Skip to main content

ক্ষণ ও সুর

        মানুষ বাণীতে বাঁচে। অতীতে বাঁচে। আক্ষেপে বাঁচে। ক্ষোভে বাঁচে। ঈর্ষায় বাঁচে। প্রতিযোগিতায় বাঁচে। ছলনায় বাঁচে। ক্রোধে বাঁচে। বিষণ্ণতায় বাঁচে। অপমানে বাঁচে। অহঙ্কারে বাঁচে। হীনমন্যতায় বাঁচে। রোগে বাঁচে। অভাবে বাঁচে। প্রাচুর্যে বাঁচে। মধ্যবিত্ততায় বাঁচে। অলসতায় বা

শান্তি

বললাম, শান্তি
ঘুমিয়ে পড়লে
বললাম, শান্তি
চোখে ঠুলি পরলে
অথচ একবারও দুটো বিরুদ্ধ স্রোতের মাঝে
পাটাতনটা খুঁজে দেখলে না

মানুষটা হাস্পাতালের বিছানায় শুয়ে

        মানুষটা হাস্পাতালের বিছানায় শুয়ে। কয়েক মাস হল। বয়েস হয়েছে, লোকে বলে। এখন মারা গেলে অস্বাভাবিক হবে না, তিনিও বিশ্বাস করতে চান। তবু কান্না পায়। প্রস্টেট ক্যানসার, সারা শরীর ছড়িয়ে গেছে। 

পলাশ

        বাচ্চাটার জামায় নীল বোতাম। সাদা সুতোতে সেলাই। বাচ্চাটার লাল জামাটা একটু ছোটো। নীল হাফ প্যান্ট। পার্কের একটা কোণে বসে মোবাইলে গেম খেলছে।

তত্ত্বকথা


বুকের মধ্যে পায়েস ভরতি কাঁসার বাটি
তর্জনী ডুবিয়ে বসে

অন্ধকার ঘরে পোড়া সলতের গন্ধ


অন্ধকার ঘরে পোড়া সলতের গন্ধ

ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা হয়ে আসা প্রদীপের বুক

শিউলির হাতছানিতে স্মৃতির ব্যথার অভিসার

পূর্ব আকাশে খোলা জানলার

      প্রাগৈতিহাসিক প্রতীক্ষা

জিভ

        বাচ্চাটার মুখে একটাই কথা, আমি বড় চিপসটা খাব। মা মুখের দিকে তাকিয়ে বড় চিপসটা হাতে দিয়ে, চারদিকে তাকাল। চিপসের প্যাকেটটা মাটিতে পড়েছিল, মা কুড়িয়ে পেয়েছে। মুখটা খোলা, তবু, বাচ্চাটা চাইছে, কি আর হবে?!

ফুলটা নিঃশব্দেই ফুটেছিল

ফুলটা নিঃশব্দেই ফুটেছিল
তাকাবো না-ই ভেবেছিলাম

আঙুলে কাঁটা ফোঁটার পর বুঝলাম
    অজান্তেই তাকিয়েছিলাম
 

কিছু না

হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল

সন্ধ্যের আকাশের সামনে দাঁড়িয়ে বললাম
    হারিয়ে গেল

সন্ধ্যের আকাশ বলল, একটু দাঁড়াও

সারারাত দাঁড়িয়ে রইলাম

শেষ রাতে হলাম অধৈর্য, বললাম
    কিছু বললে না যে

Subscribe to