Skip to main content

লাইব্রেরী

এই সময়টায় লাইব্রেরীতে বড় কেউ একটা ঢোকে না। এখন ক'টা হবে? চারটে দশ-টশ হবে। ওই তো বলরাম হাইস্কুলের ঘন্টা পড়েনি এখনও। এখন বিলুবাবু পেপার পড়ছেন।

অমুকবাবু

সক্কাল সক্কাল অমুকবাবুর সাথে রাস্তায় দেখা। বর্ষীয়ান, মার্ক্স-লেনিন নিবেদিত মস্তিষ্ক, আর জ্যোতি-বুদ্ধ নিবেদিত প্রাণ, অত্যন্ত ভালোমানুষ। আমার হাতটা খপ করে চেপে ধরে বললেন, অ্যাই তুমি নাকি ফ্যাসবুকে লেখোটেখো?

গাছ

রমাকান্ত রাত্রের খাওয়া দাওয়া সেরে সবে ছাদে উঠেছে। রাত তখন এই পৌনে এগারোটা। মোবাইলে হেমন্ত'র গান বাজছে - 'বসে আছি পথ চেয়ে...' আহা! প্রাণটা জুড়িয়ে আসছে রমাকান্তর। ফুরফুরে হাওয়াও দিচ্ছে না সাথে! রমার খালি শ্যামার মুখটা মনে আসছে। তার স্ত্রী। তাকে ভবানীপুরের বাড়িটায় রেখে আসতে হল। তা হবে না ছেলেটার মাধ্যমিক যে!

ভ্রমের ভ্রম

---

বটুকবাবুর সাধ হল মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল খাবেন। যেই না সাধ হওয়া অমনি তিনি সব্জী বাজারে হাজির। লাউ, কুমড়ো, উচ্ছে, পটল কিনে, বাড়িতে পৌঁছিয়েই গিন্নীকে হাঁক ছেড়ে বললেন, খুব ভাল করে ঘ্যাঁট রাঁধো দিকিনি।

নিশুতিরাতের হাতছানি

হঠাৎ হাওয়ার হাতছানি
আকাশে পিছলে পিছলে যাচ্ছে চাঁদ
কুঁড়ির ভিতর আধজাগা ফুল শুনছে শিশির পড়ার শব্দ
ঝিঁঝিঁর ডাকে নিঝুম রাত উঠে বসেছে জ্যোৎস্নার চাদর জড়িয়ে
তার উষ্ণ হৃদয়ের ধোঁয়া কুয়াশার মত ঘিরে চারিদিক

তৈলাক্ত কটাক্ষ

ইতিহাস সাক্ষী - একটি জাতির নিকট আরেকটি জাতির পরাজয়, একটি দেশের অপর দেশের নিকট বশ্যতা স্বীকার। কোনো একটি সংস্কৃতির অপর কোনো সংস্কৃতির নিকট নতি স্বীকার। 
কিন্তু অধুনা প্রত্যহ সংবাদপত্র, বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা যে পরাজয় স্বীকারের ইঙ্গিত মিলিতেছে, সে লজ্জা অবহ, অসহনীয়। 

বেগতিক

সঙ্কটজনক অবস্থা নিয়ে অনেকে অনেক কিছু লিখেছেন। ভবিষ্যতে লিখবেনও। আমি ওসব কিছু বলতে চাই না। আমি প্রতিদিনের তুচ্ছ (?) কিছু সঙ্কটজনক অবস্থা নিয়ে কিছু বলতে চাই।
(তবে খেতে খেতে না পড়াই ভাল। আর যাঁরা একটুতেই, "ইস! ম্যাগো!" করে ওঠেন, তাঁরা তো একদমই পড়বেন না।

১) হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল-

কোথায় zaবা

'ভাল কথা বলো।'
'মিথ্যা কথা বোলো না।'

Subscribe to রম্যরচনা