Skip to main content

মহাকাব্য

আকাশ ছুঁতে চাওয়া
প্রবল বিক্রমে তাকে ছুঁয়ে ফেলা

এতো মহাকাব্যর মুখবন্ধ

তারপর সজোরে পতন
  সে কি মহাকাব্য নয়?

সেই তো মহাকাব্যের উপসংহার

নইলে তা মহাকাব্য কিসের?

জোনাকিরা

একটা কবিতা লিখতে লিখতে
    সকাল গড়িয়ে বিকাল হল

বিকাল গড়িয়ে রাতও হত হয়ত
   তুমি না এসে পড়লে গোধূলিতে
       সিঁদুর মাখা পশ্চিম আকাশ নিয়ে ঘরে

যদি না আসতে
   মধ্যরাতে না ঘুমানো জোনাকিরা
           চুরি করে নিয়ে যেত সে কবিতা

বাপু

নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন

মাঝবয়েসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন

বৃদ্ধা মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন

আমিও আসছিলাম বাপু জন্মজয়ন্তীতে যোগ দিতে,
   দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম।

তোমারও কোথায় একটা দাঁড়ানোর কথা ছিল না?
       মনে পড়ছে না।

উপড়ানো বটগাছ

একলা একটা পাখা কত কথা বলবে?
চারটে দেওয়াল তো আর আরব্যরজনী শোনাতে পারে না?
জানলারও একটা সীমা আছে!

মানুষটা রাতদিন শুয়ে শুয়ে কি ভাবে জানি না
মশারির মধ্যে শীর্ণ শরীরটা
   মূল উপড়ানো বট গাছের মত শুকিয়ে যাচ্ছে দিন দিন

   অথচ মাত্র কয়েক বছর আগেই
 এই মানুষটার পাঁজর আর মেরুদণ্ডের উপর ভর করে দাঁড়াতে শিখল গোটা পরিবারটা

ঝুরঝুর ঝুরঝুর

হাতের মুঠোর ভিতর দিয়ে বালি ঝরছে
   ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর ঝুরঝুর

সব বালি পড়ে গেলে, মুঠোটা খুললাম
   কয়েকটা বালি আঙুলের ফাঁকে আটকে

নির্দ্বিধায়

পরিচয়ের কি আছে?
এক চিলতে বুকে যতটা ভালোবাসা ধরে
জীবনের দাবি তার চাইতে অনেক বেশি

সংশয় রেখো না
দু'পলকের জীবনের যাবতীয় হিসাব
এক ফুঁয়ে ওড়ায় মৃত্যু

কিছু মানুষকে কালের হিসাবে চিনি তো বহুদিন
বলা যায় কয়েক যুগ
কিন্তু বুঝতে পারিনি একরত্তি

পরিচয়ে কি আসে যায়?

তুমি নির্দ্বিধায় এসো
যদি ফিরে যাওয়ার তাড়া না থাকে

ওরা তিনজন

অবন্তী, মল্লিকা, রেণু
তিনজন আজও দরজার কাছে বসে
    সন্ধ্যেবেলা
          রোজকার মত

অবন্তী, মল্লিকা দুই জা, রেণু শাশুড়ি

আজ বড্ড অন্ধকার লাগছিল ওদের বারান্দাটা
   মুখগুলো স্পষ্ট দেখতে পেলাম না

সরি, ভুলে গিয়েছিলাম

ছাদের ধারে কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়েছিলাম
    একাই ছিলাম। রাত কটা হবে তখন?
        সাড়ে বারোটার কাছাকাছি
    দূরে কিছু কুকুর জটলা করে ডাকছে
           কয়েকটা বাড়িতে আলো জ্বলছে

সত্য পরিচয়


===
জানলা দরজা বানাতে গেলে
  আগে দেওয়াল বানাতে হয়

বোকার হদ্দ তুমি!

জানলাকে বলো - আকাশ
দরজাকে বলো - মুক্তি


===
চিড় ধরা দেওয়াল থেকে বাঁচায়
    আকাশ, খোলা মাঠ, নদীর জল

দৃষ্টি

সন্ন্যাসী সব ত্যাগ করল
শুধু ত্যাগ করল না তার ত্যাগের স্মৃতি

ভোর থেকে সন্ধ্যে সে তার ত্যাগের সমতুল বস্তু খুঁজে বেড়ায়। পায় না।

ঈশ্বরকেও তুচ্ছ মনে হয়। সে তো জগৎভোগী!

সন্ন্যাসী তাকালে ভস্ম হয়
  জীবজন্তু গাছপালা, এমনকি মানুষও

Subscribe to কবিতা