শুনলাম তোমাদের নাকি অ্যাডজাস্ট হচ্ছে না?

কেন বলো তো? 

তোমাদের নাকি একে অন্যের উপর প্রচুর অভিযোগ!

হয় তো সে সব সত্যি 

- আজ বহুদিন পর একগ্লাস জল খেলাম

- পুরো গ্লাস?!!

যেই প্রশ্ন করল, অমনি সব ধাঁ।

      একটাও ভুত নেই! অথচ দোষের মধ্যে সে কি জিজ্ঞাসা করেছিল, হ্যাঁ গা, তোমাদের চোঁয়া ঢেকুর ওঠে?

বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছিলাম। এখন মনে হল ব্যপারটা সামনেই আনা ভালো। নিশ্চয়ই অনেকেই এতদিনে খেয়াল করেছেন, অথবা আবছা আবছা সন্দেহ করেছেন। ফেসবুক, ইউটিউব এরা সব আপনার আমার ফোনে আড়িপেতে বসে থাকছে। কেমন করে? টাটকা ঘটা ঘটনাটা শুনুন।

তুমি কষ্ট পেতে ভয় পাও বলে

    কষ্টের মানে খুঁজে মরো দিনরাত

সত্যি করে বলো তো
     এতো ব্যাখ্যা, এত পাণ্ডিত্যেও
           আরাম পেয়েছ এতটুকু?

মানুষের তো শুধু মহিমাই নেই, মানুষের তো সঙ্কীর্ণতা, অসহায়তাও রয়েছে। সে সঙ্কীর্ণতাকে আমি যে নামেই ডাকি না কেন – স্বার্থপরতা, আত্মকেন্দ্রিকতা, ক্ষুদ্রবুদ্ধি – ইত্যাদি যাই বলি না কেন, আছে তো। এত যে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, খুনোখুনি, অত্যাচার, ধর্ষণ – এ সবই মানুষেরই কাজ। এ তো মহত্ব নয়। যে মানুষটা ঠাণ্ডা মাথায় কারোর ক্ষত

ও খেতে ইচ্ছা হলে আপনিই খাবে...

শুশ্রূষা শিশুর হাসি
শুশ্রূষা তারায় তারায়
শুশ্রূষা তোমার গানে
শুশ্রূষা নোঙর তোলায় 
শুশ্রূষা সবুজ ঘাসে
শুশ্রূষা গাছের ছায়ায়
শুশ্রূষা চোখের জলে
শুশ্রূষা বর্ষা ধারায়
শুশ্রূষা বিরাগী মনে
শুশ্রূষা পথের ধুলায়
শুশ্রুষা আমায় ভুলে
আমাকেই খুঁজে ফেরায়

তখন অর্জুন ভয়ংকর কনফিউজড। পারিবারিক সংকট। চিত্তের সংকট। কর্তব্য স্থির করা দায়। এ গল্প তো আমরা জানি। তখন কত কথা হল দুজনের। সে তত্ত্বকথা নিয়ে কত আলোচনাও হল। মোদ্দা কথা, সে সবকে ধর্মের কথা বলে কত নিয়মকানুন গড়ে আলোচনাও করা হয়ে গেল।