Skip to main content

রামধনু


একবিন্দু জল,
মেঘের বুক থেকে
      সাগরের বুকে পড়ল

বলল, আমি এখানে কেন?

সাগর বলল, বুঝবে মেঘ হলে, 
         এই বলে সে 
  একরাশ বাস্প উড়িয়ে হাসল

সূর্যের কিরণ পড়ল সে মেঘে
   রামধনু দিয়ে আকাশ সাগরকে বাঁধল

ফিরে এলো


দরজা খুললে
রাস্তার আলো 
পথ দেখালো
        তোমায়

দমকা হাওয়া দিল
তুমি রাস্তায় নামলে
    ফিরে তাকালে

আমি নিঃশব্দে বললাম, 
              যেও না

তুমি


আমার কল্পনা আসে না
তোমায় আমি 'তুমি' বলেই জানি
আমার তুলনা আসে না
তোমায় আমি 'আমার' বলেই মানি
আমার বুকের মধ্যে বোবা অনুভূতি
প্রাণকেন্দ্র তুমি
এতটা জানি
তোমায় হারালে সংসারে আমার
কিছু নেই আর হারাবার
তা প্রতিটা শ্বাসে মানি

যাবার আগে


যাবার আগে
   আলোটা নিভিয়ে
দরজাটা ভেজিয়ে যেও
         যেন তুমি আসোনি কখনো

আমি মনকে ভুলিয়ে
     পাপোশটা ঝেড়ে আসব
মুছে আসব চটির দাগ
         এটা আমার রোজকার অভ্যেস

হলই না হয় বাঁ হাত


আমায় দেবে বলে, সে এলো-
অনেকগুলো কাঁটা
এক পাত্র বিষ
আর এক দাবানল আগুন 
                        নিয়ে

বারবার


বারবার উঠে দাঁড়াতেই তো চাইছি
মাটিতে পড়ে মাটিকেই ভর করে

অন্ধকারে পা ফেলছি, 
        আজ না, প্রতিদিন
এক পা, দু পা করে এগিয়ে এসেছি
তবু আজও ভয়
পরের পাটা পড়বে কোথায়?

ঋণ


চোখের কোল কালো ছিল
                    কাজলে
চোখের কালো মণি
চোখের জলকে বলল, 
ছুঁয়ে আয় ওকে
বেয়ে পড়ুক সে দু-গালে।

দু-গালেতে কালো জলের দাগ
মুখ হল সাজসজ্জাহীন
বুকের ব্যাথা চোখকে বলল
কিসে শুধাব গো এ ঋণ?

মিছিমিছি কথা


তোমার সাথে রোজ কথা বলি
এ কথা, সে কথা, কত কথা

প্রতিদিন তোমার কত কথাই শুনি
এ কথা, সে কথা, কত কথা

এ সব গুলোই মিছিমিছি

আসল কথাটা দু'জনেই যাই এড়িয়ে 
সে কথায় ঢাকি, নানা কথার ঢাকা
এ কথা, সে কথা, কত কথা

বাণী


ঈশ্বরের কাছে ঈশ্বরকে না পেয়ে ফিরেছি অনেকবার
মানুষের মধ্যে পেয়েছি তাঁকে আচমকাই
মুগ্ধ হয়েছি, তৃপ্ত হয়েছি, হয়েছি পবিত্র

কিনারা


রাস্তার দুটো ধারই রাস্তা বানায়
না হলে তা মাঠ
নদীর দুটো তীরই নদী বানায়
না হলে তা বন্যা
দিগন্তের রেখাই করে আকাশ মাটিকে আলাদা
দুজনের হাতে হাত মিলিয়েই

আমার কিনারা আমায় ঘিরে তুমি
না হলে আমার 'আমি' দিশাহারা

Subscribe to কবিতা