Skip to main content

না জানি কি করে


===
গোলাপটা সাবানজলে কেচে
রোদে শুকাতে দিয়েছে দেখলাম
কাচাকাচির পরে,
চড়া রোদের তাপে
উজ্জ্বলতায় ফেটে পড়ছে যেন
কৃত্রিম না হলে
এতটা নির্লজ্জ কেউ হতে পারে?

হংসবলাকা

দূরত্ব মাপো তুমি। আমিও মাপি। একটা নদীও যেন বাঁশডোবা জল পেল না। চরায় ঠেকে যাওয়ার ভয় দাঁড় বাইতে বাইতে ক্লান্ত মাঝি ঘুমিয়ে পড়ে। জ্যোৎস্নায় শরীর ভেসে যায়। জানতে পারে না। ঘুমের মধ্যেও ডোবা চরের আতঙ্ক।
জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে কে ও? যেন শতাব্দী আগে দাঁড়িয়ে ছিল এখানে। অবচেতন মনে পূর্বজন্মের হাজারও জিজ্ঞাসার ভিড়। জিজ্ঞাসা করলাম, আমায় চেনো? উত্তর দিল না। মিলিয়ে গেল। এখন জঙ্গলজুড়ে পাখির ডাক। ঘুমন্ত মাঝি। জ্যোৎস্নায় ভাসা নদী।

মানুষ কি সে!

মানুষ এখন কমতে কমতে সংখ্যা

মানুষ এখন ব্রেকিং নিউজে কয়েক মিনিট

মানুষ এখন বোতাম টেপা স্ফুলিঙ্গ 

মানুষ এখন ধ্রুবতারা চেনে বিভাজন রেখায়

মানুষ এখন কোলাহলে ঘেরা শুধুই কুয়াশা

মানুষ এখন আর যাই হোক
    সন্দেহ তার নিজেকে নিয়ে
           মানুষ কি সে!

অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড

একবার হল কি ওশোর যৌনতার উপরে লেখা একটা বই নিয়ে একজন বরিষ্ঠ জ্ঞানীগুণী মানুষ, খুব সম্ভবত মোরারজী দেশাই মন্তব্য করেন, খুব অশালীন বই ইত্যাদি ইত্যাদি। ওশোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনার এই বিষয়ে কি বক্তব্য।

সত্যের জোর

সত্যের উপর ভালোবাসা নেই অথচ দেশের উপর, ধর্মের উপর, স্বজাতির উপর ভালোবাসা আছে যারা বলে, তারা আদতে মিথ্যাই বলে। সুচারু রূপে বলে। 

আবেগপ্রবণ

বাঙালি হুজুগে জাত। জন্মাবধি শুনে আসছি। আমার জন্মানোর বহুযুগ আগে যারা বাঙালি হয়ে জন্মেছিলেন তারাও একই কথা লিখে গেছেন। অর্থাৎ এই নিয়ে মতান্তর থাকার কথা নয়। 

    হুজুগের মাত্রাটা আরেকটু চড়িয়ে বললে, বাঙালি আবেগপ্রবণ জাত। এ কথাও বাঙালি সৃষ্টি করার সময় বিধাতা বিশেষ করে মাথায় রেখেছিলেন বলেই শুনেছি। 

আমিও আছি

যদি তুমি বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারো
   কারণ তুমি সুকৌশলে মিথ্যা বলতে পারো বলে

তবে জেনো, আমিও আছি
        যে তোমার কথা শুনি না

যদি তুমি বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারো
     তোমার পিছনে হাজার হাজার অন্ধ হুজুগে হাঁটে বলে

তবে জেনো, আমিও আছি
     যে তোমার পিছনে হাঁটি না

আপনার জন্য লজেন্স নিয়ে আসি

মাঝে মাঝে নিজের জন্য মায়া হয়। নিজের উপর তৃতীয় ব্যক্তির মত মায়া লাগে। মনে হয় নিজের গালে নিজে একটা চুমু খাই। নিজে যখন ঘুমাই তখন মনে হয় নিজের মাথার কাছে জেগে বসে থাকি। নিজের মাথায় নিজেই হাত বুলিয়ে দিই। আপনার এরকম হয়?

জানি না, ভেবে দেখিনি। হয়, হয় তো।

ঝুড়ি ও আমি

চেতনার আশেপাশে এত যে কিছু ঘটে চলে, সে সবের মধ্যে ছিপ ফেলে বসে আছে, একা 'আমি' এক। যা পায় তাই তুলে দেখে তার 'আমি' ঝুড়িতে রাখার মত কিনা। কিছু রাখে, বাকি অনেকটাই করে অপচয়। মাঝে মাঝে নিজেকেই প্রশ্ন করে, এত অপচয়? সত্যিই কি কাজে লাগানো যায় না ওগুলো? ওগুলো মানে কোনগুলো? হিসাব করতে পারে না। 

Subscribe to