যতদিন শিরদাঁড়ায় আছে জোর
পরিপাটি করে সাজানো ঠাণ্ডা ঘর
রঙীন আলোর মোহময়ী আচ্ছন্নতা
হাসিমুখে পাশ্চাত্য ভাষায় শৌখিন ভদ্রতামাখা
চেয়ারে টেবিলে পরিষ্কার থালা বাসনে কাঁটাচামচ
ইংরাজী ভাষায় কোনো পুরুষ কণ্ঠের গান বাজছে
মুক্তি
পাখিটা উড়ে গেল
ডাল থেকে বৃন্তচ্যুত হয়ে পাতা ঝরে পড়ল মাটিতে।
পাখি লজ্জিত হল। ফিরে এসে মাটিতে বসল, পাতার পাশে। সাশ্রুলোচনে বলল, একি করলাম আমি, তোমার জীবনমূল দিলাম ছিন্ন করে!
বেঁচে যেত লোকটা
যখন তখন সাইরেন বাজতে পারে
আচম্বিতে হতে পারে বোমারু বিমানের হামলা
সাবধানে হাঁটো।
যে কোনো মুহূর্তে ছদ্মবেশে ঢুকে যেতে পারে শত্রুপক্ষের চর ভালোবাসার মানুষ সেজে
বুঝে ভালোবাসো।
বন্দনা
লতানো গাছটা সারা গা রোদে মাখামাখি হয়ে দাঁড়িয়ে
ভোরের হাওয়ার মৃদু আন্দোলন ওর ক্ষীণ শরীরে
যে আমগাছটার গোড়ায় ওর বাস
সে আমগাছের প্রতিটা পাতার উপর লেগে আছে ভোরের রোদ
শুচি
অনবরত হাওয়ায় দুলতে দুলতে ফুলটা অবশেষে মাটিটা ছুঁয়েই ফেলল। তখন শেষ রাত্তির। শুকতারার গুনগুন শোনা যাচ্ছে কান পাতলেই।
লাল পাপড়িতে কাদা লেগে শূন্যে উঠে গেল - হুস!!!
প্রবল
প্রতিটা ধর্মের নিজস্ব মেনুকার্ড আছে। তাই রসনার ধার বোধের ধারের থেকে প্রবল।
প্রতিটা ধর্মের নিজস্ব কিছু বিধান আছে। তাই অনুকরণের মোহ চিন্তার পূণ্যের থেকে প্রবল।
উল্টো ভাঁজ
লুঙ্গিটা পরা, তবে গিঁট দেওয়া নেই
বেড় দেওয়া কোমরের কাছে
একহাতে ধরা,
মনে হয় এক্ষুণি বেসামাল হবে
হয় না। ধরাই থাকে
একটা হাত ধরে থাকতে থাকতে বেঁকে গেছে ধনুকের মত
কেউ না
বিস্তীর্ণ প্রান্তর
নিস্তব্ধ।
পাখিদের আওয়াজ অবশ্য আছে
পাখিরা বিরক্ত করে না
রোদে পোড়া ঘাসের গন্ধ আসছে
বিকালবেলা। সূর্যডোবার দেরি খানিক আরো।
টুপ!
বাড়ির পাশেই একটা পুকুর থাক
মিছিমিছিই না হয় হল
তেতেপুড়ে যখন তখন নামা যায়
এমন দূরত্বেই থাক
তার জল সবুজ। ঘন সবুজ।
অপূর্ণ
কিসের টান?
যেন পাঁজরগুলো গুঁড়িয়ে যাবে এখনি
দূরের থেকে দেখলাম, তোমার ধ্যানমগ্ন মুখমণ্ডল
কি জ্যোতিতে উদ্ভাসিত, জানি না তো গো
সামনে গিয়ে দাঁড়াই সে সাহস নেই
যেদিক থেকে বাতাস বয়ে তোমার দিকে ছুটছে