসি
সেই একমাত্র যে ঈশ্বরের মতই শুদ্ধ
অনাদি অনন্ত অন্তঃবাসী