Skip to main content

বেয়াড়া মন


তোমার দু'চোখের কোল ঘেঁষে
দুটো ছোট্ট নদী।
তাতে জোয়ার-ভাটা খেলে
পলকগুলো দু'ধারে সার সার
তরুর মত দাঁড়িয়ে,
মাঝে ভেসে আমার মন
ছোট্ট পানসিতে।

তোমার নাকের নীচে 
ঠোঁটের উপর ঘেঁষে আল পথ
আমার মনের অবাধ বিচরণ সে পথে
কখনো কখনো উপরের ঠোঁটে 
হুমড়ি খেয়ে গড়ায়
তাকে রাখতে গিয়েও
রাখি না জোর করে।

যেখানে


বাবা ছেলেকে বললেন
"ভগবানের কাছে সঁপে দে এবার নিজেকে, ঠিক হ"

ছেলে বাবাকে বলল,
"খোকাদার কাছ এসো, কেস সাল্টে যাবে"
(খোকাদা পাড়ার মস্তান)

সন্ধ্যেবেলা বাবা গেলেন মন্দিরেতে
মস্তানের খোঁজে

ছেলে রাতে গেল ঠেকে
ভগবানের খোঁজে

কেন?


তোমার সাজানো সংসারে
খুব সন্তর্পণে চলি
আমার হাতে পায়ে লেগে
এটা ওটা ছিটকে পড়ে
                   এধার ওধার
 
কিছু জিনিস
বে-আব্রু হয়ে পড়ে, 
         আমার গায়ের বাতাস লেগে।

প্রার্থনা


তোমায় চাই,
কোনো কৌশলে না
চাই প্রেমে
সহজ সরল ব্যকুলতায়
ভাষা যেখানে 
নিজের দৈন্যে থেমে
চালাকি চাতুরী ঘুচে যাক গো
অহং আমার
আপনি আসুক নেমে

যা দেখছি


(বলা যাক প্রাক্- স্বাধীনতা দিবসের খেদ। উচ্ছ্বাস, আবেগটা সরালে যাকে কালো প্রশ্ন চিহ্নের মত বুকের কোণে বিঁধে থাকতে দেখি......)

দেখার সাথে


কোন দিকেতে তাকাই তোমার?

নাক-চোখ-ঠোঁট-হাত-পা?

না তো না
না গো না

তুমি আসলে দেখার সাথে
কি আসে আর?

আসে আসে আসে
জানি জানি জানি,
আসে জন্মান্তরের ব্যাথা!

তোমায় যেন পেয়েছি হাজারবার
তবু যেন হারিয়েছি তার বেশি
স্মৃতির আঁচড়ে চিনচিনে সে কথা।

বিষাদ


 
বিষাদ ততটাই গভীর হবে
যতটা তুমি চাও

বিষাদ ততটাই দীর্ঘ হবে
যতটা তুমি চাও

খুব গভীরে নেমো না
খুব দূর পথ হেঁটো না

বিষাদের মোহ
বিষাদের চেয়েও ভয়ংকর


(ছবিঃ সুমন দাস)

সবার শেষে


সবার শেষে একজন মানুষই দাঁড়িয়ে থাকে,
বিধ্বস্ত, শ্রান্ত,
তবু সামনের দিকে তাকিয়ে।

সবার শেষে কিছু বিশ্বাসের আত্মা আবার দেহ খোঁজে,
নতুন ধর্মে, নতুন মতে।

সবার শেষে কিছু নিহত ভালোবাসা তুষারপাত হয়ে ঝরে
নিঃসঙ্গতার অরণ্যে।

সবার শেষে কিছু কান্নার আওয়াজ সঙ্গীতের মূর্ছনা হয়ে ফেরে
কাল থেকে মহাকালে।

অপেক্ষা


ছেলেটা অঙ্কের খাতার শেষ পাতা খুঁজে চলেছে
                                             সকাল থেকে

আবর্ত


শত্রুপক্ষ কেউ নেই
যাঁরা আছেন তাঁরা
               বিপরীতপক্ষ

আর আছেন কেউ কেউ মাঝে
               নিরপেক্ষ

Subscribe to কবিতা