Skip to main content

আঁচ

রুক্মিণী আঠারো বছর রুটি বানালো, বিক্রি করল, মেয়েদুটোকে মানুষ করল, কেউ জানলই না যে তার বর এই দোকানের নীচেই চাপা পড়ে আছে, বিষাক্ত তরকারি আর রুটি খেয়ে, যে রুটি

রাইকিশোরী

আমি রোজ ভাবছি পলাশ নিয়ে আর গল্প নয়। কিন্তু রঙটাই এমন। দুটো বাচ্চা,

অপার্থিব

ডান হাতটা ময়লা শাড়িটার আঁচলে বার কয়েক মুছে, মাথার ঝুড়িটা মাটিতে না

উদাসীন

শিমুল দুশোটা কবিতার বই ছাপিয়েছিল। বইমেলার শেষে দেখল বিক্রি হয়েছে আটত্রিশটা। এক এক বইতে তিরিশটা কবিতা। একদম সাধারণ ছাপা। পুরুলিয়াতেই। বন্ধুর ছাপাখানা। অল্পেই

যদি উত্তর দেয়

ইলা মৃত্যুর পর কাশী চলে এলো। বিরাশি বছরের হাত-পা-বুক-মাথা-পেট ছেড়ে আসতে ব্যথা পেল কই?

বাংলা

যখন বৃষ্টি শুরু হয়, মেঘ নেমে আসে মাঠের উপর দিগন্ত ছুঁয়ে, মনে হয়, য

রামকৃষ্ণদেব ধর্মসমন্বয় করেননি

সারদাদেবী বরাবরই আমাকে বিস্মিত করেন তাঁর সাধারণ অথচ গভীর অন্তর্দৃষ্টি এবং তাৎক্ষণিক সঙ্গতিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায়।<

সং

যে ফুলগুলো মালা গাঁথায় কাজে লাগে না, হাটে বিক্রি হয় না, খুঁত থাকে

শিমুল আর হলুদ ফ্রক

সূর্য তো ওঠে ডোবার জন্যেই। এই যে শিমুলফুলগুলো মাটিতে পড়ে, ধুলোয় মাখামাখি, ফুটেছেই তো ওইজন্যে। মানুষ জন্মায়ও তো…..

শুধু তাকেই

পটলার যখন বিয়ে হচ্ছিল, তখন পাড়ার সবাই বলেছিল, এমন মা না হলে ছেলেটা যে কোথায় ভেসে যেত। এমনকি পটলার যখন ডিভোর্স হচ্ছিল তখনও পাড়ার সবাই বলেছিল, এমন মা না হলে ছে

সব থেকে যায়

শ্মশানের বাইরে ছাওয়ায় বসে আছেন। মাটিতে নয়। চাকা লাগানো চেয়ারে। হাতে প্লাস্টিকের বাটি থেকে ভাত ডাল চামচে করে খাচ্ছেন। চাকা লাগানো চেয়ারে ঝোলানো বড়ি<

জাহান্নাম, দুটো

সনাতনের মৃত শরীরটা নিয়ে ভাবনা ছিল না, ভাবনা ছিল মনটা নিয়ে। মানুষের শরীর মরে, মন তো মরে না। মন, কথা হয়ে বাতাসে, গাছে, মাটিতে বিঁধে থাকে। বেঁধে। জ্বালা দেয়।

ভালোবাসা আর্থসামাজিক

ইউনিভার্সাল ভালোবাসার কোড বলে কিছু হয় না। ভালোবাসা ভীষণভাবেই আর পাঁচটা অনুভবী অস্তিত্বের মত আর্থসামাজিক আর ভৌগোলিক অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত। আমি 'ভালোবাসা' শব্

একফালি আলো

ধান্দাবাজ হলে অনেক কিছু হয়, খাঁটি কিছু হয় না। এই সহজ সরল সত্যিটা প

কাগজের নৌকা

অনবরত বৃষ্টি পড়ছে। জানলা দিয়ে ছাট আসছে। তবু বন্ধ না করে মোটা চশমাটা চোখে লাগিয়ে হাঁ করে বৃষ্টিভেজা রাস্তা দেখছে।

ডাকঘর, এ যুগের ভাগবত

যখন নিজের ক্ষুদ্র বৃত্তে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুকে নিয়ে লড়েছি, লড়ে যাচ্ছি, সে অনুভব একরকম। আর এই যে এক লহমায় হাজার হাজার মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাওয়া, সে আর এক রকমে

খিচুড়ি পায়েস আর চাঁদের আলো

মেলায় চারদিকে দেখি কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে খাচ্ছে। উঁহু, বইমেলা নয়, গাজীর মেলা। চারদিকে ধানক্ষেত। মাঝে গাজীবাবার সমাধি। তারপাশে বিরাট প্রকাণ্ড এক গাছ। চারদিক থে

ব্যবসার ফিকির

অ্যালজাইমার্স রোগটা কি মজার না? দারুণ মজার। এটা নিয়ে কি দারুণ সব সিন বানানো যায় না সিনেমায়?

দয়া

দরিদ্র রমণী এক, পুত্র সন্তান ক্রোড়ে, আসিলেন জঙ্গলে। রন্ধন উপযোগী শ

খেলার সাথী

স্টেশানের বাঁধানো বেঞ্চে বসে, বৃদ্ধা। হাতে জপের থলি। গায়ে নামাবলী। কপালে চন্দনের তিলক। তাকিয়ে আছে উল্টোদিকের প্লাটফর্মে। দুটো বাচ্চা, যে বাচ্চারা স্টেশানেই জ

হিমালয়ে গুহা চাইলেন না

রামকৃষ্ণদেব কোনো বিশেষ ধ্যানকক্ষ চাইলেন না। কিম্বা মথুরকে বললেন না, 'ওহে সেজোবাবু, হরিদ্বারে কি হিমালয়ের গুহায় আমার জন্য একটা সাধন কুটি বানিয়ে দাও তো হে!