Skip to main content

চন্দ্রিলের একটা ভিডিও খুব ভাইরাল এখন। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বলা কিছু কথা। একটা বিশেষ দিনের ঘটনার কথা বলেছেন চন্দ্রিল। কিভাবে একটা অত্যন্ত ক্লেশদায়ক, দুঃসহ, অসফল যাত্রার মধ্যেও রবীন্দ্রনাথ কিভাবে পাঁচটা গান লিখে গেছেন। অনেকেই দেখে থাকবেন ভিডিওটা। যারা দেখননি স্ক্রোল করতে করতেই পেয়ে যাবেন, এ তো ভ্যাক্সিন না যে আপনাকে আপাতত ষোলো হপ্তা অপেক্ষা করতে হবে প্রথম ডোজ নিয়ে। যা হোক সে কথা থাক, মোদ্দা কথা হল খুব সুন্দরভাবে চন্দ্রিল রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গটা শেষ করে আমাদের নিত্য জীবনে তার প্রাসঙ্গিকতায় বললেন যে অতিমারি ইত্যাদি যাই চলুক না কেন, সে বাইরের ঘটনা, সেখানে আমাদের নিত্য যে কাজ সে কেন থেমে থাকবে! অমন দুঃসহ অভিজ্ঞতাতেও রবীন্দ্রনাথের চিত্ত যখন অপ্রসন্ন হয়নি, তখন অতটা না হলেও আমাদের অন্তত কিছুটা ওইভাবটাকে আত্মস্থ করে নিয়ে কাজে লেগে থাকা উচিৎ বাইরের এই অতিমারি উপেক্ষা করেও। 

    আমার খুব ভালো লেগেছে বক্তব্য, এবং আমি সহমতও। কিন্তু ঘটনাটা শুনতে শুনতে আমার কাদের কথা যেন মনে হত শুরু করল। প্রথমে আবছা, তারপর স্পষ্ট! কাদের কথা বলুন তো? এই বাংলা সিরিয়ালগুলোর কথা। মাগো মা! জগত উচ্ছন্নে গেলেও তাদের সারাদিনের কুটনিগিরিতে কিছু মাত্র ছাপ পড়েছে? বিন্দুমাত্র না। সেই অসামান্য অমানুষী ক্ষমতাসম্পন্ন চিত্রনাট্যকার, গল্পকার, থুড়ি, কুটনিকার, মারাত্মক চঞ্চলমতি ক্যামেরাপুরুষ, অসামান্য সংলাপ লিখিয়েরা, পরিচালক ও অবশ্যই অভিনেতা অভিনেত্রীরা...এদের ধৈর্য, স্থৈর্য, অধ্যবসায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ তুচ্ছ। রবীন্দ্রনাথের তো একটা দায় ছিল সৃষ্টির, সে সৃষ্টির মধ্যে একটা সুস্থ রুচি, বিবেকবুদ্ধির আনন্দ, তৃপ্তি, সন্তোষ ছিল। কিন্তু এনাদের? জানি না। অর্থলাভ ছাড়া আর কিছু প্রাপ্তি এই ধরণের মানসিক দূষণ তৈরি করে হয় বলে আমার বুদ্ধিতে তো ঢোকে না। চলতে ফিরতে পাশের ঘর থেকে যে সংলাপগুলো শুনি, তাতেই ব্রহ্মতালু অবধি জ্বলে যায়। 

    তাই ভাবছিলুম, এই ভিডিওটা যদি ওরা দেখেন, দেখে আরো উৎসাহিত হয়ে পড়েন... আরো কাজে মন দেন..... হা রবীন্দ্রনাথ... একি উদাহরণ দিয়ে গেলে গো....

    যা হোক, এসব পড়ে কেউ কেউ চটবেন হয় তো। সে চটুন। আমি শুধু আমার বোধের অক্ষমতাই প্রকাশ করলুম, যা আমি বুঝতে নারি, সইতে নারি.... কি করে মানুষে পরমায়ু খচ্চা করে দেখে শোনে তাও বুঝতে নারি.....