Skip to main content

ছাদ মাটি ভালোবাসা

ছাদের উপর দাঁড়ালে 
   বাড়ির পর বাড়ি 
কারোর আধখোলা জানলা, কারো হা-পাট্টা
  কোথাও টুকরো চলাফেরা, কোথাও টিভির ভিতর নির্বাক নড়চড়া 

ঘোর

আমি তাকিয়েছিলাম

আমি তাকিয়েছিলাম

আমি তাকিয়েছিলাম

আর কিছু মনে পড়ছে না জানো

মহতী বিনষ্টি

আমি ফিনিক্সও নই, হোমাপাখিও নই
গরুড় কিম্বা কাকভূশণ্ডীও নই

চাতকের মত তৃষ্ণার্ত, তাকিয়ে আছি

তুমি শূন্য হলে, আমি শূন্য
তুমি পূর্ণ হলে, আমি পূর্ণ

বড়রাস্তা

সব গলিই ঘুরতে ঘুরতে বড় রাস্তায় মেশে।
তবু বড় রাস্তাটা এত শুনশান কেন?
গলি দিয়ে আসার সময় তো দেখে এলাম 
          হাজার লোকের চলাফেরা

কে বলবে?

দরজায় তালা ছিল না। তবু ভাবলাম, ছিল হয়ত।
দিশাহারা হয়ে কড়া নেড়ে বেড়ালাম, এ দরজায়, সে দরজায়।

খুলল না।

তুমি আছ বলে

তুমি আছ বলে আমি গাইলে বড়ে গুলাম
তুমি আছ বলে আমার তুলিতে ভ্যান গঘ
তুমি আছ বলে আমার শিসেতে হরিপ্রসাদ

তুমি আছ বলে কাঞ্চনজঙ্ঘা চিলেকোঠায়
তুমি আছ বলে লাইটপোস্টে কুতুবমিনার
তুমি আছ বলে রেশন দোকান তাজমহল

ডানা

আমি বহুবার চেষ্টা করলাম জানো
    বহুবার।
আমার অন্তত একটা ডানা কেটে 
  তোমার তৈরি এত দামী খাঁচার সাথে
  এক্কেবারে মানিয়ে গিয়ে -

দুই রূপেই

জেগে ছিলাম
নদীটাও জেগেছিল
সারারাত জেগে আমরা দুজনে
পাড় ভাঙার আওয়াজ শুনছিলাম

ভোরে উঠে দেখি
মুখ থুবড়ে পড়া নীড়ের পাশে
মাটিতে লুটিয়ে চোখ না ফোটা পাখি

আসবে বলো?

মন খারাপের অন্ধকারে
অন্ধ বাউল একতারাতে
     কি বাজালো?

সিঁড়ি গিয়েছে তেপান্তরে
মেঘের মধ্যে বসত করে
     চিনতে পারো?

থুড়ি, শ্রমজীবী

বুদ্ধিজীবী তো সেও
   যে জানে কোন জুতোতে কোন সেলাই হয় না

বুদ্ধিজীবী তো সেও
  যে পোকা দেখলেই কোন ফসলের শত্রু ওটা চিনতে পারে

Subscribe to কবিতা