তুমি ভাবলে নিষ্ঠুরতা
আসলে ভয় আমারই
হাত বাড়ালে যদি
হাতটা না ধরো
আর হাত না বাড়ালে
যদি অভিমান করো
এ দ্বিধায় আমি
দ্বিখণ্ডিত
তুমি ভাবলে
নিষ্ঠুরতা
অল্প
অল্প অল্প সুখ। অল্প অল্প ক্ষোভ। অল্প অল্প সাধ। অল্প অল্প স্বপ্ন। অল্প অল্প রাগ। অল্প অল্প প্রতিশোধস্পৃহা। অল্প অল্প অসহায়তা। অল্প অল্প বিষণ্ণতা। অল্প অল্প মহত্ব।
এরপর একটা অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু।
কোন ভয়টা বেশি?
যা বলার ছিল
বললাম না
তুমিও বললে না
কথা শেষ হল
অসম্পূর্ণ কথাগুলো
জালে আটকানো পোকার মত
দপদপ ছটফট করছে
বুক মাথা জুড়ে
উড়তে চাইছে, বাঁচতে চাইছে
ভয় পাচ্ছ
তুমিও
আমিও
কোন ভয়টা বেশি ?
উড়ে এসে ঠোঁটে বসার?
না মৃত হয়ে বুকে চেপে থাকার?
যা চাই
সবাই কি বিচিত্র বিচ্ছিরি একটা খেলা খেলছে
পাইয়ে দেওয়ার
সবাই অনেক কিছু দিতে চাইছে
রাস্তা, আলো, জল, টাকা, সুখ
এ সব তো চাই আমরা
কিন্তু কেউ ওদেরকে গিয়ে বলুক
আমরা শুধু এইগুলোই চাই না
আমরা চাই যাকে শাসনের ভার দিয়েছি
সে বাধ্য হোক শুধু নিজের বিবেকের কাছে
আমরা চাই আস্থা রাখতে
শিক্ষা স্বাস্থ্য বিচার ব্যবস্থায়
যখন তোমরা
যখন তোমরা হাততালি দাও
যখন তোমরা বাহবা দাও
তখন তোমরা
বসুদেবায়কুটুম্বকম
যখন তোমরা নিন্দা করো
যখন তোমরা আঙুল তোলো
তখন তোমরা মেরীর ছানা
দুষ্টু ভীষণ, বুদ্ধি কম
জানতে পারে না
নার্সিংহোমের বিলের
ম্যারাথন রেস
কোনো রকমে থামিয়ে,
সরকারি হাসপাতালে শিফট করা হয়েছিল,
তারপর বার্নিংঘাটে
ওয়ালেট থেকে
ওই ক’টা মাত্র টাকা বার করার সময়
প্রহসন
১
===
প্রজাতন্ত্র প্রজাতন্ত্র
বলো তুমি কার?
যাদের পাছায় নরম গদি?
নাকি যারা ধুলোয় একাকার?
প্রজাতন্ত্র প্রজাতন্ত্র ডাকে মায়
প্রজাতন্ত্র লুটে কারা খায়?
গুলি লাঠিতে দাঁড় বায়
প্রজাতন্ত্র তুই ঘরে আয়
কৃষক গেল অধিকার চাইতে
শাসক ঘরের কূলে
প্রাণ নিয়ে গেল নিষ্ঠুর শাসক
ভরসা নিয়ে গেল তুলে
চুপ করে গেলাম
নিশ্চিন্ত একটা জীবন।
ঈশ্বর। গুরু। ধর্ম। অর্থ। আইনকানুন। বিনোদন।
কেউ দিতে পারল কই?
বরং আরো গোলমাল করে দিল সব,
আরো জটিল।
সব শেষে মন জিজ্ঞাসা করল
আসলে কি চাইছিলে?
কিসের জন্য এত দৌড়াদৌড়ি?
বললাম, নিশ্চিন্ত জীবন।
আমি যে দেখতে শিখিনি
দুয়ার তো আমারও ঘরের ভেঙেছে
ঝড়ের রাতে
রবীন্দ্রনাথ
আমারও ঘরের আলো নিভেছে
হয়েছে সব কালো
রবীন্দ্রনাথ
নাকি অ্যাডজাস্ট হচ্ছে না?
শুনলাম তোমাদের নাকি অ্যাডজাস্ট হচ্ছে না?
কেন বলো তো?
তোমাদের নাকি একে অন্যের উপর প্রচুর অভিযোগ!
হয় তো সে সব সত্যি