দু-মুখো আয়না
ভিতরে যেন দু-মুখো আয়না বসানো। বাইরের দিকে মুখ করা যেদিক, তাতে পড়ছে বাইরের ছবি। আর ভিতরের দিকে মুখ করা যেদিক, সেদিকে পড়ছে ভিতরের ছবি।
বশীকরণ
নিবারণ সমাদ্দার ওলটা সিদ্ধ করতে দিয়ে চুপ করে তার দোকানের সামনে এসে বসে আছে। নিবারণের দোহারা মাঝারি উচ্চতা। চাপা রঙ। বেশ গোলগাল মুখ। একটা নীল শার্ট আর ধুতি পরে দোকানের সামনের বেঞ্চে বসে পা দুলাচ্ছে। বয়েস এই পঞ্চান্ন'র কাছাকাছি হবে। বাড়িতে স্ত্রী আছে (বাসন্তীদেবী, লোকে বলে উনি বাপের বাড়ি গেলে নাকি পাড়ায় কাক-চিলের সংখ্যা বেড়ে যায়) আর এক মেয়ে, নাইনে পড়ে, ফুলটুসি।
বিকল্প
সারাটা জীবন এমন ভাব করলে
যেন তোমার জমিতে রয়েছে শুধুমাত্র একটা আগ্নেয়গিরি
আর তোমার কাজ যেন একটাই -
সকাল সন্ধ্যে, বর্ষা বসন্ত
শুধুই অগ্ন্যুৎপাত ঘটানো
কেন গো
জমিতে একটা বাগান করলে কি হত?
শক্তি মানে কি শুধুই আগুন?
শিকড় না?!
তবে ধৈর্য মানলে না কেন?
নোনতা কমলালেবু
একটা কমলালেবু। তুমি দাঁড়াও,
আমি একটা একটা কোয়া ছাড়িয়ে তোমার হাতে দিই,
তুমি খাবে কি না খাবে, তা শুঁকে দেখে ঠিক কোরো ...
অপেক্ষা
সকালের আলোয়
ফুটবে বলে ...
নীলাচলে তিনদিন
আজীবন
নিজের থেকে পালাবে বলে ঈশ্বরকে খুঁজলে আজীবন
ঈশ্বরের মুখোশের আড়ালে কে যেন ভয় দেখিয়ে গেল তোমায় আজীবন
কলঙ্কে তোমার ভয়
তাই কলঙ্ক সৃষ্টি করলে মনের আনাচেকানাচে
ওদের ধুয়ে ধুয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে আজীবন
FEAR
as long as, it is Upright,
ভুলে যাও
প্রতিবার তোমার হাত ছুঁতে গেলে ভয় হয়
মনে হয়, বুঝি ধরা পড়ে যাব!
সব দুর্বলতাগুলো
স্পর্শে অনুদিত হবে
তুমি ছুঁয়ো না আমায়
দূরে থাকো
অজস্র সহস্র মুহুর্ত দূরে থাকো
ভয়
ততদিনের নিশ্চিন্ততা
যতদিন একেও নকল না করে
বাজারে আনে কালো ছাপ
ফাঁকি যদি ধরতে না পারি
নতুন বন্দুকের যতই বড়াই করি
ওদিকে বাঘেও শিখছে নতুন লাফ
তাই মনে বাসি ভয়
কোন ক্ষমতা রাতারাতি
আবার রাজ ইঙ্গিতে লোপ হয়