লাস্ট পিরিয়ডটা হবে আসবে দাদা?
আজ খবরের কাগজ জুড়ে পড়লুম, B.1.617.2 নাকি বেজায় গায়ে পড়া, ভ্যাক্সিনের কোনো বাধা মানেনিকো, আর রুগীরে একদম তেনার দুয়ার অবধি নাকি নাকানিচোবানি খাওয়াতি পারে। তেদ্রোস এমনিতেই ত্রাসবাহক। তায় আবার বলছে এ নাকি ভীষণ চিন্তার কারণ। বলি হ্যাঁ গা, ভীষ্মের শরশয্যার কথা শাস্ত্রে পড়েছিলুম, টিভিতে দেখেছিলুম। একি আমাদের জগতজোড়া সেই দশায় নিয়ে যেতে চাইছে নাকি গা?
পদ্মপাতা
শঙ্করাচার্য লিখেছিলেন, জীবন পদ্মপাতায় জলের মত চঞ্চল।
ব্যাসদেব লিখলেন, পদ্মপাতায় জলের মত নিরাসক্তভাবে বাঁচো।
পদ্মপাতায় বৃষ্টির জল জমেছে।
চাঁদের প্রতিচ্ছবি টলটল করছে।
আমি কি মুখ ফিরিয়ে নেব?
আমি কি অপেক্ষা করব জলটা গড়িয়ে পড়ার?
"তখন পাতায় পাতায় বিন্দু বিন্দু ঝরে জল
শ্যামল বনান্তভূমি করে ছলোছল"।
বেজায় সত্যি গল্প
কি বলব তোমাদের! আমি সেদিন মাস্কটাস্ক পরে, বাজার করে ফিরছি, হঠাৎ স্কুলের বাইরে দিয়ে যাওয়ার সময় শুনি কি হট্টোগোল! এদিকে আমি তো জানি সব স্কুলটুল বন্ধ। তবে? হঠাৎ করে সব খুলে গেল নাকি? তোমরা বললে বিশ্বাস করবে না, একটু উঁকি দিয়ে তাকিয়ে তো আমার চক্ষুচড়কগাছ!
দাগ
এমনকি জগদীশ যখন ইতিমধ্যে মৃত স্ত্রী'র শরীরটা টুকরো টুকরো করছে, তখনও তার মনে হচ্ছে সে ঠিক করছে। ঝুম্পা যখন জগদীশের করাল মুষ্টির মধ্যে থেকে শ্বাস নেওয়ার জন্য ছটফট করছিল তখনও জগদীশের মনে হচ্ছিল সে ঠিক করছে।
মৎস সাগর
মাছের বাজারে গিয়ে বুঝলেন গন্ধবোধটা তো একেবারে গেছে! এইবার?
এক একটা মাছ এনে এনে নাকের কাছে ধরেন, শোঁকেন, রাখেন, ঘামেন, আবার মাছ ধরেন, তোলেন, শোঁকেন, ঘামেন, রাখেন।
নৈবেদ্য
রবীন্দ্রনাথে ফেরার দরকার হয় না, রবীন্দ্রনাথে তো বাস। 'নৈবেদ্য' যখন রিফ্লেক্ট পাবলিকেশান সাত টাকায় বার করল, প্রায় দুশো কপি কিনে ফেললুম। যে আসে তাকেই দিই। যেন সদ্য বেরোনো কোনো কবির কাব্যগ্রন্থ। কেন? জানি, আবার জানি না। যেটা জানি সেটা হল, এ কাব্যগ্রন্থ অনেক ঝড়ের রাতে আগলে রেখেছে। যা জানি না তা হল কি করে আগলে রেখেছে তা বুঝি না। সব বোঝার কি ব্যাখ্যা হয়?
এমনই দুঃসময়
এমনই দুঃসময়
"মানবিক" হওয়াও
খবরের শিরোনাম হয়
যদি ভালোবাসবে
যদি ভালোবাসবে
তবে একটু সরে দাঁড়াও
একটু ছেড়ে দাঁড়াও
তোমায় কে বলল
গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়ানোকেই ভালোবাসা বলে?
যদি ভালোই বাসবে
তবে ভালোবাসার মধ্যে
একটা নীলাকাশ বৈরাগ্য রেখো
দেখবে
ভালোবাসা ফাঁস হবে না
সংস্কৃতিপ্রবণ বাঙালি মন
গতকাল বাংলা নিউজচ্যানেলগুলোর সাংবাদিকেরা বেশ বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন এই নিয়ে বিস্তর লোকজন বিস্তারিত লিখছেন, আপত্তি জানাচ্ছেন, বকাঝকা করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি মানলুম। কিন্তু আপনারা আর কিছু দেখলেন না? মানে খেয়ালই করলেন না? মানে আপনাদের সংস্কৃতিপ্রবণ বাঙালি মনে চোখেই পড়ল না? হায় হায়! অগত্যা আমিই বলি।
কথা হয় না
কথা হয় না
দেখা হয় না
মন ঘুরে ফিরে তাকায়
বলে,
কথা হয়নি
দেখা হয়নি
আশা উন্মুখ হয়ে বলে,
হবে, হবে।
অভিমান বলে,
না হলেই বা কি!
ব্যথা বলে
এখন এ সব কথা না হয় থাক