Skip to main content

"আপন দুটি চরণ ঢাকো"

প্রত্যক্ষ চাপ তো জীবনে আছেই। আরেকটা আছে পরোক্ষ চাপ। যখনই আমি কারোর নিন্দা করছি, বা সমালোচনা করছি, তখনই আমার মনে একটা ক্ষোভ, বিদ্বেষ, বিরূপতা তৈরী হচ্ছে। সেটা আমার মনের পক্ষে অতিরিক্ত চাপ।
তার চেয়ে থাক। 'আমি কারোর স্বভাব শুধরাতে পারি না' এই সহজ সিদ্ধান্তটা মেনে নিলেই হল।

"সে থাকে না, থাকে বাঁধন"

আমার ধরা ছোঁয়ার জগতে যখন তোমায় চাই, তখন তোমার সাথে সাথে নিজেকেও বেঁধে ফেলি সীমায়। সে সীমা নিরাপদ বটে, তবে সে সীমাতে গর্বেরও কিছু নেই। আমার মাথার ওপর যে নীলাকাশ, সে তো আমার প্রয়োজনের বস্তু না, সে আমার মুক্তি! সারাদিন সংসারে জোয়াল বাধা ঘূর্ণিতে, একটু ফাঁক পেলেই চোখ যায় ঐ দূরের নীলাকাশটায়। তখন সে দূর কই?

"হাতের নাগালে পেয়েছি সবারে নীচুতে"


সেই কবে থেকে কিছু জিনিস জোগাড় করতে শুরু করেছিলাম। কয়েকটা জিনিস বানাতেই হবে এমন সাধ ছিল। একটা অট্টালিকা, একটা ওই উঁচুতে - যেখানে দেবা-দেবীরা থাকেন, সেখানে ওঠার সিঁড়ি, আর বিশাল একটা সেতু।

মার্জনা


সবচাইতে বড় আড়াল নিজের সাথে নিজের আড়াল। যে করেই হোক নিজের মুখোমুখি হতেই হবে। যা কিছু পাপ, তাকে মাথা নীচু করে স্বীকার করে, জোড় হাত করে নিজের অন্তর্যামীর সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে।
 

সুখ ও আনন্দ

আনন্দ আর সুখের পার্থক্যটা হল খোলা হাওয়া আর পাখার হাওয়ার মত।
 
পাখার হাওয়া পেতে আমার কিছু শর্ত আছে। একটা ঘর চাই, পাখা চাই, তার চাই, সুইচ চাই, সর্বোপরি বিদ্যুৎ চাই। তবে গিয়ে পাখার হাওয়া।
 
শুধু তাই না। পাখার নীচে যদি কেউ বসে, তাকে তাড়াবার কৌশলও ভাবতে হয়। সুখ এমন ধারাই। অন্যকে তাড়াতে চায়। না হলে তার নিজের ভাগে কম পড়ে।
 

মন


সবাই বলল মনটাকে শক্ত করো। উনুনে আঁচ দিয়ে, তাতে ঘুঁটে, কাঠ কয়লা সব ঢাললাম। আঁচ গনগন করে উঠল। মনকে চড়ালাম। শক্ত হল। শক্ত হল, শুধু বাইরেটাই। ভিতরে একটুও আঁচ ঢুকল না। 

বাইরেটা এত শক্ত এখন, যে বৃষ্টির ছিটে বাইরে আসে না, কিছু ভেঙে পড়ার আওয়াজ কান পাতলেও বাইরে থেকে শোনা যায় না, ঝড়ের দাপটও শুধু ভিতরেই আছাড় খেয়ে মরে। 

ভাল ও খারাপ


এমনটা অনেকবার হয়েছে। কোনো একজনকে খুব খারাপ ভেবে তাকে আমার বাগানে খুব চোখে চোখে রেখেছি। যেই না চোখের আড়াল করেছি, অমনি সে হয়তো গাছের একটা ডাল মট করে ভেঙে দিয়ে পালাল। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তো সুযোগ পেলেই সব গাছগুলো উপড়ে ফেলবে বা বাগানে গরু ঢুকিয়ে সব নষ্ট করবে। তা না, শুধু একটা ডাল!

একাকীত্ব ও নিঃসঙ্গতা

একাকীত্বের সাথে নিঃসঙ্গতা রোজই সকালে বেরোয় বেড়াতে।
একাকীত্ব নিয়ে আসে মুঠো ভরা ফুল, চোখ ভরা বিস্ময় আর বুক ভরা গান।
নিঃসঙ্গতা নিয়ে আসে মুঠো ভরা ধুলো, চোখ ভরা ঈর্ষা আর বুক ভরা দীর্ঘশ্বাস।

আমি বলি কেন এই রকমই হবে?

পৃথিবী


প্রতিটা মানুষ তার একটা নিজের পৃথিবী নিয়ে ফেরে। তাতে তার নিজস্ব নদী, পাহাড়, বন, সমুদ্র সব আছে। তার হাতে লাগানো বাগান আছে, তার হাতে তৈরী ঘর আছে। সে পৃথিবীতেও তার বাইরের পৃথিবীর মতই ঋতু পরিবর্তন হয়। গ্রীষ্মের তাপ যেমন লাগে, বসন্তে ফুলও তেমন ফোটে। বর্ষা যেমন প্লাবন আনে, শীত তেমন কুয়াশাতেও ঢাকে।

Subscribe to চিন্তন