Skip to main content

চাঁদ আর প্লেন

চাঁদের পাশ দিয়ে প্লেনটা গেল। বাচ্চাটা দাদুকে জিজ্ঞাসা করল, দাঁড়ালো না যে, দিদু উঠবে না? বেড়াতে যাবে না আজ?

কোম্পানির নামে পোশাকি নাম!

আমরা কথায় কথায় বলি, জেরক্স করাতে হবে। অবশ্যই কথাটা ভুল। এটা একটা কোম্পানির নাম। ফটোকপি শব্দটা ততটা লোকমুখে চালু নয়। অনেক ফর্মেও দেখেছি লেখা থাকে জেরক্স কপি ক

ভূয়োদর্শন

বাঙালিকে ভ্রমণ পিপাসু যদি বলা হয়, তবে পুরো কথাটা সত্যি হয় না। শীতে পরিযায়ী পাখি আসে কলকাতায়। সে এক আসা। দুর্গাপুজোয় হাজার হাজার বাঙালি এদিক ওদিক বেড়াতে যায়,

কে তুমি?

অন্তর্যামীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম

খেলার মাঠ

সাইকেলে ভর দিয়ে হাঁটতেন। সাইকেল চালাতেনও।

    রাস্তার পাশে মাঠ। কিছু বাচ্চা ফুটবল খেলছিল। বল এসে লাগল সাইকেলে। টাল সামলাতে না পেরে পড়লেন রাস্তায়। কনুই ছিলে রক্ত বেরোলো। কোমরে চোট পেলেন। ছেলেগুলো ভাবল উঠে যখন বসেছেন তখন নিশ্চয়ই দাঁড়িয়েও পড়বেন। উঠে সাইকেল চালিয়ে চলে যাবেন। তাই তারা হইহই করে "সরি দাদু… সরি সরি" বলতে বলতে মাঠে নেমে গেল।

আজীবন

পরাশরবাবু সুখী হতে শিখেছিলেন। আজীবন।


কেউ নতুন ফ্রীজ কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।


কেউ নতুন বাড়ি কিনেছে শুনলে খুশী হতেন।


কেউ নতুন চাকরি পেয়েছে শুনলে খুশী হতেন।


পরাশরবাবু খুশী হতে হতে সুখী হতেন। সুখী হতে হতে শান্ত হতেন।


প্রতিদিন একটা করে খুশীর খবরের অপেক্ষা করতেন।


যেদিন ছেলেটা জলে ডুবে মারা গেল

মর্ম

মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি আর আবেগ-অনুভবের মধ্যে খুব সুক্ষ্ম একটা জায়গা থাকে। তার কোনো নাম দেওয়া যায় না স্পষ্ট করে। তবু যদি নাম দিতেই হয় সে হল - মর্ম।

    যুক্তিবুদ্ধির কথা বলা সোজা, আবেগ-অনুভবের কথাও বলা সোজা। কিন্তু যে কথা মর্ম থেকে উৎসারিত হয়ে আরেকটা মর্মে প্রবেশ করে, সে কথার হদিস পাওয়া ভীষণ কঠিন।

একটা সন্ধ্যে আর ভাস্কর চক্রবর্তী

চারটে বত্রিশের কল্যাণী লোকাল ছেড়ে যাচ্ছে কল্যাণী সীমান্ত স্টেশান। শীতের সন্ধ্যে বড় আদেখলা। বড় তাড়াতাড়ি আসে। না বলেই। বিনা ভূমিকায়। বিয়ে বাড়িতে গুরুত্বপূর্ণ আত্মীয় আসার আগেই যেমন ভিখারিরা চলে আসে। আড়ালে বসে থাকে। খেয়ালে পড়ে না।

বেড়াতে যাওয়া

রাণাঘাট থেকে শিয়ালদা, আর শিয়ালদা থেকে রাণাঘাট। চল্লিশটা বছর কেটে গ

সেই দেশটার গল্প

এক দেশে একবার সবাই মিলে ঠিক করল, আর রাজা-সম্রাট নয়, একটা নতুন নিয়ম আনা হবে। সেই নিয়ে অনেক শলাপরামর্শ হল। সিদ্ধান্তও হয়ে গেল। কি সিদ্ধান্ত হল?

ঘর

তবে কি এখনই বেরোবে? বাইরে যে বৃষ্টি, যাবে?

গুটি

প্রজাপতি উড়ে যাওয়ার পর মনে রাখে না কোন দেওয়ালে, কি কোন গাছের গায়ে সে গুটি বেঁধেছিল। জানি না দেওয়াল কিম্বা গাছের শরীরও মনে রাখে কিনা। তারপর কোনো একদিন যদি সে

জিম করবেট ও মশারি

জীবনে বড় বড় দুঃখ, ছলনা, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি সব সহ্য করে নেওয়া যায়। সে সব সহ্য করার জন্য কত সান্ত্বনাও পাওয়া যায় রেডিমেড। স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের কাঁধে হাত, মহাপুরুষের বাণী, ধর্মে-দর্শনের আশ্বাস, আরো কত কত কি? যা হোক, সে সব দুঃখকষ্ট তবু খানিক হলেও হাসি মুখে সহ্য করে নিয়েছি। কিন্তু একটা জিনিস আমি কিছুতেই সইতে পারি না।

    কি সেটা?

ভুল

যখন তুমি একটা পাখিকে খাঁচায় পোরো,

আসলে তো পাখিটাকে নয়,

তার অসহায়তাটাকে বন্দী করো


তার বন্দী প্রাণের ডাক


যা তুমি

  তোমার অহমিকার

    বন্দনা ভেবে

      ভুল করো

মামুর মাথাব্যথা

তো হল কি, মামুর মাথায় বেজায় ব্যথা। উঠতে, শুতে, নাইতে, খেতে সবেতেই মাথা টিসটিস করে। দিদি বেজায় চিন্তায় আমায় ফোন করল। আমি বললুম, তবে তো একজন চক্ষুবিশারদকে দেখাতে হয়।

ফ্যালপলিয়ান টিউবের আর্তনাদ

আমরা পারিবারিক জীব, না সামাজিক জীব?


    আরো ভালো করে বলি, আমরা কি শুধুই পারিবারিক জীব নাকি সামাজিক জীবও?

মিডিয়া আমি কে?

আমাদের ছোটোবেলায় বলতেন বড়রা, লেবু বেশি চটকালে তিতা হয়ে যায়।

     সোশ্যালমিডিয়ায় এসে নিউজমিডিয়াগুলোর আচরণ ঠিক তা-ই লাগতে শুরু করছে। একজন মানুষের অসুস্থতা, এমনকি মৃত্যু নিয়েও যে এমন চক্ষুলজ্জাহীন ব্যবসা করা যায় সেটা দেখে হতাশই হচ্ছি। বাঁচতে কি শুধু উন্মাদনা, একটা অবসেসড হওয়ার কিছু লাগে? এর বাইরে কিচ্ছু না?

পাপ আর প্রসাদ

শীতটা জাঁকিয়ে পড়তে দেরি আছে। তবু যতটা পড়েছে ততটাতে সুখ আছে, কামড়টা নেই। কানাই ঠাকুর ভ্যান নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছে। ভ্যানে তিনটে বড় ডেকচি। খিচুড়ি দুটোয়, আরেকটাতে মিশেল তরকারি। সন্ধ্যে হয়ে গেছে। বাজার জমজমাট। সব্জী বাজার।

পুটু

পুটু প্রথম দুটো ক্লাসে মনই দিতে পারল না। মায়ের কাটা ঠোঁট, রক্ত, হা

জলের রেখা

বিধান ছ’বছর বয়েস থেকেই বিশ্বাস করেছিল, একদিন সব পাখি ঘরে ফিরে আসবে। সব শাবকদের নিয়ে। উঠান, তুলসীতলা, রান্নাঘরের খুদকুঁড়া সব জানিয়ে দেবে।

নীড়

একটা বিজ্ঞাপনে চোখ আটকালো, সারদা দেবীর উপর অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা বই, 'পরমাপ্রকৃতি' এরকম কিছু একটা নাম। সঙ্গে লেখা এই বইটা পড়ে জানুন, কে এই করুণাময়ী প

অনবরত

অনবরত যদি রাস্তা বদলালে

অনাত্মীয়

তোমার চোখের দিকে তাকালে মনে হয়

টক্সিক

রজত মিত্র, বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী, দিল্লীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের উপর একটা আর্টিকেল লিখেছেন আজ টাইমস অব ইণ্ডিয়ায়। একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ লাইন লিখে শেষ করছেন,

গল্প

চায়ের উনুনে আঁচ। পাশে রুটির দোকানেও আঁচ। গনগন করে জ্বলছে। এদিকে চায়ের দুধ ফুটছে। ওদিকে গরম তাওয়ায় রুটি সেঁকা হচ্ছে। মাঝে মাঝে ডিম ফাটিয়ে প্যানে করে

সু-অভ্যাস

গোঁসাই বলল, তোমার বুদ্ধি খোঁজে সূত্র, চিত্ত খোঁজে আনন্দ।

তেমন

সে হুইলচেয়ারে ছিল। নাম?

কিচ্ছু না

একটা নিভৃত ঘর থাকুক সব ঘরের উপরে, ছাদে, যেখানে আধপেটা খেয়ে এসেও শা

বাঙালির দর্শন

অবশেষে এক দীর্ঘকালীন মাইক উৎসব শেষ হল। দেবী কখনও দশভূজা, কখনও চতুর

চিনি ঠিক আছে?

ঘড়িটা খুলে পকেটে ঢোকালো। ফোনটা ব্যাগে নিয়ে নিল। ফোন আর ঘড়ি, দুটোই চুরি হয়েছে দমদম থেকে বেলঘরিয়ার মধ্যে আগে বেশ কয়েকবার। অফিস টাইমে বিধাননগর থেকে ট্রেনে ওঠা এ

মেঘ সরিয়ে...

ছেলেটা সবাইকে চিনতে পারল। মেঘ করে এসেছে। চারদিকে উত্তাল নদী। তীরে বাঁধা স্টিমারটা দুলছে।

বিরতি

গলায় আঙুল দিল, কিচ্ছু হল না। জল খেল ঢকঢক করে, অতিরিক্ত, হল না। নুন নিল মুঠোয়, গিলে ফেলল, গা গুলালো, হল না।

অভিসার

সবক'টা নীল আলো যেন ডাকছে, আয় আয় নীলু আয়...

আমিও


==
আমি তো বলিনি
    প্রদীপখানা নিখুঁত আমার 

বৈষ্ণবী

কাজ করতে করতে শুনতে পেলাম দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে বৈষ্ণবী ভিক্ষুণী। গান গাইছে খঞ্জনি বাজিয়ে। নামগান।

অবান্তর

মঞ্জু জানত আজ না হয় কাল হবেই। যখন সাবানটা কনুই থেকে কাঁধের দিকে টানছিল, তখনই টের পেয়েছিল, ভাঙবে, আজ না হয় কাল। সাবান ভাঙার আগে সাবান জানান দিয়ে যায়। মাঝখানটা

একটা কবিতার বই, ভাষাযাপন আর একখণ্ড সন্ধ্যা

মা সাহিত্যঅন্ত প্রাণ ছিলেন না। কিন্তু একটা সহজ পাঠ আমায় দিয়ে গিয়েছিলেন ভাষা নিয়ে। মানুষ আগে, ভাষা পরে। আবার প্যারাডক্সটা হল, মানুষকে আপন করতে গেলে তার ভাষাকে

আছি

এক বুদ্ধিহীন বোধের খুব প্রয়োজন

অনেকটা ঘুড়ির মত

যে লাটাইয়ে বাঁধা আছে জেনেও
সে বাঁধন কেটে গেলে মাটিতে
   আছড়ে পড়বে জেনেও

আকাশে, বাতাসে, আলোতে
  লুটোপুটি খেতে খেতে বলবে

   এই তো
      তবুও আমি আছি

রামকৃষ্ণ ঠাকুর আর ঘুঁটে

নিজের জন্য মন খারাপ হল সরস্বতীর। কার্তিক মাসের সকাল। শীত আলতো হাতে বাচ্চাদের মত ছুঁচ্ছে। ফুটছে না। পুকুরের উপর অল্প অল্প ঢেউ। ছেলেবেলা, যৌবনবেলা, সোহাগবেলা,

যে বাতাসে

যে বাতাসে শ্বাস নেয়

সে বাতাসেই ঝড় ওঠে

তাই বলে

    শ্বাস বন্ধ করে তো বাঁচে না মানুষ!

উৎসব

খট করে একদম বাইরের গেটে আওয়াজ হল। ঘড়ির দিকে তাকালাম, পড়তে আসার সময়

একটু চা হলে ভালো হত

আলোটা নিভিয়ে দে শম্ভু, আর আওয়াজটাও বন্ধ করে দে।

    কথাটা বেশ চীৎকার করেই বলতে হল। উপায় নেই। সামনে প্রচণ্ড জোরে লরির উপর বক্স বাজছে।

হারিয়ে

মানুষটা হাতের উপর রাখল জিভ, কান, চোখ, হৃদয় সাজিয়ে। বলল, নাও। আজ থেকে আমি তোমার।

সরল সত্য

যীশুখ্রীস্টকে যারা মেরেছিল আর যে মারার আদেশ দিয়েছিল, তারা সবাই জানত তারা ঠিক নয়। এমনকি তার নামে যারা নালিশ করেছিল তারাও জানত তারা ঠিক নয়। কিন্তু ঠিকটা কি তাও