Skip to main content

ভিতরে এসেছি


বেঁধে রাখব তো বলিনি
বাঁধা পড়েছি
তোমায় চাইতে এসেছিলাম
নিজেকে নৈবেদ্য করে বেঁচেছি
তুমি পাশের পাড়ায় থাকো
নাকি সুদূর হিমালয়ে
একে তাকে প্রশ্ন করেছি
আমার দরজার কাছে
তোমার চরণচিহ্ন দেখে
এক দৌড়ে ভিতরে এসেছি

সরে বাঁচা


একটু সরে সরে বাঁচার অভ্যাস এখন
বেশি গায়ে গায়ে থাকলে উত্তাপ বাড়ে
বাঁকা চোরা গলিতেই পেয়েছি সোজা পথ
তর্ক যুক্তির বেড়াজাল টপকে মাঠে এখন।
কানে আঙুল দিয়ে ফাঁকা পেট বাচ্চাটার কান্না ভুলি না,
ফাঁকা পেটে আমারও বমি পায়।
দুটো হাত প্যান্টের পকেটে ভরে
নিজের কথা ভাবতে ভাবতে যারা অন্যের কথা শোনে
ওদের দুয়ো দিয়ে, ওদের পিছনের রাস্তায় নেমে গেছি,

নতুন

রোজই ভাবি, আর না
প্রেম করব অন্য কারোর সাথে

হয় কই?
রোজ সকালে তোমাকেই
         নতুন রকম লাগে

তাই হোক

আমি না ভালবাসলে যদি ভাল থাকো
তো থাকো
তবে এমন না হয় দেখো
নিজেকে ভালোবাসার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছ

আমি না চাইলে, যদি সুখে থাকো
তো থাকো
তবে এমন না হয় দেখো
নিজেকেই আর চাইতে ইচ্ছে করছে না

আমি না হয় দূরেই থাকলাম
তবে নিজের থেকে দূরত্ব না হয় দেখো

মরণ সাক্ষী

আমি তোমায় অনন্তকাল চাই
বুকের মধ্যে এক সমুদ্র কান্না
দু'হাত দিয়ে তোমায় বুকে চেপে
হারাবার ভয় তবু নিঃশেষ হয় না

দু'চোখ তোমার মুখের দিকে চেয়ে
সূর্য্য চন্দ্র বালি ঘড়িতে আটকে
কথাগুলো বোবা ব্যাকুল চাওয়ায়
ঠোঁটের কোণে থরথরিয়ে কাঁপছে

অনর্থক

বিশ্বাস না হয়
কানে আঙুল দাও
দুচোখ ঢাকো হাতে
পায়ে শিকল লাগাও

দেখো, তবু তোমার হৃদয় চলছে
তুমি বেঁচে আছো আজও, এখনও
            বিশ্বাস করো!

PK

PK দেখলাম। হতবুদ্ধি হলাম। একজন ভিনগ্রহবাসীর চোখে ভারতবর্ষের প্রচলিত ধারণাগুলিকে বোঝার চেষ্টা। ভেবেছিলাম সিনেমাটি গভীর তাৎপর্য ও চিন্তাপ্রসূত হবে। হল বিপরীত।

ভুলিও না

পথ বদলাতে পারো
গতি বদলাতে পারো
দিশা বদলিও না

রামের শ্যামের যুক্তি দিয়ে
নিজেকে ভুলিও না

সামনে যেতে পারো
পিছনে সরতে পারো
চলা থামিও না

ছন্দ ভেঙে নতুন ছন্দ খুঁজো
গান হারিয়ে না

ওদিকে

নরহরিবাবু প্রায় তিরিশ বছর হল ইছাপুর থেকে ডেলিপ্যাসেঞ্জারী করছেন।ইদানীং একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। উনি ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারছেন না, ঠিক কি হচ্ছে।
     উনি বাড়ি ফেরেন প্রায় রাত আটটার কাছাকাছি। স্টেশানে নেমেই কোনো একজন অপরিচিত মানুষের সাথে উনি কোনো পরিচিত মুখের আদল পান। শুধু তাই না, সেই পরিচিত মানুষের সাথে নরহরিবাবুর দেখা হবেই, সেদিন না হলে পরের দিন তো অবশ্যই।

তমোনাশ

শিষ্য দাঁড়ালেন গুরুর সামনে
অহংকারে পূর্ণ হৃদয় তার
গুরু নামালেন চোখ
শিষ্য হলেন গর্বিত
স্বয়ং গুরু ফেরান নিজ দৃষ্টিপাত!

Subscribe to