Skip to main content

যদি সাড়া দাও

কাজল তো আগেও দেখেছি
এর ওর তার চোখে। নিরীহ কালো বাঁকা দাগ।
সে কাজল এমন খুনী হয়?
        আগে জানতাম না জানো
তোমার চোখে দেখার আগে

যাও

ধর্ম, শাস্ত্র, নীতি - তোমরা দূরে যাও
   আমার লাগছে
আমার গলায় তোমাদের দশ আঙুলের দাগ
আমার দম আটকাচ্ছে, যাও -

তোমাদের নরকে আমার ঠিকানা লিখে রেখো
আমি যাব, আনন্দের সাথে যাব, স্বেচ্ছায় যাব
কোনো অভিযোগ থাকবে না আমার

শূন্য আমি


ফুল তোলার কথা ছিল
তুলিনি

চন্দন বাটার কথা ছিল
বাটিনি

মালা গাঁথার কথা ছিল
গাঁথিনি

ভোগ রাঁধার কথা ছিল
রাঁধিনি

বেলা গেল, বেলা হল, বেলা গেল
তবু উঠিনি, উঠিনি, উঠিনি

"তুমি তো নাই, নাস্তিক আমি!"
বলে পাশ কাটালাম বাইরে

ওরা আছে, আশেপাশে


তোমার ফেলে যাওয়া কয়েকটা গ্রীষ্মের রাত
তোমার হেঁটে যাওয়া কয়েকটা বর্ষার সন্ধ্যে
তোমার কুয়াশা ঢাকা কিছু উষ্ণ আলিঙ্গন

এখনও ছায়ার মত আমার সাথে ফেরে

যখন মাঝরাতে কয়েকটা কুকুরের সাথে হাঁটি
যখন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে জলতেষ্টা পায়
যখন মাঝরাতে দূরে রেলগাড়ির আওয়াজ শুনি

তখনও

পণ


মন্ত্রমুগ্ধের মত চেয়ে বসে আছে দম্পতি। দত্তক নেবে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মা হতে না পারার মাশুল। অপমান।
অনাথ শিশু ধুলোতে। না খাওয়া, রুগ্ন শরীর। উচ্ছিষ্ট যাচকের বেঁচে থাকার সাধ! অসহ্য!
সমাজ। নিয়ম। আইন। উকিল। নির্দেশাবলী।
শিকড় পাথর চিরবে।
পণ। জেদ। স্বপ্ন। দুই ভিখারীর সাধ।

অনাসক্ত

ফুলের সুগন্ধ বাতাসে ভর করে এলো
    দুহাত বাড়ালো
বলল, আমায় নাও

ক'টা সাঁতারে

মাতালটা পুকুরের ধার ঘেঁষে বসে
চিৎকারের সাথে বেরোচ্ছে, বিষবমি,
                      অশ্লীল শব্দ বন্ধনে
    শুনছে কে?
শান্ত পুকুর সন্ধ্যার অন্ধকারে একলা সাক্ষী
কিছু জোনাকি, আধ-ঘুমন্ত কুকুর

আমি

আগুনে হাত দিলাম

লক্ষণরেখা

এ চৌকাঠ আমার লক্ষণরেখা
আমার শৈশব, আমার কৈশোরকে রাখবে আড়াল
আমি জানি বাইরে সব হাত আদর করে না আজ
সব চোখে স্নেহ নেই, আশীর্বাদ নেই সব মনে আজ

বাইরেটা আজ কেন ভাঙা খেলার মত বাজে?
আমার হাঁটা চলা কেন দুদিক খেয়াল রেখে?
মায়ের চোখে এত কেন ভয় একটু দেরি হলে?

জানি না।

ভূমিসূতা

মেয়েটার হাত বিছানো
         আলতো করে
              নরম মাটি ছুঁচ্ছিল

আড়চোখে সে নীলাকাশে চেয়েছিল

Subscribe to কবিতা