কিছু না
আমায়-
সফল হতে হবে
জ্ঞানী হতে হবে
গুণী হতে হবে
ধনী হতে হবে
মানী হতে হবে
সবেতে জিততে হবে
সব্বাইকে হারাতে হবে
এত চাপ কে দিল রে মাথায়?
হব না কিছু
যা ভাগ!
সাড়া দাও
প্রয়োজনের চাদরটা সরিয়ে
তাগিদকে পিছনে রেখে
দু-পা এগিয়ে দেখো-
তোমার অপেক্ষায় অনেকে আছে
অপ্রয়োজনের আমন্ত্রণ হাতে করে
সাড়া দাও।
সান্ত্বনা
একটা ব্যাথা
আরেক ব্যাথার দ্বারে
সান্ত্বনা খুঁজে ফেরে
না হয়
মনে কোরো না তোমায় আমি দেখতে পাচ্ছি না।
ভুলেও ভেবো না সে কথা।
ঈশ্বরও তোমায় ভুললে ভুলতে পারেন।
আমি পারি না এক দন্ডও
এমনকি তুমি লক্ষ যোজন দূরে থাকলেও।
ছাড়বে না তো?
সে বলেছিল, ছেড়ো না আমায়।
আমি ছাড়িনি।
মৃত্যু এসেছিল না বলে
মাঝপথে।
সেদিন আবার কেউ বলল,
ছাড়বে না তো?
আকাশে যতদূর চোখ যায় তাকালাম,
কোনো মেঘ নেই।
মাটিতে কান পেতে শুনলাম,
কোনো কম্পন নেই।
সমুদ্রের ধারে এসে দাঁড়ালাম
ঝড় নেই।
দ্বিধান্বিত কণ্ঠে বললাম-
ছাড়ব না
এখানেই
অবশেষে ফিরে আসলাম
যাওয়ার আগে যেখানে ছিলাম
সেখানেই
সোজা পথ না
একটা বৃত্ত পাড়ি দিলাম
এখানেই
কোথায় গেলে
বুকের ভিতর তীর বিঁধল
তুমি এলে?
চোখের পাতা ঝলসে গেল
তুমি তাকালে?
শ্বাস-প্রশ্বাসে ঝড় উঠল
তোমার গন্ধ এলো?
মন্দ- ভালো গুলিয়ে গেল
আমায় ছুঁলে?
সব কিছু যে থেকেও নেই
কোথায় গেলে?
পার্থ দে
পার্থ দে আর কঙ্কাল। আলাদা করে কিছু বলার নেই। রোমহর্ষক, ভয়ংকর, রহস্যজনক সন্দেহ নেই।
পিঁপড়ের সারি
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
দেওয়াল বেয়ে উঠছিল
আকাশ ছেয়ে কালো মেঘ এলো।
জল বলল, ডুবিয়ে দেব
বাতাস বলল, উড়িয়ে দেব
মানুষ বলল, হারিয়ে দেব।
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
উঁচু গর্তে বসেছিলো।
জল থামল
ঝড় থামল
মানুষ ভুলল
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
দেওয়াল বেয়ে ফিরছিল।
চোখের কাজল
চোখের কাজল চোখকে বলল-
আমার জন্যই তোর রূপ ভাই
চোখ বলল, হ্যাঁ-
অপর জনের চোখেই শুধু পড়া চাই