Skip to main content

তবু সাগরতীরে এসে দাঁড়াও

তবু সাগরতীরে এসে দাঁড়াও
  দু'হাত প্রসারিত করো
   দেখো, এখনো দিগন্ত আলিঙ্গনে ধরা দেয়
   নোনা বাতাস পরম স্নেহে
       চোখের নোনা জল মিলিয়ে নেয়

 

রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে

রাস্তা থেকে না সরে দাঁড়ালে
     সময়ের পথে
         মাইলস্টোন হয়ে থাকবে
যে যাওয়ার সে যায়-ই
  স্রোতের বাধা তৈরী করলে
         তোমাতে ঠেকে
     শুধু নতুন একটা বাঁকের জন্ম হবে

 

যেন কিছুই হয়নি

যেন কিছুই হয়নি
   এমন অনায়াসে হেঁটে গেলে
এই অনায়াস কত আয়াসের ফল!
                        তুমিই জানো
শুধু দেখলাম, নিজেকে লুকিয়ে
            নিজেকেই ছিঁড়ে নিলে

 

জীবন

জীবন
   শাঁখের খোলে অসীমের নিনাদ
   যদি কান পাতলে - তো শুনলে
   নয় তো দেখলে
        সারা গায়ে শুধুই
                    দাগের উপর দাগ

 

নিজেকে দিই নি

নিজেকে দিই নি
         তাই পাইওনি
দেওয়ার কথায় এড়িয়ে গেছি
      তাই বুকে এত কৈফিয়ৎ জমে
সময়ের স্রোত সংশয় আবর্তে আটকে

 

কেন বলোনি তুমি এসেছো

কেন বলোনি তুমি এসেছো?
  আমারই অপেক্ষায় আছো সাগর তীরে!
আমারও তো কাজের পালা ফুরিয়ে এসেছে বন্ধু
  তুমি নাও নামাও জলে, আমি আসছি,
       কতবার আমি ঘাটের কাছে গো
          এসে এসে গেছি ফিরে


(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

আশ্চর্য উপাখ্যান

আশ্চর্য উপাখ্যান
সব পাতাগুলোই খোলা
সব সংলাপগুলোই বলা
দিগন্তের মঞ্চ বালির বুকে বাঁধা
  বসে থাকো, চোখ রাখো, কান পাতো
এ অনন্ত পালা

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

উদাসীনতা

সঙ্গ ছায়ায় প্রান্তিক উদাসীনতা
নিঃশর্ত ব্যাথার আবদার
        গলায় জড়িয়ে ধরে
দূরে বহুদূরে কার চোখের চাওয়া
 মনের ভিতরে নিঝুম ঘুঙুরের শব্দ - একা বেজে চলে
     ঝুম ঝুম ঝুম

(ছবিঃ প্রীতম পাল)

হাজার ঘষলেও যায় না

কিছু কথা তবু যেন বলা হয়নি
কিছু কথা বলা কখনো হয় না
মনের তলানিতে আটকে
কড়া পড়া কড়াইয়ের মত
      হাজার ঘষলেও যায় না

একমুঠো সুখ জন্মালো বুকে

একমুঠো সুখ জন্মালো বুকে
  সন্ধ্যের নীরব প্রার্থনা
  তখন দিগন্তে লিখছে অনন্তের বাণী
তোমার চোখে দেখলাম সে বাণীর অক্ষরমালা
 তুমি আমার, চিরকালের আমার
   আমার সিক্ত চোখে দেখো
             সাক্ষী অন্তর্যামী


(ছবিঃ জয়দীপ ঘোষ)

Subscribe to উপপত্র