Skip to main content

পুষ্পপুরাণ

শীতের সকাল। খুব বড় ফুলের বাগান। পিকনিক চলছে হইহুল্লোড় করে। কে একজন চীৎকার করে বললেন, মাইতিবাবু এদিকে একবার আসুন। কি অসাধারণ ফুলটা দেখুন।

ঝরণার জল

ঝরণার জল। জলতরঙ্গ অবিরাম। নির্বিকার পাথর।
বছরের পর পর বছর। শুধু পিচ্ছিল। আরো পিচ্ছিল।

 

দেবদাসী


ফাঁকা মন্দির। বেশ বড় মন্দির। বিগ্রহ - শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার। সন্ধ্যা হয়েছে ঘন্টাখানেক হল। শীতের সন্ধ্যা তাড়াতাড়ি হয়।
প্রণাম করে উঠতেই খেয়াল করলাম একজন বৃদ্ধা পূজার আয়োজন করছেন মন্দিরের এক কোণের দিকে বসে। সাদা শাড়ি। মাফলার জড়ানো মাথা। দেহটা একটু সামনের দিকে ঝোঁকা।
বললাম, দরজাটা একটু খুলবেন, একটা ছবি তুলব। আমার আর আমার আরো দু'জন বন্ধুরই মুর্তিটা খুব ভাল লেগেছিল।

একাকীত্ব

গভীর কোনো সংগীতই পারে একাকীত্ব থেকে চিত্তকে মুক্তি দিয়ে একা-র আনন্দ সাগরের তীরে নিয়ে আসতে।

থমথমে চারদিক

থমথমে চারদিক। ঝড়ের পূর্বাভাস?
নাকি ঝড়ের মৃত্যুশোক, মৌন দীর্ঘশ্বাস।

 

মিলনাপেক্ষা

অনেকটা রাস্তা সমতলে হাঁটার পর পাহাড় এলো। পথকে বললাম, এবার?
পথ বলল, ওই তো। সে পাহাড়ের দিকে ইশারা করল।
বললাম, পথ কোথায়? এ যে চড়াই শুধু। ঘন জঙ্গল।
খানিক এগোলাম। পথ হারালো জঙ্গলে। ঢুকলাম জঙ্গলে। মানুষ সব হারিয়েও নিজেকে আর হারাতে পারে না, সেই ভয়, সেই ভরসা।
ঘন জঙ্গলের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে বললাম, কোনদিকে যাব কেউ জানো?
আমার কণ্ঠস্বর আমারই কাছে এলো ফিরে - প্রতিধ্বনি হয়ে।

শোনার সময় হয় না

যে হাতটা কেটে গেলে- শুধু বঁটি, হাত মোছার ন্যাকড়া, খুন্তির ডান্টি, বড়জোর ডেটল জানে.... সেই হাত দুটো ছাড়া নাকি সংসার অচল!

ওরাই বলে। বড্ড বলে। এত বলে যে শোনার সময় হয় না।

আসবে

ঝরণার জলে পা ডুবিয়ে বসে
আমার পা ছুঁচ্ছে নুড়ি- পাথরের সোহাগ

বীরেনকাকু

কিছু মানুষকে আমার চেতনার আশেপাশে খুব অল্প সময়ের জন্য পেয়েছি। কারণ,

ফাঁকি

 

 

ভোরের বাতাস একলা এসে ডাকল
বলল, হাঁটতে চল
হলুদ সবুজ মেশা সরষে ক্ষেতের ধার দিয়ে ঘুরে আসি চল

উতলা মনে লাগল হিসাবী অঙ্কুশ
বললাম, তাড়া আছে যে! অন্য কোনোদিন?

সে মুখভার করে ফিরে গেল

অপেক্ষায় রইলাম
এই বুঝি আমার দরকারী কাজ এলো!

ওমা! ঘন্টার কাঁটা নড়ল দেড় ঘর
   কই গেল আমার সেই গুরুগম্ভীর কাজ?

Subscribe to