Skip to main content

এক কোপে নাশে


নিদ্রামগ্ন তীর্থযাত্রীগণ 
নিদ্রাহারা তারকামালা রহিয়াছে চাহি, যেন সশস্ত্র প্রহরী ওরা 
                          বিস্তীর্ণ মরুভূমি মাঝে,

এখনও গুনতি চলছে


ঈশ্বর, আপনার মাথায় যত না শপথের বোঝা
তার চাইতে লক্ষগুণ বেশি ভাঙা শপথের ভার

আপনি একটু জিরিয়ে নিন ঈশ্বর
এখনও গুনতি চলছে

প্রতিশব্দ আছে, শব্দ নেই

আমার বাথরুমে সাবান, ফিনাইল, ব্লিচিং, কমোড - সবার গায়ে ইংরাজি লেখা। কারণ আমি একজন বহুভাষী দেশের নাগরিক।
আমার বসার ঘরে শোয়ার ঘরে ফ্যানের গায়ে, টিভির গায়ে, কম্পিউটারের গায়ে, বইয়ের মলাটে প্রকাশকের নামে, ক্যালেণ্ডারে, আলমারির চাবির সংখ্যায়, এমনকি ঠাকুর ঘরের ধূপের প্যাকেটে ইংরাজি অক্ষরমালা ছড়িয়ে। কারণ আমি একজন বহুভাষিক, উন্মুক্ত বাজারি সভ্যতার নাগরিক।
...

ভারত তুমি কার?

        বিহারের ভূমিকম্পের জন্যে একবার গান্ধীজী বিহারের মানুষের অস্পৃশ্যতা প্রথাকে দায়ী করেন। বলেন অস্পৃশ্যতার মত এক অমানবিক প্রথাকে মেনে চলায় ঈশ্বর ক্রুদ্ধ, তাই এই ভূমিকম্প। 

সত্য


যে চলতে চলতে দাঁড়িয়ে পড়ে
দাঁড়িয়ে পড়ে পিছন ঘুরে
    সবার চলা আড়াল করে, 
       বলে ওঠে গম্ভীর স্বরে -
               'ইহাই সত্য'

তাকে আমি এড়িয়ে চলি

কোফি আন্নান

        এই মানুষটাও চলে গেলেন। খুব ক্ষুদ্র একটা জায়গা থেকে পথ চলা শুরু করে UN এর সর্বোচ্চ পদ, বিশাল গল্প। একবার ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ওনার জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে। উনি একটা গল্প বলেন। আমার স্কুল জীবনে পেপারে পড়েছিলাম। গল্পটা এরকম - 

কোনো কবিতাই


আসলে তো একটাও কবিতা পুরো লেখা হয়নি আজ অবধি
একটা স্লেট হাতে 
  জঙ্গলে, গাছের ডালে, গুহায় যে মানুষটা নগ্ন হয়ে
          বা কখনও ছাল-বাকলা গায়ে 

বাদামগুলোর মত


মন্দিরের গায়ে গায়ে অনেক গর্ত
পায়রা, মাকড়সা, পিঁপড়ের জমায়েত
মানত করা লাল কাপড়, সিঁদুরের খালি ডিব্বা, ভাঙা চিরুনি 
এরকম অনেক কিছু থেকে যায়
ভাঙা, ফেলে দেওয়া, অবহেলার সংসার গড়ে ওঠে অলক্ষ্যে
একদিন কারোর শুচিবায়ু চোখে পড়ে 
অবহেলার সংসার আবর্জনা হয়ে যায় নিমেষেই

আমি যেখানে


আমি যেখানে নির্ভাষ 
আমি যেখানে অন্তরিন নগ্ন
আমি যেখানে মহাকাশের কালহীন আবর্ত
আমি যেখানে গভীর জঙ্গলে ফোটা কোনো অখ্যাত ফুলের সহচর 
আমি যেখানে বিস্তীর্ণ মরুভূমির একটি নির্বিশেষ বালুকণা

Subscribe to