কবিতা

আমি যদি
কিছু একটা হই
অমনি দেখি আলোকে ঢেকে
বানিয়ে ফেলেছি এত্তবড় ছায়া!

নিজেকে বলি, সরে আয় ভাই
আমি তো আর তেমন কিছু নই
নিজের সাথে তাও থাকা যায়
ছায়ার যে ভাই বড্ড বেশি মায়া!

একটা বৃত্ত পূর্ণ হতে কতটা জায়গা লাগে?
জানি না
একটা কেন্দ্রে কতগুলো বৃত্তের কেন্দ্র থাকে?
জানি না
আমি পরিধি বরাবর ঘুরে এসেছি।
কেন্দ্রে শুনেছি -
   ঢেউয়ের গর্জন
        ঝড়ের হুংকার

আমি সব ভুলে যাই
ওই চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে

সরিয়ে নেবে?
নাও

তবে,
কোনদিকে তাকিয়ে 
    তোমার চোখ দুটো ভুলি,
                   বলতে পারো?

পারলে, বলে যাও

অনেক দিন
      এ দিক
ও দিক 
         করার পর বুঝলাম

সব দিকই
এদিক
         ওদিক

এখন তাই 
         দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে
বেশ আছি

যেদিন তোমার ভয় বাস্তবের মুখোমুখি হবে,
দেখবে বাস্তবের হাত তোমার ডান হাতে ধরা
ভয় মিলিয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ার মত, একা।

যেদিন তোমার কল্পনা প্রেমের মুখোমুখি হবে,
দেখবে প্রেমের পাদুটো তোমার দাঁড়ানো মাটিতেই রাখা
কল্পনা মিলিয়ে যাচ্ছে কুয়াশার মত, একা।

যখন তাকিয়েছিলে
বলেছিলাম, সুন্দর
তুমি বিষাক্ত কপটতায় 
চুমু খেয়েছিলে

সে বিষ নামল ধীরে ধীরে
আমার সর্বাঙ্গ ছেয়ে,
বাধা দিইনি
বিষে আমার অধিকার 
    না তোমার আদরের মোহ
না বুঝেই ভালোবেসেছি তোমায়

তুমি অচেনা হলে বলে
আমি নিজেকে গুলিয়ে ফেললাম

তোমার বাঁদিকে না ডানদিকে ছিলাম আমি?
মনে পড়ছে না তো,
তুমি আমার কোন হাতে হাত রেখেছিলে,
বাঁ হাতে কাটা দাগ, ডান হাতে আঁশটে গন্ধ
কোন হাতটা ধরেছিলে?

রাস্তায় খানিক বৃষ্টির জল জমে
চলতে গিয়ে থমকালাম আনমনে

তোমাকে বলিনি
বলব কেন?
তোমার কথা কেউ শুনেছে
              আজ অবধি?
যত কান্না তোমার স্নানঘর জানে
তত কান্না তুমি ভেবেছিলে আছে তোমার বুকে?

পথ হারালাম?
না তো!

বুঝলে কি করে?

বুঝতে চাওয়ার আগেই
ফেললাম ভালোবেসে

বুঝেছি তখন
এ পথ আমারই পথ
পেয়েছি অবশেষে