এ বুদ্ধিকে কি বলো তুমি?
এই যে মাঝে মাঝে
যাব যাব বাই ওঠে তোমার
ভাবটা এমন
যেন ধুম করে চলে গেলেই হয়
চৌকাঠ পেরোলেই আদিগন্ত সমুদ্র
নাকি খোলা তেপান্তরের মাঠ
নাকি হিমালয়ের কোল
কারা এত ডাকে তোমায়?
আমার মুখের দিকে তাকিয়ে
সত্যি করে বলো তো?
হাতের নাগালে যা আছে
সবাই সেক্যুলার
ভারতবর্ষে কে না সেক্যুলার, ধনি?
আমরা সবাই সেক্যুলার
নিজের মত করে সবাই সেক্যুলার
আমাদের মন্দির মসজিদ গীর্জা সব সেক্যুলার
স্কুলের সরস্বতীপুজো থেকে
থানায় কালীপুজো
কারখানায় বিশ্বকর্মা
সব সেক্যুলার
কিছু যেন তার
দূর থেকে
দূর থেকে মনে হয়
ভীষণ কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আমরা
কাছে এসে দেখো
এক একজনের মধ্যে
যোজন যোজন ফাঁক
সেখানে বিস্তর অন্ধকার
আশ্রয় দিয়েছে কিছু জোনাকিদের
দূর থেকে মনে হয় যেন তারা
শুধু তোমার কথা মনে পড়ে
আমার পুরী যেতে ভালো লাগে না
সারাদিন সমুদ্রের একটানা গর্জনে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
আমার লাভা, লোলেগাঁও, দার্জিলিং, কালিম্পং যেতে ভালো লাগে না
কুয়াশায় ঢাকা স্থির নিশ্চল পাহাড় দেখতে দেখতে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
দুই খানেতেই
- ঈশ্বরের নিবাস কোথায়, বিশ্বাসে না সংশয়ে?
- দুই খানেতেই
- শুভবুদ্ধি জাগে কই, ভালোবাসায় না ভয়ে?
- দুই খানেতেই
- ভালোবাসার বাস চেতনায় না অন্ধকারে?
- দুই খানেতেই
- আচ্ছা মুশকিল। একটা কিছু ঠিক করে তো বলো। সত্যটা তবে কই?
- দুই খানেতেই
কারণ তো শুধু এই
বারবার ভুলে যাও কেন
বেরোনোর দরজা
আলগা করে রয়ে ভেজানোই
বেরিয়ে যাওয়া যায়
চাইলেই যে কোনো সময়ে
অন্যের ঘুম না ভাঙিয়ে
একান্তেই
সে দরজা খুঁজে পাও না
দেখতে চাও না তাই
কি করে জানবে বলো?
খবরের কাগজে কি সব খবর লেখে বলো?
এত যে তোমরা কেন রাতদিন খবরের কাগজ পড়ো, বুঝি না বাপু!
এই তো আজ সকালে স্কুলে যাচ্ছি
বাপির বাইকে চড়ে
দেখলাম কালো কুকুরের বাচ্চাটার একটা পা রয়েছে ভেঙে
লেংচে লেংচে চলছে
লিখেছে তোমাদের কাগজে?
তোমার গন্ধেই তো
বন্ধ দরজা খুলতেই
সারা ঘর জুড়ে তুমি
তোমার গায়ের গন্ধ
তুমি এসেছিলে
এ কথাটা শুধু
আমার বুকেই বিঁধে ছিল না তবে
ভুলে গিয়েছিলাম,
তোমার গন্ধেই তো
আমায় ঘিরে বসন্ত