ছবি
ঘনশ্যাম আর সুনয়না ঘরের মধ্যে ঢুকলেন। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারদিক। আজ ভূতচতুর্দশী। কেউ চোদ্দ প্রদীপ জ্বালার নেই। সবাই বেড়াতে গেছে। ঘনশ্যাম খাটে বসলেন। সুনয়না নিজেদের ছবিটা খুঁজলেন এ দেওয়াল, সে দেওয়াল। নেই। অবশেষে বাথরুমের পাশের জুতোর র্যাকের নীচ থেকে ভাঙা ছবিটা বার করলেন। কত পুরোনো ছবি।
ভেস্টিবিউল
করোমণ্ডল এক্সপ্রেস
ট্রেনটা প্রচণ্ড বেগে ভারতের দক্ষিণাভিমুখে ছুটছে।
সত্তর পেরোনো মানুষটা
হাতে একটা ফ্লাক্স নিয়ে প্যান্ট্রিকারের দিকে এগোচ্ছেন
S6 থেকে ছ'টা বগি পেরোলে প্যান্ট্রিকার,
মানুষটা অশক্ত শরীরে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে
বিকল্প
কোথায় খুঁজছো খোলা আকাশ?
কিসের চাইছো বিকল্প?
মুঠো খুলে যদি টানটান হয় আঙুলগুলো
যদি ভেসে যায়-
মাথা ভরা সব প্রজল্প
যখন টবে জল দিলাম
যখন টবে জল দিলাম
তখন কিছুটা জল শুষল রোদে পোড়া তৃষ্ণার্ত টবের মাটি
কিছুটা জল শুষল মাটির রোদে পোড়া বুক
অবশেষে কিছুটা জল নিল শিকড়
ভালোবাসা সব সময়ই একান্নবর্তী
ফিরেও চায়নি
আজ অবধি কোনো পথ দিগন্ত ছুঁতে পারেনি
তবু দিগন্তের দিকে
যেতে যেতে,
যেতে যেতে
কোনোদিন পিছন ফিরেও চায়নি
[ছবিঃ সুমন]
দারুচিনি
আর ঝরণা না
আর নৈসর্গিক মোহময় রহস্যময়তা না
আমায় গল্প বলো
যে মেয়েটা উদাস চোখে কাজল সামলে
রঙ মাখানো ঠোঁটকে উপেক্ষা করে
পিঠের বাচ্চা সামলে চায়ের জল চড়ালো
তার গল্প বলো
ছোট্ট যীশু - অতীশ
এইটুকুই থাক
ধানক্ষেতের মধ্যখান দিয়ে যে রাস্তাটা গেছে
অতীন্দ্রিয়বাদ-রোম্যান্টিসিজম-ধম্মকম্ম
রোম্যান্টিসিজম এ যদি একটা ক্ষতির আশঙ্কা না থাকত তবে শব্দটা মাহাত্ম্য হারাতো। ভয়কে জয় করে নিজের আবেগ, ভালোবাসাতে প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়ার প্রয়াস অথবা সাধনার ভিত্তিই এই রোম্যান্টিসিজম। নতুনকে নতুন ভাবে দেখতে শুধু রুচি লাগে না, সাহস লাগে, আত্মবিশ্বাস লাগে। প্রথা ভেঙে নতুন পথের ভগীরথ হতে শুধু বিচক্ষণতা লাগে না, ধৈর্য্য, অধ্যবসায় আর প্রাণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা লাগে। প্রাথমিকভাবে চারপাশের চূড়ান্ত বিরোধিতা আ
এটা এমনি মিছিমিছি লেখা
এটা এমনি মিছিমিছি লেখা। মনের মধ্যের কথাগুলো, চিন্তাগুলোকে বাইরে সাজিয়ে সাজিয়ে থাকে থাকে রাখা। না রাখলেও ক্ষতি ছিল না, তবু মাঝে মাঝে ভাঁড়ার ঘরের কোণে পড়ে থাকা অবহেলায় ধুলোমাখা ভাঙা সরাটা দেখলে যেমন মনটায় টুক করে একটা ব্যাথা লাগে, এও তেমন ধারা কথা।