Skip to main content

একদিন আমারও একজন 'মা' ছিল

একদিন আমারও একজন 'মা' ছিল

আজ নেই

একদিন আমিও শান্ত সুখী ছিলাম

আজ নই

একদিন আমারও একজন 'মা' ছিল

আজ নেই

একদিন আমারও খেলে পেট ভরত
একদিন আমারও শুলে ঘুম আসত
একদিন আমারও জামা নতুন হত

আজ কই?

একদিন আমারও একজন 'মা' ছিল
আজ নেই

একদিন আমারও চোখ শুকনো থাকত
আজ কই?

মানুষ

সদ্যোজাত মানুষের পাশে
  মানুষকেই দেখেছি প্রসন্ন মুখে
    কোনো দেবতাকে নয়

মৃত মানুষকে কাঁধে নিয়ে
  মানুষকেই দেখেছি সাশ্রুনয়নে
    কোনো দেবতাকে নয়

অরণ্য দাবী করো

একটা গাছ কোনোদিন লাগালে না,
আজ গোটা অরণ্য দাবী করো

কি স্পর্ধা তোমার!

আম্বেদকরজী

ডিসেম্বরের 9 তারিখ, 1946, বি আর আম্বেদকরজী একটা বক্তব্য রাখেন আসন্ন গণতন্ত্রের আনুষ্ঠানিক সূচনার উপর। তা পড়তে পড়তে বেশ কিছু জায়গায় চমকে উঠতে হল। মনে হল প্রতিটা কথা কি সাংঘাতিক রকম প্রাসঙ্গিক আজও। অতবড় ভাষণটা তো আর দেওয়া যায় না, তার কিছু কিছু অংশ, যা আমাকে ভাবালো, তা তুলে দিলাম আম্বেদকরজীর ভাষাতেই।

যোঝাযুঝি

হাত ডুবিয়ে স্রোত ছুঁয়ে থাকি
  মুঠো তো করি না,
     তল পাওয়ার লোভে
          যোঝাযুঝিও না

কেমন আছি

কে বলল আমি মিথ্যা বলতে পারি না
কেমন আছি, একবার জানতে চেয়ে তো দেখো!
~ গুলজার

কাকচক্ষু

সেদিন আমায় কে একজন জিজ্ঞাসা করল,
     "আচ্ছা, এতদিনের সম্পর্কে আপনারা কি পেলেন?"

ভাবলাম কথাটা।
  তাই তো, কি পেলাম?
না তো তোমায় নিয়ে বিদেশ গেছি
   না তো একখানা কবিতার বইও তোমার নামে উৎসর্গ করেছি
   না প্রাসাদ গড়েছি
        না তো আমরা হীরে জহরতে ঢেকে গেছি

কখনও কখনও

কখনও কখনও
   কাউকে কাউকে
     ভালোবাসতে আত্মসম্মানে বাধে

খ্রীষ্টের বেধেছিল কিনা জানা নেই
   তবে কিছু ভালোবাসায় সাড়া দিতে
          সন্ন্যাসের বর্ম আলবাত লাগে

রামভরণ


---
রামভরণ তার পাঁচ বছরের বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে ফুটপাথের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সামনে মথুরা বিল। চাঁদ উঠেছে বেশ কিছুক্ষণ হল। একটা বড় কাঁসার থালার মত চাঁদ জল থেকে কয়েক হাত উঁচুতেই। জল তো নয়, যেন গামলা গামলা দুধ ফেলা। রামভরণের বাড়ী বিহারের কোন এক অখ্যাত গ্রামে। রামভরণ বহু বছর হল বাড়ি যায় না। ভাইয়ে ভাইয়ে জমি নিয়ে অশান্তি তার আর ভাল লাগে না।

চাকা চাই চাকা

এই যে চুপ করে ঘন্টাখানেক ধরে ট্রেনের সিটে চুপ করে বসে আছি, সে ট্রেনটা চলছে বলেই যে না! নইলে কখন অস্থির হয়ে এটা-সেটা করে নিজেকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলতাম।
ওই যে, চোখ বন্ধ করে, ১০৮টা রুদ্রাক্ষ গেঁথে গেঁথে মালা বানিয়ে মানুষটা জপ করছে। ও একটা বসার সিট খুঁজছে। মনটাকে মন্ত্রের চাকায় চড়িয়ে দিয়ে, একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। নইলে মনটার বায়নায় বায়নায় মানুষটার এক মুহূর্ত বসার জো আছে!

Subscribe to