Skip to main content

কুঁড়ি

Normal 0 false false false

না-স্পর্শ


আমি যে ঠিক প্রতিশোধ নিতে চাই
                           তা না
আমি যে ক্ষমা করেছি সম্পূর্ণভাবে

সুখ

সুখ খুঁজে মন জনম গেল 
       হেঁটে বেড়াস কানাগলি
কি সুখে সব সুখ খোয়ালি
         নিজেই নিজের চোরাবালি

ডুব দে রে মন মাঝপুকুরে
      জলে ছায়ার মায়া ছাড়
লাগবে মাটি পায়ের তলায়
      মন একডুবেতে ছারখার

নয়


বাতাস ঢুকল পর্দা উড়িয়ে
এসেই প্রশ্ন, গলা জড়িয়ে

এসেছিল বুঝি, ফিরে গেল?

কি ভাবে খবর হল?

তোমার গায়ে এখনো যে তার গন্ধ

যা অসভ্য! আগল করি বন্ধ

লজ্জা হল?

বয়েই গেল

মরবি নাকি!

সে আর বাকি?

কতবার মলি? তাও গোনা হয়?

হাজার কোটি উনিশ লক্ষ নয়

নয়েই শেষে আটকে গেল, কি ভয়?

মরণ


ভ্রমর বাতাসকে বলল, তুমি ভারী বুদ্ধু।
বাতাস বলল, কেন? 
ভ্রমর বলল, সারাদিন থাকো ফুলের আশেপাশে, তবু চাও না একবিন্দু মধু। 
বাতাস হাসল। ভ্রমর বলল, হাসলে যে! লুকালে বুঝি কিছু? 
বাতাস বলল, না তো। 
ভ্রমর বললে, বলো তবে কি পাও?
বাতাস বলল, ওর গন্ধ।
ভ্রমর ফুলকে বলল, আর তুমি কি পাও?
ফুল বলল, ওর স্পর্শ।

বাগান


সব বাগানের দরজায় তালা থাকে না
এমনকি সব বাগান পাঁচিলে ঘেরাও না

কিছু কিছু বাগান এমন আছে -
যেখানে ঘেঁটু ফুল সেজে 
    পারিজাত ফোটে গাছে

গেছি সে বাগানে বারেবারে সব ভুলে
মালির দু'হাত সুরভিত নানা ফুলে
সে বিনা দ্বিধায় দিতে পারে সব ফুল
    তেমন তোমার নেওয়ার সাজি হলে

তোমার সাথে বারোমাস


দিনরাত সব পুড়ছে
ছাদেতে না ঘুমানো রাত
আকাশে তারারা প্রতিবেশী
       তুমি উদাসী উন্মুখ
আমার উদাস আত্মসুখ

বাইরে ঘন বর্ষা
অনালোক ঘরবার
আমার হাত-বালিশের উপর
       তোমার ঘুমন্ত মুখ
আমার অতল আত্মসুখ

তুমিও তাই বলবে?


যে রাস্তাটা অর্ধেক হেঁটে ফিরে গিয়েছিলে
আমি এখনো ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে

দেখতে দেখতে কত কি পাল্টে গেল
কত কেউ এলো গেলো
আমি এক বিন্দুও নড়িনি
                      দেখো

Subscribe to কবিতা