Skip to main content

হয়েছে কখনও?

আবীর চুমুক দিয়ে পান করেছো কখনও?
আমি করেছি
আমার ধমনী-শিরাতে সে রঙ মিশেছে
   মস্তিষ্কের প্রতিটা স্নায়ু অবধি রাঙিয়ে ছেড়েছে যখন

তুই আছিস মেয়ে

বসন্ত সব গলিতে আসে না রে মেয়ে
  বর্ষা আসে যখন তখন, যেখানে সেখানে
দেখ, তোর হাতে পড়ছে জ্বলন্ত মোমবাতি চোঁয়া গরম মোম
তবু মোমবাতি তো নিভিয়ে ফেললে চলবে না!

এক, শূন্য, অসীম

শেষ যুক্তিটা যখন প্রথম যুক্তির পাশে এসে দাঁড়ায়,
তখন যে একটা আবর্ত তৈরি হয়
   তাকে বলি শূন্যতা
তা যুক্তিহীনতা নয়
   যুক্তির পরিপূর্ণতা

কারা যেন

ফুলের পুংকেশরচক্ররা ঠিক করল
    গর্ভকেশরচক্র দিবস পালন করবে
কারণ পুংকেশরচক্ররা নিজেদের পুরো ফুল বলে জানত

পলাশ-বরন

পল্লবের শামিয়ানার নীচে যে মণি       তার কেন্দ্রে যে তারারন্ধ্র তার মধ্যে দিয়ে হৃদয়ে নামার সিঁড়ি

সরিয়ে নাও

হাত সরিয়ে নাও
  বুকের উপর চাপ লাগছে
মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছি না
     একটু সরে দাঁড়াও

প্রাণ

হৃদয়ও আসলে মস্তিষ্ক - এ কথা জেনেও
    হৃদয়কে হৃদয়েও অনুভব করি

একে রহস্য বলো, রহস্য
   মায়া বলতে চাও, বলো..

  তবু বুকের মধ্যে নড়াচড়াকেই বলব প্রাণ

      জীবন্ত জীবাশ্ম হব কেন?

কিছু শব্দরা

আমার আশেপাশে কিছু শব্দরা বরাবর ছিল
       এখনও আছে

ওদের যে বুঝি তা নয়
       আবার বুঝি নাও সেরকম নয়
....

মানুষকেই

মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানোর যন্ত্রণা
        মানুষকেই বলেছি

মানুষের ওপর রাগের কথা 
        মানুষকেই বলেছি

পরিচয়

ঠিক কোনদিকে কি ভাবে দাঁড়াব, বুঝতে পারছি না 
  ছবিটা না দেখা অবধি তো সেরকম কিছু মনে হয়নি
বেশ হাসি-ঠাট্টা-আমিষ-নিরামিশ কথাবার্তা হচ্ছিল
     বিষয় - বন্ধুর মেয়ে দেখা পর্ব

Subscribe to কবিতা