Skip to main content

এসো


তুমি এসো
তোমার নিজের জায়গায়
          নিজের মত বসো

আমি বাইরে থেকে খানিক আসি ঘুরে
   বলে আসি ওদের - 
        তোমায় আমি পেয়েছি অন্তঃপুরে

যাই


সব ছড়ানো থাকবে
আমি চলে যাব
      চলে যাব

আমার পায়ের ছাপ
উড়িয়ে নেবে হাওয়া
       ধূলো উড়িয়ে চলে যাব
   ঝড় থামিয়ে চলে যাব

আছো


ভিতরে আছো
ভিতর হয়ে আছো

মিলিয়ে আছো
ভিতর বাইরে জুড়িয়ে আছো

ঘিরে আছো
চারপাশেতে পরিধি হয়ে
  প্রেমের বৃত্তে কেন্দ্র হয়ে আছো

হয় না


মেয়েটার কিছু শাড়ি আলনায় রাখা
               এগুলো রোজ লাগে
কিছু শাড়ি আলমারীতে তোলা, গোছানো
         ভাঁজের পর ভাঁজ খোলে
   আবার ভাঁজ করে রাখে
ভাঁজের রেখায় রেখায় আটকে তার শখ

অসত্য


যে আগুন জ্বালিনি
সে আগুনে পুড়ল ঘরদোর
যে ঝড়কে ডাকিনি
সে ঝড় উড়িয়ে নিল এক উঠান শিউলি
যে কথা বলিনি
সে কথা পাঁচকান হেঁটে এসে বসল বিছানায়
যে স্বপ্ন দেখিনি
সেই স্বপ্ন ঘুমের আকাশে আনল ধূমকেতু
এ সবের পরেও
আমি নিষ্ঠুরের মত পিঁপড়ের গর্তে জল ঢেলেছি
ওদের গোপন দংশনকে উপেক্ষা করে
যে আমি ওদের ডাকিনি
তাদেরই ভাসিয়ে ছেড়েছি

অজন্তা


বহু শতাব্দী পেরিয়ে
অজন্তার গুহার সামনে এসে দাঁড়ালাম
প্রাচীন শতাব্দী আমার কাঁধে হাত রাখল
গুহাগর্ভের মধ্যে অনাবশ্যক চীৎকার
কোলাহল, গুহার শান্তিকে তখন ক্ষত বিক্ষত করছে,  
আধুনিক বর্বর কৌতুহলে
শান্ত বুদ্ধ মূর্তির দিকে চোখ গেল
একটাই কথা প্রতিটা ধূলিকণায়
  - শান্ত হও, জড়তায় না, উপলব্ধিতে।


(ছবিঃ আদিত্য পাল) 

আবছায়ার কথা

ছায়ার ভিড়ে ভিড়ে সার দিয়ে 
          মিশে কিছু কথা
ওদের ছায়া পড়ে না
রাতের বেলায় পেঁচার ডাকে
যখন সাদাডানা পরীরা দুঃস্বপ্ন দেখে
হাড় হিম করা ঠাণ্ডা হাওয়া
          কবরের গায়ে আঁচড় কাটে
তখন ওই ছায়ারা মুখের ঘোমটা সরিয়ে

অভিমান


অনেক ধূলোবালি এক জায়গায় জড়ো করলে,
নিষ্ঠা নিয়ে।
ভাবলে তার মাথায় হবে 
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ

হল না

ধূলোবালি মাখা সারা গায়ে
নিজের হাতের আঁকিবুঁকি কাটা আস্তরণ
ভেবেছিলে ওগুলো হবে আলপনা, 
                কল্কা কাটা নকসা

হল না

তর্পণ


যেদিনই তোমার জন্মদিন থাকত
আমি বলতাম-
ধুর্, মায়ের আবার জন্মদিন হয় নাকি!
যেমন আকাশের কোনো জন্মদিন নেই
মাটির কোনো জন্মদিন নেই
খুশীর কোনো জন্মদিন নেই
তেমন তোমারও কোনো জন্মদিন নেই।

তুমি হাসতে

সেই ভাল


সব হাসি কি প্রসন্নতার?
কত হাসি মতলবেরও

সব খবর কি ঘটেছিল?
কত খবর কল্পনারও

যা কিছু ভাই এদিক ওদিক
বুঝবি যে সব, তার নেই ঠিক

তার চেয়ে ভাই আশমানেতে
ঠ্যাঙ তুলে শো, চিৎপাতেতে

মারুক ধরুক কাড়ুক নাড়ুক
ফুল চন্দন কি পোকাই পড়ুক

তোর কি কাজ সেদিক পানে
মন মজা তোর মাঠের গানে

Subscribe to কবিতা