ও খিদে পেলেই খাবে
ও খেতে ইচ্ছা হলে আপনিই খাবে...
শুশ্রূষা
শুশ্রূষা শিশুর হাসি
শুশ্রূষা তারায় তারায়
শুশ্রূষা তোমার গানে
শুশ্রূষা নোঙর তোলায়
শুশ্রূষা সবুজ ঘাসে
শুশ্রূষা গাছের ছায়ায়
শুশ্রূষা চোখের জলে
শুশ্রূষা বর্ষা ধারায়
শুশ্রূষা বিরাগী মনে
শুশ্রূষা পথের ধুলায়
শুশ্রুষা আমায় ভুলে
আমাকেই খুঁজে ফেরায়
শুধু এই
ঘটনাটা শুধু এই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
ঘটনাটা শুধু এই
শুধু এই
হ্যাঁ ঘটনাটা শুধু এই-ই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
আর কিছু না
ঘটনাটা শুধু এই
দেখা হয়নি কয়েকদিন
শুধু এই
শুধু এই
শুধুই এই
আমার বিবেকানন্দ
বিবেকানন্দকে প্রথম দেখি
প্রাইমারি স্কুলে পড়তে
সেই যে বস্তির লোকটা
কি একটা দুর্ঘটনায় মারা গেল
তার বুড়ি মা আমাদের বাড়িতে ভিক্ষা করতে এলো
ওর পিছনে পিছনে এসে দাঁড়ালো বিবেকানন্দ
কিছু বলছিল না
শুধু বড় বড় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল
জেগে থাকো
সমস্তটুকু আড়ালেই ছিল
আমিও ছিলাম
যেদিন সবটুকু বাইরে এল
আমিও নিজেকে নিয়ে বাইরে এলাম
বাইরে সেদিন কিসের যেন মেলা
বাইরে সেদিন কিসের যেন উৎসব
ক্রমশ হাত ছেড়ে গেল
রেশ কেটে গেল
সুখ ভ্রান্তিতে মিশে গেল
ঘুম যখন ভাঙল
ভাঙা মেলার ফিরে যাওয়া
উৎসব শেষের অবসন্নতা
চাতুরী
কোনো অনুকম্পায় না
বড় কাঙালপনায় আমার শালটা
তোমায় গায়ে জড়াতে দিয়েছিলাম
মহত্ব না,
এ চাতুরী
শুধু সুবাসটুকু চুরির আছিলায়
ভাগ্য বরাদ্দ সময় পেরিয়ে
আরেকটু কাছে চেয়েছিলাম
দুই সত্য
সংসারে দুটো সত্য আছে।
একটা সত্যকে যুক্তি চেনে। তার দৃষ্টি আর কতটুকু? গভীর অন্ধকারে স্ট্রিট লাইটের অহংকার যতটুকু।
আরেক সত্যকে চেনে হৃদয়
যখন মুমূর্ষু রুগীর চোখে রেখে সকরুণ আশ্বাস
চিকিৎসক বলেন, এই তো সেরে উঠলেন বলে
কোনো সংশয়ের নেই যে অবকাশ
সেদিন রাত
সেইদিন রাত, কি অন্ধকার
"যেন অন্ধকার ছাড়া রাত হয়!"
সেইদিন রাত কুয়াশা জড়ানো
তারা ভরানো
কি শীতল, কি যে শীত
"পৌষের রাতে সেদিন যেন প্রথম পড়ল শীত!"
সেইদিন রাতে স্ট্রিট লাইট জ্বলছিল
"যেন দিনের আলোয় স্ট্রিট লাইটগুলো জ্বলে থাকে"
সেইদিন রাতে হাস্পাতাল কি নিঃশব্দ নির্জন
অপরাধবোধ
মাথার মধ্যে কোনো বোধ না
এক অজানা অপরাধবোধ কাজ করে
কোথায় যেন কি একটা ভুল হচ্ছে
বারবার হচ্ছে
তবু কেউ থেমে যাচ্ছি না
শুধরে নিতে চাইছি না
অন্যমনস্কতায় কারা যেন এসে দাঁড়ায়
ছায়ার মত হাঁটতে থাকে পাশে
অদৃশ্য অভিমান
উষ্ণ শ্বাসের মত ছুঁয়ে বলে
"এলে না তো"
তুমি সুন্দর
বিদ্যুৎ ঝলসে উঠে সামনে এসে দাঁড়ালো
বলল, এখনও ভয় করে না আমায়!
...