প্রার্থনা
তোমায় চাই,
কোনো কৌশলে না
চাই প্রেমে
সহজ সরল ব্যকুলতায়
ভাষা যেখানে
নিজের দৈন্যে থেমে
চালাকি চাতুরী ঘুচে যাক গো
অহং আমার
আপনি আসুক নেমে
স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীনতা দিবস। উৎসব? কত বন্ধু ট্যাগ করছেন এখানে। কত বন্ধু ভারতীয় পতাকা পাঠাচ্ছেন ওয়াটস অ্যাপে। খুব ভাল থাকতে চাইছি। মহান মানুষদের কত ত্যাগ, বীরত্ব, ইত্যাদি শুনছি টিভিতে। সত্যি কথা বলতে, ভালো লাগে না এগুলো আর।
ভাষা ও চিন্তা
শব্দ ছাড়া আমরা চিন্তা করতে পারি না। হক কথা। খুব বড় দার্শনিক Wittgenstein এই নিয়ে বহু গবেষণা করে নানাবিধ তত্ত্বের আলোক দিয়েছেন।
কথা হল, এ খুব খাঁটি কথা, বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বামীজি জ্ঞানযোগ বইতে বলছেন, 'চিন্তা বাঙনির্ভর'। উপনিষদের ঋষিরা প্রার্থনা জানাচ্ছেন, তাঁদের মন ও বাক্য যেন একে অন্যের পরিপূরক হয়ে ওঠে। রবি ঠাকুরের বিখ্যাত উক্তি, 'বাক্য যেথা হৃদয়ের উৎসমুখ হতে'।
যা দেখছি
(বলা যাক প্রাক্- স্বাধীনতা দিবসের খেদ। উচ্ছ্বাস, আবেগটা সরালে যাকে কালো প্রশ্ন চিহ্নের মত বুকের কোণে বিঁধে থাকতে দেখি......)
দেখার সাথে
কোন দিকেতে তাকাই তোমার?
নাক-চোখ-ঠোঁট-হাত-পা?
না তো না
না গো না
তুমি আসলে দেখার সাথে
কি আসে আর?
আসে আসে আসে
জানি জানি জানি,
আসে জন্মান্তরের ব্যাথা!
তোমায় যেন পেয়েছি হাজারবার
তবু যেন হারিয়েছি তার বেশি
স্মৃতির আঁচড়ে চিনচিনে সে কথা।
বিষাদ
সবার শেষে
সবার শেষে একজন মানুষই দাঁড়িয়ে থাকে,
বিধ্বস্ত, শ্রান্ত,
তবু সামনের দিকে তাকিয়ে।
সবার শেষে কিছু বিশ্বাসের আত্মা আবার দেহ খোঁজে,
নতুন ধর্মে, নতুন মতে।
সবার শেষে কিছু নিহত ভালোবাসা তুষারপাত হয়ে ঝরে
নিঃসঙ্গতার অরণ্যে।
সবার শেষে কিছু কান্নার আওয়াজ সঙ্গীতের মূর্ছনা হয়ে ফেরে
কাল থেকে মহাকালে।
শিক্ষা
অধ্যাপক মহাশয়
তাঁর সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রীদের
যখন গাছটার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন
অশিক্ষিত মালীটা
দাঁড়িয়ে ছিল একটু তফাতে
ওনারা চলে গেলেই
গাছটায় জল দেবে বলে
অপেক্ষা
ছেলেটা অঙ্কের খাতার শেষ পাতা খুঁজে চলেছে
সকাল থেকে
আবর্ত
শত্রুপক্ষ কেউ নেই
যাঁরা আছেন তাঁরা
বিপরীতপক্ষ
আর আছেন কেউ কেউ মাঝে
নিরপেক্ষ