পুরুষোত্তম আগরওয়াল ও জাভেদ আখতার
সৌরভ ভট্টাচার্য
6 December 2021
নতুন বাড়িতে একটা সমস্যা হল। জল ঢুকে বাড়ির দেওয়াল খারাপ করে দিল।
বাড়ির মালিক বলল, ভাই এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না।
এখন ইঞ্জিনিয়ার বেশ চালাক মানুষ, সে হাজার একটা কারণ দেখিয়ে বলল, স্যার, এটা পসিবল, এটা অসম্ভব কিছু নয়, এটা তো হতেই পারে।
বাড়ির মালিক বলল, ভাই এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না।
এখন ইঞ্জিনিয়ার বেশ চালাক মানুষ, সে হাজার একটা কারণ দেখিয়ে বলল, স্যার, এটা পসিবল, এটা অসম্ভব কিছু নয়, এটা তো হতেই পারে।
সেলাই তো পডবে, কিন্তু ক'টা?
সৌরভ ভট্টাচার্য
5 December 2021
ঘরটা খুব বড় না, খুব ছোটও না। একটা খাট। খাটে একজন বয়স্ক মানুষ আধশোয়া। জেগে আছেন। দৃষ্টি ছাদের দিকে। পাখাটা বন্ধ। সারাটা ঘর খুব গোছানো নয়, আবার আগোছালোও নয়। চারদিকে তাকিয়েই বোঝা যায় যে দীর্ঘদিন অসুস্থ মানুষটা। একজন মহিলা, পঞ্চাশের বেশিই বয়েস হবে, উনি কাপে কিছু একটা গুলছেন, ধোঁয়া উঠছে জল থেকে, মানে জলটা গরমই হবে। দেওয়াল ঘড়িটা দেখা যাচ্ছে, সকাল সাড়ে ন’টা। যিনি বিছানায় শুয়ে, ওর নাম অনন্ত; যিনি দাঁড়িয়ে, ওর নাম বিশাখা।
তাদেরও যাওয়ার কথা ছিল
সৌরভ ভট্টাচার্য
5 December 2021
"শুবি না? এই শালা, এদিকে আয়, এই... আরে এই... কাঁথাটা ফেললি কেন?"
একটা ঘর। কাঠের পাতলা পাটাতনের দেওয়াল। শীতের হাওয়া, বর্ষার জল, কিছুই বাধা মানে না। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রেললাইন। ট্রেনের কাঁপুনিতে দেওয়ালে ঝোলানো আয়নায় সারাঘরের দুলুনি দেখা যায়।
শীতের সন্ধ্যে। দুটো কাঁথার তলায় শুয়ে তিন চারটে রাস্তার কুকুর। প্রমাণ সাইজের কুকুর। ষাটোর্ধ মানুষটা একটা লুঙ্গি কোমরের কাছে জড়িয়ে, হাঁটু অবধি তুলে, মেঝেতে মদের বোতল নিয়ে বসে। ঘরে টিমটিম করছে হলুদ ডুমের আলো।
একটা ঘর। কাঠের পাতলা পাটাতনের দেওয়াল। শীতের হাওয়া, বর্ষার জল, কিছুই বাধা মানে না। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রেললাইন। ট্রেনের কাঁপুনিতে দেওয়ালে ঝোলানো আয়নায় সারাঘরের দুলুনি দেখা যায়।
শীতের সন্ধ্যে। দুটো কাঁথার তলায় শুয়ে তিন চারটে রাস্তার কুকুর। প্রমাণ সাইজের কুকুর। ষাটোর্ধ মানুষটা একটা লুঙ্গি কোমরের কাছে জড়িয়ে, হাঁটু অবধি তুলে, মেঝেতে মদের বোতল নিয়ে বসে। ঘরে টিমটিম করছে হলুদ ডুমের আলো।
সানাই
সৌরভ ভট্টাচার্য
4 December 2021
সানাই তাকে পেয়ে হারিয়ে কাঁদে? না, তাকে না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাঁদে?
এ দ্বন্দ্ব আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি মনোরমা। যখনই সানাই বেজেছে, বুকে কান্না উঠেছে। কিন্তু কেন? কাকে সে চায়? সে মুখটা স্পষ্ট নয়। বিয়াল্লিশ বছর আগে যখন পুরোহিত মন্ত্র পড়ছিল, চারদিক হুল্লোড়, সানাই বাজছিল মনোরমাকে কাঁদিয়ে একা একা, গোপনে। মনোরমা নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছে, কে সে? কার জন্য এমন বুক হাহাকার কান্না তার?
মন উত্তর দেয়নি স্পষ্ট করে। শুধু বলেছে, এ সে নয়, যার হাতের উপর হাত, এ নয় সে।
এ দ্বন্দ্ব আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি মনোরমা। যখনই সানাই বেজেছে, বুকে কান্না উঠেছে। কিন্তু কেন? কাকে সে চায়? সে মুখটা স্পষ্ট নয়। বিয়াল্লিশ বছর আগে যখন পুরোহিত মন্ত্র পড়ছিল, চারদিক হুল্লোড়, সানাই বাজছিল মনোরমাকে কাঁদিয়ে একা একা, গোপনে। মনোরমা নিজেকে জিজ্ঞাসা করেছে, কে সে? কার জন্য এমন বুক হাহাকার কান্না তার?
মন উত্তর দেয়নি স্পষ্ট করে। শুধু বলেছে, এ সে নয়, যার হাতের উপর হাত, এ নয় সে।
সেদিনের আকাশ ভাঙা মেঘ
সৌরভ ভট্টাচার্য
2 December 2021
জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকে বুড়ি দুটো পেঁপে বার করে পুরোহিতের হাতে দিয়ে বলল, একটু ঝোল রেঁধে খাইয়ো তো, আমায় কাল স্বপ্নে বলল পেটটা ভালো যাচ্ছে না, তোর বাগানে তো ভালোই পেঁপে হয়েছে, আমায় দুটো দিয়ে যাস না।
পুরোহিত বলল, তোমার বাড়ি কোথায়?
বুড়ি বলল, খড়দা...
পুরোহিত বলল, তা তুমি নিজে রেঁধে আনলেই পারতে..
পুরোহিত বলল, তোমার বাড়ি কোথায়?
বুড়ি বলল, খড়দা...
পুরোহিত বলল, তা তুমি নিজে রেঁধে আনলেই পারতে..
তবে দাঁড়ালোটা কি?
সৌরভ ভট্টাচার্য
2 December 2021
তবে দাঁড়ালোটা কি? ওমিক্রনে ভয় পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কি নেই?
সেখানের ডাক্তারেরা বলছেন, ভয় পাবেন না, আপাতত রোগের প্রকোপ তেমন কিছু না। হু বলছে, প্যানিক করবেন না, সাবধানে থাকবেন, এই বলেই তেদ্রোস কাকা আবার চশমাটা উপরে ঠেলে গম্ভীর মুখে বলল, সামনে পৃথিবীর খুব দুর্দিন। হে হে, সে বলতে কি আর তেদ্রোসকে লাগে? কথা হচ্ছে ব্যাটা কেমন জানি একটা ইনফরমেশান আতঙ্কবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বলে তার যেন দুটো মানে হয়, এ যেন রায়গুণাকর ভরতচন্দ্রের কবিতা। "কোন গুণ নাই তার কপালে আগুন"। দুটো মানে হয় না? আমাদের বাংলার স্যারেরা ধরে ধরে বুঝিয়েছিলেন তো। কাব্য চর্চা থাক। ভাইরাস চর্চায় আসা যাক।
তো মোদ্দা কথাটা হল আপাতত যা জানা গেছে, তা হল ---
সেখানের ডাক্তারেরা বলছেন, ভয় পাবেন না, আপাতত রোগের প্রকোপ তেমন কিছু না। হু বলছে, প্যানিক করবেন না, সাবধানে থাকবেন, এই বলেই তেদ্রোস কাকা আবার চশমাটা উপরে ঠেলে গম্ভীর মুখে বলল, সামনে পৃথিবীর খুব দুর্দিন। হে হে, সে বলতে কি আর তেদ্রোসকে লাগে? কথা হচ্ছে ব্যাটা কেমন জানি একটা ইনফরমেশান আতঙ্কবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বলে তার যেন দুটো মানে হয়, এ যেন রায়গুণাকর ভরতচন্দ্রের কবিতা। "কোন গুণ নাই তার কপালে আগুন"। দুটো মানে হয় না? আমাদের বাংলার স্যারেরা ধরে ধরে বুঝিয়েছিলেন তো। কাব্য চর্চা থাক। ভাইরাস চর্চায় আসা যাক।
তো মোদ্দা কথাটা হল আপাতত যা জানা গেছে, তা হল ---
তপস্বীনী কন্যা
সৌরভ ভট্টাচার্য
1 December 2021
সংসারে সবাই তো আর অতশত কপাল করে জন্মায় না যে একটু ফুর্তি করে, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবে। না, মানে, পড়াশোনার গল্প মানেই তো সেই এক বিদ্যাসাগর মশায় স্ট্রিটলাইটের তলায় পড়েছিলেন, টিকি বেঁধে শুতেন এই সব কথা খালি। সে সব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরোনো কালের কথা। কিন্তু এই যে একজন মানুষ, যার কিনা খোদ মাসির বিয়ে, সে কিনা হাতে মেহেন্দি লাগাতে লাগাতে পড়াশোনা করছে, সেও আবার অনলাইনে, মানে আরকি পড়াশোনা করতে করতে মেহেন্দি লাগাচ্ছে, এমনটা কে কবে দেখেছে? পায়ে আলতা, হাতে মেহেন্দি, সামনে মোবাইল স্ট্যাণ্ডে মোবাইল, মোবাইলের স্ক্রীনে দিদিমণি, চারদিকে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর হইচই, এর মধ্যে কিনা মেয়েটা পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে
জাগতে রহো
সৌরভ ভট্টাচার্য
1 December 2021
গন্তব্যে যেতে হবে। নদী উত্তাল। তায় রাতের অন্ধকার। নৌকায় ছয়জন যাত্রী।
ইনস্টিংক্ট বলল, আমার স্থির বিশ্বাস দক্ষিণ দিকে আর চোদ্দোবার দাঁড়া টানলেই পৌঁছিয়ে যাব। আমার গাট ফিলিংস।
ইন্টেলিজেন্স বলল, চুপ কর আহাম্মক, তোর এই গাট ফিলিংস এর ঠেলায় কতবার ডুবতে ডুবতে বেঁচেছি আমরা। আমার হিসাব বলছে দক্ষিণ দিকে আরো মাইল তিনেক গিয়ে একটা বাঁক আসবে, যা পড়েছিলাম, তারপর হয় তো পশ্চিমের শাখাটা ধরে এগোতে হবে।
ইনস্টিংক্ট বলল, আমার স্থির বিশ্বাস দক্ষিণ দিকে আর চোদ্দোবার দাঁড়া টানলেই পৌঁছিয়ে যাব। আমার গাট ফিলিংস।
ইন্টেলিজেন্স বলল, চুপ কর আহাম্মক, তোর এই গাট ফিলিংস এর ঠেলায় কতবার ডুবতে ডুবতে বেঁচেছি আমরা। আমার হিসাব বলছে দক্ষিণ দিকে আরো মাইল তিনেক গিয়ে একটা বাঁক আসবে, যা পড়েছিলাম, তারপর হয় তো পশ্চিমের শাখাটা ধরে এগোতে হবে।
রোদ স্বপ্ন
সৌরভ ভট্টাচার্য
30 November 2021
সাধারণত এরকম স্বপ্ন দেখি না। কি জানি কেন দেখলুম। ফ্রয়েড বলবে, ওই যে তুমি শোয়ার আগে রমিলা দিদির মহাভারতের কথা পড়ছিলে তাই হয় তো হবে।
সে হবে।
কিন্তু স্বপ্নটা হল, আমি দেখলাম, ভীষ্ম, মানে আমাদের মহাভারতের ভীষ্ম গো, স্টেশানের পাশে যে কচুরীর দোকানটা আছে না, সেই দোকানের বেঞ্চে বসে, কচুরী খাচ্ছেন, বেঞ্চে পাশেই এক গ্লাস দুধ চা রাখা।
...
সে হবে।
কিন্তু স্বপ্নটা হল, আমি দেখলাম, ভীষ্ম, মানে আমাদের মহাভারতের ভীষ্ম গো, স্টেশানের পাশে যে কচুরীর দোকানটা আছে না, সেই দোকানের বেঞ্চে বসে, কচুরী খাচ্ছেন, বেঞ্চে পাশেই এক গ্লাস দুধ চা রাখা।
...
আসল 'আমি'
সৌরভ ভট্টাচার্য
30 November 2021
মাঝে মাঝে ভীষণ ইমোশনাল হওয়াও
প্র্যাক্টিকাল হওয়া
খুব রাবিশ, স্টুপিড, সেন্টিমেন্টাল কথাগুলোও
ভীষণ প্র্যাক্টিকাল কখনও কখনও
...
প্র্যাক্টিকাল হওয়া
খুব রাবিশ, স্টুপিড, সেন্টিমেন্টাল কথাগুলোও
ভীষণ প্র্যাক্টিকাল কখনও কখনও
...