Skip to main content

বুকের মধ্যে কুলকুল শব্দ

বুকের মধ্যে কুলকুল শব্দ
   অর্থ নেই, গতি আছে
জিজ্ঞাসা নেই,
      সুর আছে, ছন্দ আছে
আর আছে স্মৃতির পাথরে পাথরে
            শ্যাওলা জমা অভিমান
বুকের মধ্যে স্রোতের প্রশান্তি
  শীতল জলে ভাসা কয়েক টুকরো সময়ের নুড়ি

এই তো জীবন। বেশ আছি।

ক্ষণিক

সাড়া দিয়েছি
    অধিকার দিই নি

সময়ের স্রোতে ক্ষনিকের কাছে আসা
   হাওয়াতে ভাসা তুলোর অঙ্গীকার

হয়তো ভুল ছিল সময়

 হয়তো ভুল ছিল সময়
   না হলে দেখো –
সেই রাস্তা, সেই সাঁকো, সেই বনানী
    কিছু তো পাল্টায়নি
পাল্টেছি শুধু আমরা
   অপেক্ষাকে অভ্যেস করে বাঁচতে শিখেছি
তবু মনের কথা লুকিয়ে পড়তে পারে
   কিছু পুরোনো ইঁট
      আর ভিজে অবকাশে জমে থাকা কিছু শ্যাওলা

কাজল মেঘভেজা অন্ধকারে কি হারালে

কাজল মেঘভেজা অন্ধকারে কি হারালে?
              রুমাল?
রুমাল হারিয়ো না
  রুমালের ভাঁজে অনেক হারানো গল্পের বাসা
        দীঘির গভীর কালো জল ছুঁয়ে দিলেই
    মনের মধ্যে এক হাঁটুজল কান্না

কিছু পথ

কিছু পথ
পথিকের অপেক্ষা করে না
সে আত্মস্থ, ধ্যানমগ্ন চিরকাল
ভূলোকের আলপনায়
পথিক সার্থক, যদি সে নিজেকে খুঁজে পায়
গন্তব্যে না, সে পথের অন্তহীনতায়

(ছবিঃ দেবাশীষ দেব)

ঝিঁঝিঁর ডাক

ঝিঁঝিঁর ডাক
    পথের সাথে আলাপ
যে গেল সে কি ফিরবে?
    না বিষন্ন আকাশে থাকবে
       গোধূলির বিষাদ প্রলাপ

(ছবিঃ দেবাশিষ বোস)

হত নিজের সঙ্গে দেখা

তাঁর মুখোমুখি সিটটা সব সময়েই ফাঁকা
যখনই চাও বসতে পারো,
    হলেই না হয় কিছুটা সময় তাঁর সঙ্গে একা
  আর কিছু না
         তেমন কিছু না
                হত নিজের সঙ্গে দেখা

আদিগন্ত আকাশ

আদিগন্ত আকাশ বুকে টোকা দিল,
বলল, বাইরে এসো।
বাইরে এসেই মিলিয়ে যেতে লাগলাম,
লীন হতে হতে বুঝলাম-
প্রসন্নতার রঙ নীল

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

শরীরাধীনতা

গভীর রাতে স্মার্টফোনে অবৈধ ডাক
ঘুমের অভিনয়ে রপ্ত করা চিচিংফাঁক
শরীরের পাশে শুয়ে অদেখা শরীর
ঘামের গন্ধ নেই তবু বেইমানি শিরশির

যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে

যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে
    অনাঘ্রাত গন্ধ ছড়ায় বাতাসে
ঘুমন্ত প্রজাপতির ডানার
    আলপনা আঁকে আকাশে

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

Subscribe to উপপত্র