Skip to main content

বেঞ্চ

কলেজের শেষ দুটো ক্লাস করেনি ওরা
  পার্কে এসে নির্দিষ্ট বেঞ্চটায় বসল

অভিমান। চুমুগুলো যেন বিফলে গেল।
   সব ক'টা বিকেল, সন্ধ্যে যেন ব্যর্থ গেল।
        লেকের জলে যে ছায়াদুটো পড়ত
             তারা জলের গভীরে মিলিয়ে গেল

ডাক

এই তো সকাল হল
  কিছু পাখির ডাক কানে আসছে

অপ্রয়োজনের ডাক
       গভীর আনন্দ জাগিয়ে আলস্য কাটালো

সম্পর্ক

সম্পর্ক অবিনশ্বর
   মোড় ফিরিয়ে রূপ বদল
           এখন তখন
তবু শূন্য হয়ে যেতে দেখিনি
             হয়ও না

শুভ দীপাবলি

সাজানো কথা আর মিথ্যা কথা এক না। প্রথমটায় খানিক শিল্পীসত্তার দরকার হয়, দ্বিতীয়টায় সে দরকার নেই।
   যেমন সত্যভাষণে আর কটুভাষণে। প্রথমটায় বিবেচনাবোধ জরুরী। দ্বিতীয়টায় নয়।

ভেস্টিবিউল

করোমণ্ডল এক্সপ্রেস
ট্রেনটা প্রচণ্ড বেগে ভারতের দক্ষিণাভিমুখে ছুটছে।
সত্তর পেরোনো মানুষটা
    হাতে একটা ফ্লাক্স নিয়ে প্যান্ট্রিকারের দিকে এগোচ্ছেন
    S6 থেকে ছ'টা বগি পেরোলে প্যান্ট্রিকার,
মানুষটা অশক্ত শরীরে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে

বিকল্প

কোথায় খুঁজছো খোলা আকাশ?
             কিসের চাইছো বিকল্প?

মুঠো খুলে যদি টানটান হয় আঙুলগুলো
     যদি ভেসে যায়-
           মাথা ভরা সব প্রজল্প

দারুচিনি

আর ঝরণা না
  আর নৈসর্গিক মোহময় রহস্যময়তা না

আমায় গল্প বলো
    যে মেয়েটা উদাস চোখে কাজল সামলে
       রঙ মাখানো ঠোঁটকে উপেক্ষা করে
             পিঠের বাচ্চা সামলে চায়ের জল চড়ালো

তার গল্প বলো

ছোট্ট যীশু - অতীশ

উত্তর পূর্ব ভারতবর্ষ
প্রাচীন ঝর্ণা
আদিম প্রস্রবণ
তীরে ধ্যানমগ্ন তিনজন সন্ন্যাসী

খানিক দূরে দাঁড়ালাম একা
   অতীশ ধরছে প্রজাপতি
জলে ডানা আটকানো মৃতপ্রায় প্রজাপতিদের
     শুকনো ডাঙায় তুলে প্রাণ বাঁচাচ্ছে অতীশ
           ছোট্ট যীশু

এইটুকুই থাক

এই তো, মাত্র খানিক আগে
ধানক্ষেতের মধ্যখান দিয়ে যে রাস্তাটা গেছে

সত্য

দার্শনিক, সন্ন্যাসী খুঁজে চলেছেন সত্যের সংজ্ঞা

দার্শনিক লিখলেন বই
সন্ন্যাসী গড়লেন মঠ

সত্য ঘুড়ি উড়িয়ে চলল মহাকাশে

লাটাই নিতে চাইলেন সন্ন্যাসী
           নিতে চাইলেন দার্শনিক

Subscribe to কবিতা