Skip to main content

গয়না

নাকছাবিটা, কানের দুলটা, হাতের বালাটা খুলে পাশের বেডের স্বপ্নাকে দিল। রাখতে। স্বপ্না বিশ্বস্ত বলে না, আর কাউকে দেওয়ার নেই বলে। স্বপ্নার দু'দিন দেরি আছে আরো। ত

শান্তি ও সান্ত্বনা

সান্ত্বনা নেই। শান্তি আছে। যদি সান্ত্বনা চাই, তবে অনেক ব্যাখ্যা, অ

সহজতত্ত্ব

কল্যাণী স্টেশান চত্বরে বেশ কয়েকটা নার্সিংহোম। কোনোটায় খরচ বেশি, কোনোটায় অপেক্ষাকৃত কম। এক বন্ধুর সঙ্গে গেছি। বিকেলবেলা, ভিজিটিং আওয়ারে। অসুস্থ মানুষটার সঙ্গে

এমনকি

এমনকি নিজেকেও অপমান করতে নেই

 

রুমির বর্ণনাতীত ভালোবাসা

স্ত্রী জানে তার স্বামীর সঙ্গে তার বাড়ির পরিচারিকার প্রণয় আছে। স্ত্রী সারাদিন কড়া নজরে রাখে স্বামীকে

এলোকেশী

মৃত্যু মায়ের কাছে এসে দাঁড়ালো। মা প্রদীপ জ্বেলে বসে। মৃত্যু তার সন্তানকে নেবে। তার সময় হয়েছে।

যা কিছু

যা কিছু ভুলেছি। তা হারাইনি তো।

মা আসছেন

গোবিন্দ চক্কোত্তি এ পাড়ার কালী মন্দিরের পুরোহিত। ভীষণ নিষ্ঠা নিয়ে পুজো-আচ্চা করেন। সবাই বেশ শ্রদ্ধা করে। নির্লোভ মানুষ। শান্ত মানুষ। কিন্তু সেদিন পুরোদস্তুর

জল

"শনি-মঙ্গলবার বিষ হয় এই সাপের। দেখো আজ শনিবার। বাজে ভাবে কামড়েছে। কিন্তু ঠিক জায়গায় এসে পড়েছ। কিচ্ছু হবে না। সব ঠিক করে দেব। তুমি ওকে শুইয়ে দাও মাটিতে। আমি আ

পুরীকাণ্ড

এট্টু যদি ভালো করে ছবিটা দেখা যায়, দেখা যাবে আমার আর আরাধ্যার মাঝখান দিয়ে ইয়াব্বড় একটা হাতি দেখা যাচ্ছে। এটা নন্দনকানন। সেই যে বেড়াতে গিয়

সময়

যে সময়টা ছিল

অভিসারের আলপনায়

সকাল ন'টা। গঙ্গার হাওয়া ফুরফুর করে আসছে। সারাটা সকাল যে শরীরটা রান

আফগানিস্তান!

ইভি রামস্বামী পেরিয়ার, ১৯২৮ সালে ভারতীয় নারীদের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে লিখছেন,

যত বয়েস বাড়ছে

যত বয়েস বাড়ছে, বুঝছি, ভালোবাসা মানে এক স্বয়ম্ভু উদ্বিগ্নতা। স্বস্তি নেই।

এইটুকু কথা রেখো

পটার ধুম জ্বর। মাথাটা টোটোর রডে এলিয়ে বসে আছে। ঘোর লেগে আছে। টোটোটা অন্ধকারে দাঁড় করানো, একটা বড় গাছের তলায়। গাছের মধ্যে জোনাকি ফুটছে। পটা মাঝে মাঝে চোখ খুলে

বৈষম্য ও সাম্য

উপেন্দ্রনাথ দলাইকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রীতিমতো বকাঝকা করলেন,

সাক্ষী

কথা শেষ হওয়ার আগেই তো সে উঠে গিয়েছিল। একটা বেড়াল জানলায় বসে। আমার অপ্রস্তুত লাগছিল। বেড়ালটা আমার দিকে তাকিয়ে

কেঁদে ভাসাই পাড়া

কোনো মানুষের সঙ্গে, কি পরিবেশের সঙ্গে যত সহজে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা যায়, তত সহজে আপন হওয়া যায় না। না তো সে মানুষ, সে পরিবেশ আমার আপন হয়, না আমি হই তার আপন।

সিন্নি

রীতা ভাঙা পাল্লাটা ঠেলে ঢুকতেই হিসির গন্ধ পেল। নীলা উপুড় হয়ে শুয়ে। নাইটিটা হাঁটুর উপর উঠে। একটা হাতে গ্লাস ধরা ছিল, উলটে পড়ে আছে যেটা মেঝেতে, আরেকটা হাত মেঝে

সমাজ, মিথে ও সত্যে

সমাজকে না জানলে নিজেকে জানা সম্পূর্ণ হয় না। সমাজের ভিত্তি মনুষ্যত্ব। মনুষ্যত্ব কি সে নিয়ে বাচিক তর্কে গিয়ে লাভ নেই। কাকে সবুজ রং বলে<