(এ নিতান্ত মজার জন্য লেখা। মতামত সম্পূর্ণ ক্ষেমীর। লেখকের দায় নেই।)

তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো সত্য
তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো প্রেম
তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো ঈশ্বর

আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি সত্য
আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি প্রেম 
আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি ঈশ্বর 

তোমারই শুধু যেন 
    কোথায় যাওয়ার তাড়া
কি একটা হওয়ার যেন
          পবিত্র জেদ

এ আমার একার অস্তিত্ব। অল্প অল্প ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের মত। আকাশ ধরো সময়। ধরো সব মেঘ বিছিয়ে দিলেও আকাশ শূন্য থেকে যাবে। আমি সব সময় একা। এত মানুষ এলো গেলো। এত ভালোবাসা-বাসি। এত বুকফাটা বিরহ। এ সবই হল। কিন্তু দাগ কাটল না। আমি একা। এটাই আমার পরিচয়।

সত্যের সমস্যা মিথ্যাকে নিয়ে ততটা নয়। মিথ্যা সত্যের সতীন। তাদের মধ্যে কোন্দল আছে যেমন, তেমন পাশাপাশি অবস্থান করে সংসার চালানোও আছে। সত্যে মিথ্যায় মিলে জগৎ সংসার। এ আমরা একপ্রকার মেনেই নিয়েছি। এইতেই স্বাভাবিক ছন্দ আমাদের। কে আর বেছে বেছে খাঁটি সত্যে জীবন ধারণ করবে রে বাবা, অমন পরমহংস হলে আমাদের পেট ছেড়ে দেবে। তাই মানুষের আরেকটি আবিষ্কার হল, অতিশয়োক্তি। 

তুমি যা বলছ সে অতীতের কথা। অতীতের স্মৃতিগুলো আঁকড়ে তো বেঁচে থাকা যায় না, এটা আমরা দু'জনেই বুঝতে পারছি, না কি? খারাপ দু'জনেরই লাগছে। ভবিষ্যতেও লাগবে। কিন্তু অতীতটা অতীতই, তাকে জাগিয়ে রেখে বর্তমান চলে না, এটা কি সত্যি নয়? 
 

প্রভাব কার বেশি? শক্তির, না নীতির? এর কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। নীতি আলোচনার। কূটনীতি, উদারনীতি ইত্যাদি। কিন্তু সেই নীতিকে বাস্তবে আনবে কে? শক্তি। কোন শক্তি? প্রশাসনিক শক্তি। তবে নীতি কার উপর নির্ভর করছে? প্রশাসকের উপর।

Every passion is mortified by it (scepticism), except the love of truth - David Hume

কথা বলি না

শব্দ উচ্চারণ করি
শুনি
ব্যস, ওইটুকুই

কথা বলি না
ছেঁকে নিয়ে জমিয়ে রাখি শব্দ
কিছুটা আলোয়, বেশিটাই অন্ধকারে
কখন কোনটা দরকার লাগে
   জাল দিয়ে ফুটিয়ে রাখি শব্দ
                    গোপনে

বুদ্ধদেব গুহ বললে আমার একটা ঝাপসা স্মৃতি মনে আসে। একটা টিভি অনুষ্ঠানে উনি এসেছেন। কোনো একটা স্কুলের অনুষ্ঠান সম্ভবত ছিল, কারণ প্রচুর বাচ্চা বসেছিল সামনে।

    কথাপ্রসঙ্গে একটা কথা উঠে আসে, অনাথ। কোনো একটি বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করেই সম্ভবত বলা হয়েছিল।