Skip to main content

The Autumn of Patriarch

        ঠিক কি ভাবে লিখি বলুন তো? গতকাল থেকে ভেবে চলেছি...কি ভাবে লিখি...কি ভাবে লিখি...মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, না লিখলে হয় না? কে মাথার দিব্যি দিয়েছে যে আমায় লিখতেই হবে? আর না লিখলেই বা কি মহাভারত অশুদ্ধ হবে? তবু খচখচ করেই যাচ্ছে মনটা, এত ভালো একটা বই, বলব না সে বইয়ের কথা? অগত্যা লিখতে বসা। 

গুজব

কড়ে আঙ্গুলের থেকেও ছোট নদী। বেশ আসছিল একটা পল্লীগীতি গাইতে গাইতে। বাধা দিল একটা পাঁচিল। না বাঁদিকে যেতে দিল, না ডানদিকে। নদীটা গর্ত খুঁড়ে নীচে যেতে গেল, ভিতটা নামছে তো নামছেই। পাঁচিলটা বাদিকের ঠোঁটের কোণে উপেক্ষার হাসি হাসল। নদীটা বলল, যাব যে! পাঁচিল বলল, না। ক্রমে কড়ে আঙ্গুলের মত নদীটা বুড়ো আঙ্গুলের মত হল। ততদিনে বছরখানেক তো হয়েছেই। নদী বলল, এবার যেতে দাও। পাঁচিল বলল, না।
...

চেনো ওদের?

        জানো কিনা জানি না। আমি অনেক বাড়ি দেখেছি, যারা কেউ হাসে না। তারা যে দুঃখী তা নয়। তারা হাসার কোনো কারণ খুঁজে পায় না। চোখের উপর তাদের কোনো পর্দা নেই আর। ধুলো-বালি-খড়কুটো সব গিয়ে চোখে পড়ছে, কিন্তু তবু তাদের চোখ জ্বালা করছে না, আমি এমন দেখেছি। তাদের চোখের সামনে টিভিতে কতলোক হাসছে-কাঁদছে-গল্প করছে-নাচছে-গাইছে। তারা স্থির হয়ে টিভির সামনে বসে। কত দুর্ঘটনা

আমাকে ঘিরে রেখেছে এক অদৃশ্য আমি


আমাকে ঘিরে রেখেছে এক অদৃশ্য আমি
আমার নিঃসঙ্গতাকে চুমু দিতে চাইছে 
উড়ন্ত একটা সাদা বক
যার গায়ের রঙ আগে ছিল নীল

একটি সংবাদ পাইলাম

একটি সংবাদ পাইলাম। বিদ্যাসাগর মহাশয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত 'মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট' নামক বিদ্যালয় থুড়ি স্কুলটি হইতে বাঙালা ভাষা নির্বাসিত হইতেছে। কারণ বাঙালা ভাষায় শিক্ষাগ্রহণে ইচ্ছুক বাঙালী অভিভাবক তথা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দুই আঙুলের কয়েকটি কড়ের অধিক আর যাইতেছে না। অগত্যা ইংরাজি ও হিন্দীভাষাকেই শিক্ষার মাধ্যম করা হইবে এমন সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে। 
...

২৫শে বৈশাখ

        আমি আজকের দিনে বুঝেছিলাম আমার ঘরের ভিতর যে আলো আসে, সে আলো এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আলোরই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা আলো, সে বিশ্বজনীন। আমি আজকের দিনে বুঝেছিলাম, আমার বাগানে যে ফুলটা প্রতিদিন সকালে ফোটে সে বিশ্বজনীন, আন্তর্জাতিক নয়। আমি আজকের দিনে বুঝেছিলাম, আমার উঠোনে যে বাউল আসে, তার গলায় যে গান বাজে, তার একতারায় যে সুর ওঠে, তার আবেদন বিশ্বজনীন, আন্তর্জ

২৫শে বৈশাখ

২৫শে বৈশাখ। আমার পাঠশালা। আমার বিদ্যালয়। আমার মহাবিদ্যালয়। আমার বিশ্ববিদ্যালয়।
২৫শে বৈশাখ। আমার দিন। আমার মাস। আমার বছর। আমার আয়ু।
২৫ শে বৈশাখ। আমার সম্পদ। আমার মান। আমার অলঙ্কার। আমার বৈভব।
২৫শে বৈশাখ। আমার ঘর। আমার দেশ। আমার পৃথিবী। আমার ব্রহ্মাণ্ড।
...

পূর্ব গগন ভাগে

আমিও খড়কুটো জড়ো করেছিলাম। আমিও বাসা বেঁধেছিলাম বিশাল অশ্বত্থ গাছটার একটা ডালের কোণায়। আমি জানতাম অশ্বত্থ গাছের চেয়ে বড় গাছ আর কি বা হতে পারে?
        ঝড় উঠল। আমি নিশ্চিত, যতই ঝড় হোক, ভাঙবে কি অশ্বত্থ? কক্ষনো না, কক্ষনো না।
        ঝড় বাড়ল। চারদিক ধুলায় ধুলায় ঢেকে অন্ধকার করে তুলল। গাছটা মাতাল না পাগল হল? সে উদ্দাম ঝড়ের সাথে যেন তাল রাখতে পারছে না আর। আমি বুঝতে পারছি তার শিকড় থেকে আর্তনাদ ভেসে আসছে। গাছের আরো আরো পাখিগুলো ভয়ে, আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে উড়ে বেড়াতে লাগল। ঝড়ের হাওয়ার সাথে তাদের ডানা পেরে উঠবে কেন? ঝড়ের শাসনে তারা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়তে লাগল। গাছের ডালে ছিটকে এসে লাগল তাদের কোমল শরীর।
...

খোলা বারান্দা

খোলা বারান্দা। এক চিলতে রোদ্দুর
কখনও আড়ি, কখনও সখনও ভাব
ভালোবাসা, তোর নোনতা নোনতা স্বাদ
হৃদয় ঘিরেছে বল্মীক কারাগারে
প্রাণের ফেঁসোয় গরলামৃত ফাঁদ

তোমার কণ্ঠস্বরে


তোমার কণ্ঠস্বরে একটা খোলা মাঠ আছে
আমি মাঝখানে দাঁড়িয়ে গভীর শ্বাস নিয়ে বলি, আঃ!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা শীতল দীঘি আছে
আমি চোখেমুখে জল ছিটিয়ে বলি, শান্তি!
তোমার কণ্ঠস্বরে একটা তারাভরা অমাবস্যা আছে
আমি চোখ বন্ধ করে দু'হাত ছড়িয়ে ভাসতে ভাসতে বলি, এলাম।
তোমার কণ্ঠস্বরে বিষণ্ণ দুপুরে 
Subscribe to