এরই মধ্যে!
এই মাত্র যে গুছিয়ে গেলাম!
কি হল সব?
এরই মধ্যে ছড়িয়ে গেল?
এমনই হয়
রোজই হয়
রোজই ভাবি, আর না
থাক যা কিছু
যেমন আছে পড়ে।
হয় না যে,
আবার আসি
অহংকারে
গুছিয়ে নিতে
সব কিছু ফের
নিজের মত করে।
অসময়ে
বাতাস আগুন জ্বালে না
দু'হাত আলোর মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে
আলো হাতে ধরা দেয় না
চোখদুটোতে কালো কাজল
চোখের জলে ধুয়েও ধুলে না
ভিজে পায়ে ধুলো পথে হেঁটে
পথের ধুলো আনলে ঘরে
সারাটা দিন আগলটাকে
আঁচলে বেঁধে বেড়ালে
সরালেও না, রাখলেও না
ভোরের আকাশে শুকতারা,
সন্ধ্যাতারাকে চিনবে বলে
সারাটা দিন সূর্য্যকে গায়ে মাখলে না
সাগরতীরে
আসল উৎসব
এই প্রথম শান্তিনিকেতনের কোনো উৎসবে থাকার সুযোগ ঘটল, বা সৌভাগ্য হল বলা যায়। বৃক্ষরোপণ উৎসব। সার দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা 'মরু বিজয়ের কেতন উড়াও' গানের সাথে সাথে নাচের মাঝে বৃক্ষকে মহাসমারোহে আহ্বান করে নিয়ে আসল।
না, আমি কোনো উৎসবের বর্ণনা দেব বলে লিখছিনা। উৎসব অনেক দেখেছি। অংশ নিয়েছি, হই হুল্লোড় করেছি।
প্রেম?
অনেককে দেখেছি, প্রেমটাকে বিয়েবাড়ির মেনু কার্ডের মত বানিয়ে ফেলেছে। এটার পর ওটা আসবে, সেটার ওটা হবে। এইসব ভেবে লালা চুকচুক জিভে পাত পেড়ে বসে থাকে। একটু এদিক ওদিক হল কি, অমনি গোঁসা। যা দিয়েছে তার হিসাব কষে মনে মনে অভিমানের লুচি ভাজবে- "ইস্, এত দামী গিফট আনাটা কি ঠিক হল! এতো সেরকম কিছুই আয়োজন নেই দেখছি!"
হ্যাঁ-না
জেনেছি
জানি না
বুঝেছি
বুঝি না
মেনেছি
নেইও, আছেও
হারিয়েছি
ছায়াতে ছায়া
যা আছে
তাই আছে
যা নেই
তা নেই
আমি নেই
আমি আছি
ভালো আছি
১
----
তবু ভাল আছি তো
জানি কেউ কেউ বিশ্বাস করে না
আয়না, মাথার বালিশ, আর নির্জন সন্ধ্যে
২
----
জানি তুমিও ভাল আছ
তবু কেউ কেউ বিশ্বাস করে না
আমার হৃদয়, তোমার চোখ, আর রাতের আকাশ
কি?
সত্য কি?
কে জানে?
কে বোঝে?
নিশ্চুপ সব
সত্য কি ভিতরে?
অনুভবে?
সত্যি কি বাইরে?
যুক্তিতে?
যে খোঁজে
সে বোঝে
যে বোঝে
সে কই?
সে মিলিয়ে গেছে
রোদে জলে বাতাসে আকাশে
কে?
জল পড়ল
টুপ
মন বলল
চুপ
জল বলল
কিসের ঢেউ?
মন বলল
এল কি কেউ?
চলেছি
উড়ে চলেছি
ভেসে চলেছি
খুঁড়িয়ে চলেছি
হেঁচড়ে চলেছি
জেগে চলেছি
ঘুমিয়ে চলেছি
পিছনে চলেছি
সামনে চলেছি
উপরে চলেছি
নীচে চলেছি
ভুলে চলেছি
ঠিকে চলেছি
পাপে চলেছি
পূণ্যে চলেছি
আলোতে চলেছি
আঁধারে চলেছি
একা চলেছি
দোকা চলেছি
অনেকে চলেছি