Skip to main content

'খিল্লি'

তবে আমরা কোন সমাজে বাস করছি? আমাদের উত্তেজনা,
আমাদের রসবোধ, আমাদের শৃঙ্খলাবোধ এমন জায়গায় এসে পৌঁছিয়েছে যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ ছাড়া আমাদের সামলানো যায় আজকের দিনে?
আর যদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ না পাওয়া যায় তবে তাকে নিয়ে এমন খিল্লির পর্যায়ে চলে যাবে সব?

ভুলতে গেলে যত্ন করতে হয়

..এমন জায়গায় রেখে দিতে হয়
সহজে যাতে চোখে না পড়ে
আবার খুঁজতে চাইলেই যেন
ধরা দেয় হাতের নাগালে
...

An Unquite Mind

মানুষটা ভালোই ছিল। ভালোই থাকে। প্রচুর উৎসাহ, প্রচুর উচ্ছ্বাস। সব ঠিক চলছিল। হঠাৎ করে
সে বদলে গেল। থমকে গেল। নিঝুম হয়ে গেল।
নিস্তেজ হয়ে গেল। এটা বারবার হতে থাকে। মনের মধ্যে যেন দিন-রাত্রি।

পাকদণ্ডী ও ঝিঁঝিপোকা

ছবি তুলতে জানেন? আমাদের একটা ছবি তুলে দেবেন? এই, এই যে, এই বোতামটা চিপলেই খচ্ করে আওয়াজ হবে, হ্যাঁ হ্যাঁ, এইভাবেই, দেখবেন পিছনে ঝর্ণাটা যেন আসে…

শুনলাম

শুনলাম প্রাণায়ামে কোভিড সারে কিনা এই নিয়ে গবেষণা শুরু হল। 

    সেই থেকে আতঙ্কে খবরের কাগজ, ব্রেকিং নিউজে চোখ রাখছি প্রাণ হাতে করে। হঠাৎ না ঘোষণা হয়, আগে গাভীদের (বাছুরসমেত) ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে, তারপর আবার মানুষদের। বলা যায় না!

ও কিছু না

ঝড়ে আটকে গেলাম চায়ের দোকানে। টিনের চালে শিল পড়ছে। বারবার মোমবাতি নিভে যাচ্ছে। ঝড়ের দাপট সামলাতে টিনের দেওয়াল থরথর করে কাঁপছে। আর কাঁপছে কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়া।

ঘোড়ার ডিম

সমাজে একটা অদৃশ্য মাপকাঠি থাকে। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ধর্মীয় অনুশীলন, সমাজের কিছু স্থির বিশ্বাস - এরা তৈরি করে এই মাপকাঠি। সেই মাপকাঠি অনুযায়ী নিজেকে গড়ে নিতে পারার জন্য তৈরি হয় একটা অনির্দিষ্ট অপরাধবোধ। যে অপরাধবোধ অবচেতনে সারাটা জীবন থেকে যেতে পারে, গোটা জীবনকে অলক্ষ্যে প্রভাবিত করতে পারে। হীনমন্যতার শিকার হয় গোটা জীবন।

এই মুহূর্ত

গুরু বললেন, তুমি যখন বাড়ি থাকবে তোমাকে তখন গিয়ে দীক্ষা দিয়ে আসব। শিষ্য আশ্চর্য হয়ে গেল। বলল, তবে তো ভীষণ ভালো হবে গুরুদেব। আমার বাড়িতে আপনার পায়ের ধুলো পড়বে। গুরু হাসলেন। বললেন, কাল সকালে আসব।

বাঁচতে গেলে একটা সুতো লাগে

যার কোনো কূলে কেউ নেই, সেও চায় তার যাওয়ার পথ কেউ অন্তত আটকাক। কেউ দাঁড়িয়ে বলুক, তুমি চলে গেলে আমার অসুবিধা হবে। তোমার থাকাটার একটা মানে আছে আমার কাছে। যার কেউ নেই। তারও অভিমান হয়। কার উপর সে স্পষ্ট জানে না। কিন্তু হয়। কেউ চোখ মোছানোর নেই জেনেও সে চোখের জল ফেলে। সে রাগে। ভালোবাসে। কাকে সে নিজেও জানে না।

কোমল প্রাণে

ডাবগুলো সব বিক্রি হল। গ্রামে ফিরছে ফাগু। সোজা রাস্তা। খুব গরম। রাস্তার ধারে একটা শিবের মন্দির। ফাগু দাঁড়ালো। পকেট থেকে একটা পাঁচটাকার কয়েন বার করে মন্দিরের বারান্দায় রাখল। ফাগু শেখের বিক্রিবাট্টা ভালো হলে কিছু টাকা দেয়। ধর্ম দেখে না। জানে সবই এক। আব্বু একতারা বানাতে পারত খুব ভালো। খোলও বানাতো দারুণ। দূর দূর থেকে মানুষ আসত। তখন ফাগু কত ছোটো। ফাগু মানুষে বিশ্বাস করে। মসজিদ, মন্দির যাই পড়ে, ফাগু সামর্থ্যে কুলালে কোনো একটা জায়গায় একটা কয়েন রেখে দেয়। মানুষের জন্য। আল্লাহ যাকে দেখাবেন সে দেখবে।
Subscribe to