খানিক তাকাও অবিশ্বাসী।
সন্ধ্যের পর রাস্তার ধূলো পথে
কে যায়?
গভীর রাতে
ঝিঁঝিঁর ডাকে
পাতার অঙ্গুলিহেলনে
জোনাকির আলোয়
নদীর বাঁধানো ঘাটে জল আছড়ানো শব্দে
কোনো বাচ্চার আর্তনাদে
চমকে উঠেছো কখনো?
যদি চমকে উঠতে, বুঝতে-
বুকের মধ্যে বিশ্বাসের নাড়িতে টান,
যে বিশ্বাস, ভাঙা ছবি জোড়া লাগিয়ে
আস্ত ছবি বানাতে চাইছে সকাল থেকে
তুমি অবিশ্বাসী,
ভাঙা ভাঁড়ের টুকরোকে বল সত্যি
গোটা ভাঁড়কে গুঁড়িয়ে।
কোনোদিন হবে না তা।
আজও,
রাস্তার ধারে শুকনো পেয়ারা নিয়ে বসে
ছেঁড়া ব্লাউজে ঢাকা
কটা প্রাণীকে পালনকরা শীর্ণদুটো স্তন বুকে
অশীতিপর বুড়ি,
বয়সের ভারে ন্যুব্জ
জীবনের মানে হারিয়ে বাঁচতে চাইছে
ভাঙা ঝাপসা কাঁচের ভিতর দিয়ে তোমার দিকে চেয়ে।
ওকে বলো বিশ্বাসের কথা,
বলো, কাল ওকে নতুন পৃথিবী এনে দেবে
টাটকা লাল নরম পাকা পেয়ারার মত।
ও বাঁচুক
তুমি বাঁচো
আমিও বাঁচি
একটা টাটকা আগামীকালের জন্য।
পারি না, বিশ্বাস করতে?