Skip to main content

অদৃশ্য বাড়ি

আমি একটা অদৃশ্য ঘর বানিয়েছি। তার চারদিকে ঘন জঙ্গল। কেউ পথ চিনে আসতে পারে না আমি চিনিয়ে না আনলে। সেই জঙ্গলের বাইরে, বড় রাস্তার ধারে কয়েকটা মিছিমিছি ঘরও বানিয়েছি। যেই কেউ প্রশ্ন করে কোথায় থাকো? আমি ওই মিছিমিছি ঘরগুলোকে দেখিয়ে বলি, এই তো, সোমবার এটায়, মঙ্গলবার ওটায়...

কথারা উড়ে গেল

কথারা উড়ে গেল
   বকের মত নির্মোহ ডানা মেলে মহাশূন্যে
       নীরবতায় শূন্য নীড়
...

উদ্বাস্তু

পাখি কখনও উদ্বাস্তু হয় না
উদ্বাস্তু হয় মানুষ

কেঁচো কখনও মথ হয়ে ওড়ে না
ভিটে হারিয়ে মথ হয়ে যায় মানুষ
...

নতুন ফিতে

রামশংকরের সকালবেলায় উঠেই আজ প্রথম নিজেকে ভালো লাগল। এর আগেও অনেকে তাকে বলেছে। অনুভব করতে পারেননি। আজ একটা শালিখ পাখির মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মনে হল তিনি আসলে একজন ভালোমানুষ। তারপর রামশংকরবাবু অনেকক্ষণ বিছানা থেকে নামলেন না। খাটের বাঁদিকে নীচে দুপাটি চটি রাখা।
...

আমার যে যন্ত্রণা

আমার যে যন্ত্রণা

ব্রহ্ম, ঈশ্বর, নির্বাণ, গুরুদেবানন্দ, ভুত, প্রেত, ব্রহ্মদৈত্যি কেউ কমাতে পারেনি,
...

আসারামের ব্রহ্মজ্ঞান

        “Asaram believed that sexual exploitation of girls is not a sin for 'Brahmgyani' or a highly enlightened person”

        আসারাম নিজেকে বিশ্বাস করত যেহেতু তার 'ব্রহ্মজ্ঞান' হয়েছে তাই একটা কিশোরী বা যে কোনো কাউকে ধর্ষণের অপরাধ তাকে স্পর্শ করতে পারে না।
...

ঔদ্ধত্য

এমনকি নম্রতার মত ঔদ্ধত্যও তুমি দেখাতে পারো
নিজেকে টিকিয়ে রাখতে,
নিজেকে ভুলে থাকার অভিনয়ে
...

বিষন্ন বেশ্যারা --- রেবিস ভাইরাস --- আমরা

কয়েকদিন আগে ‘সাদা চাটু’ নামে একটা লেখা লিখেছিলাম। একজন বিপন্ন মাতাল রিকশাওয়ালার বয়ানে একটা ছোট্টো গল্প। তাতে খারাপ ভাষা ছিল। যে ভাষায় লক্ষ্মীর পাঁচালী থেকে স্বর্ণযুগ ছুঁয়ে আজ অবধি প্রথম সারির বাংলা সাহিত্য লেখা হয় সে ভাষায় নয়। আমার টাইমলাইনে যে কোনো কারণেই হোক কেউ সেরকম কিছু বলেননি। কিন্তু একটা বিশেষ গ্রুপে সুমন যখন লেখাটা দিল তখন নিন্দা-কটুক্তির ঝড় উঠল।
...

পানীয় জল

বয়স্কা বিধবা সমাজ উচ্ছিষ্ট রমণী
  তিনতলা মঠ-আশ্রমের পানীয় জল
    দুই হাতে দুটো বালতিতে করে টেনে আনছিলেন
...

এলোমেলো হোক

এলোমেলো হোক
পরে গুছিয়ো 
আজ থাক অন্যরকম
      অকপট
...

যেমন খবর বারোমাস

জানুয়ারি মাস
আমাদের দেশে ভীষণ শীত
আমাদের দেশে পরপর উৎসব
পয়লা জানুয়ারি, নেতাজি জন্মজয়ন্তী, প্রজাতন্ত্র দিবস
...

মানুষ কবিতা খুব কম পড়ে

মানুষ কবিতা খুব কম পড়ে
খুব কম মানুষই কবিতা পড়ে
খুব কম মানুষই কবিতার পাশে দাঁড়ায়
...

কবি, তুমি চলে গেলে

কবি, তুমি চলে গেলে
   একটা সেতু নির্মাণের কাজ থেমে যায়

অসমাপ্ত সেতুতে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়
     কোন দ্বীপে যেন যাওয়ার ছিল
...

ধানদুব্বো

এই নে ধানদুব্বো 
ঈশ্বর অপেক্ষায় আছেন,
            অভুক্ত
...

বাচ্চাটার এক পায়ে জুতো

বাচ্চাটার এক পায়ে জুতো, আরেক পা খালি। মন্দিরের চাতাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মা উদাস চোখে বসে। সিঁথিতে সিঁদুর নেই। হাতে শাখাপলাও নেই। সিঁথিতে যেন কোনোকালের মোছা সিঁদুরের আবছা দাগ। শুকনো অববাহিকায় পড়ে থাকা নুড়ির মত কয়েকটা শ্রীহীন চুল হালকা বাতাসে উড়ছে। দৃষ্টি দূরে।

অপ্রাসঙ্গিক

আমার কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে ইচ্ছা করে। তেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু কথাগুলো ভীষণ সত্যি। অনুভবে সত্যি। অভিজ্ঞতায় সত্যি। শাস্ত্রকারের মতে যাই হোক না কেন। তারা কোনো বাণী নয় যদিও, তবু তারা সত্যি। রেললাইনের ধারে জন্মানো ছোট্টো গাছটার মত সত্যি। তারা খেদও নয়, অতৃপ্ত বাসনাও নয়।
...

'October' কিছু কথা

ভোরের আলো, গোধুলির আলো, প্রথম বর্ষাভেজা মাটির গন্ধ, নিখিল ব্যানার্জি'র সেতারের একটা মীড় – এরা বড্ড ক্ষণস্থায়ী। সুজিত সরকারের ‘অক্টোবর’-ও তাই। কবিতার কোনো শরীর হয় না। কবিতাকে যদি ধরা যায় তবে সে আর কবিতা থাকে না। কবিতা যদি মনের স্তরের পর স্তর সরিয়ে অন্তঃসলিলা চেতনার কাছে পৌঁছাতে না পারে তবে তা পানের অযোগ্য হয়।
...

ঝোড়ো সন্ধ্যে

এমন সময় প্রচণ্ড ঝড় উঠল। পুকুরের ধারের কৃষ্ণচূড়া গাছটা ঝড়ের হাওয়ায় দুলতে দুলতে পুকুরের উত্তাল জলকে ছুঁয়ে ফেলল। পুকুরের গায়ে শিহরণ জেগে গেল। এপারের ঢেউ লাগল ওপারে গিয়ে। চারদিকে বৃষ্টির সাজো সাজো রব। মাটির শুকনো ধুলো জলের সাথে মিশে সেজেছে নদী।
...

মানবতা

মানবতা তো পুরুষের করুণা নয়...

অমঙ্গল

মালতী বাইরে বেরিয়ে আকাশের দিকে এক ঝলক তাকালো। চাঁদিফাটা রোদ। মালতী হাইরোডের ধারের সব ধাবাগুলোতেই রাতে থাকে। ভাগ করা আছে, কোনদিন কোন ধাবাতে। তার এই ছাব্বিশ বছর বয়সে সে জানে একটাই পুঁজি তার – শরীর। মালতী শরীরের যত্ন নেয়।
...

Love in The Time of Cholera || গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ

কুয়াশার মধ্যে কিছুক্ষণ হাত রাখলে হাত ভিজে যায়। সেই ভিজে হাতে যদি আঁকিবুঁকি কাটা যায়, সে কি কুয়াশার প্রতিচ্ছবি হয়? কুয়াশার কোনো আকার হয় না। কুয়াশার একটা প্রবল অস্তিত্ব হয়। ভালোবাসা একটা কুয়াশার মত। সে গিয়ে গিয়ে ফিরে আসে। যে নিঃসঙ্কোচে দাঁড়ায় তাকে ভিজিয়ে যায়।
...

রসাঞ্জন

মৃত্যুকে একবার না
বহুবার দেখেছি। পরখ করার মত করে দেখেছি। 
আমার উঠোনে, শোয়ার ঘরে, দেওয়ালে, দেবালয়ে
   তার অবাধ যাতায়াত
...

দোহাই তোমায়

আমি মিথ্যা কথা বলতে পারি। 
বলার সময় আমার সামনে জীবন্ত একজন 
    (কিম্বা দুজন, কিম্বা কয়েকজন) 
তার বা তাদের বোধ-ভাষার ধার সহনের খেয়াল রাখি। 
...

সব খবর

...এমনকি আমার বাবার জন্মও বাংলাদেশে। জন্ম থেকে বাবা,জেঠু, ঠাকুমা, ঠাকুর্দা আরো আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সে দেশের কথা শুনে শুনে বড় হওয়া। ঠাকুমার চোখ উপচে জল পড়াতে সে দেশের মাটির গন্ধ পাওয়া।
...

Uncertainty

Death is uncertain with it's conspirative indecisiveness 
Love is uncertain with it's bewildered mood like monsoon
Life is uncertain with it's unpredictable unturned pages
...

প্রোফাইল পিকের প্রতিবাদের ধারার সাথে সহমত হই না হই

প্রোফাইল পিকের প্রতিবাদের ধারার সাথে সহমত হই না হই, কিন্তু এমন বিশাল আলোড়নকে হৃদয়ের উষ্ণতম অভিনন্দন না জানিয়ে স্থির থাকতে পারছি না। খুব উত্তেজিত আর আশান্বিত হচ্ছি। এই স্পিরিটটা যেন হারিয়ে না যায়। প্রতিটা যুগেই কোনো না কোনো একটা অন্ধকার অত্যন্ত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইতিহাসে সে লড়াইটার ছবিই দেখেছি।

শোভনীয় ?

অনেক মহিলাদের দেখছি প্রোফাইল পিকচার কালো করছেন। প্লিজ কালো করবেন না। আমার একটা একান্ত অনুরোধ আছে। আমায় ভুল বুঝবেন না। 

        প্রোফাইল পিক কালো না করে, গুগুল সার্চ করে ভ্যাজাইনার ছবি দিন। অন্তত শিল্পীর আঁকাই দিন। এই পুরুষজাতটা বুঝুক, একটা জননাঙ্গের সাথে তার পুরুষত্বের আক্রোশের কোনো সম্পর্ক নেই।
...

নিয়তি

এমন তো নয় আমার গলার শিরাগুলো ফেটে রক্তগঙ্গা বয়ে হয়ে গিয়েছি রক্তশূন্য 
এমন তো নয় পৃথিবীর শেষ বিচারের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে
এমন তো নয় ব্যালেট বাক্সে আমার হাত পড়বে না আর কোনোদিন
এমন তো নয় তোমার হুঙ্কারের কম্পনে রিখটার স্কেল পর্যন্ত ভেঙে গেছে
...

আসিফা

আসিফা,
আমি কোনোদিন জম্মু কাশ্মীর আসব না বেড়াতে
আমি কোনোদিন কাশ্মীরের ছবি দেখে বলব না - আহা, কি সুন্দর!
আমি কোনোদিন কোনো বাচ্চাকে বলব না, ভগবানকে প্রণাম করো
...

পর্দা

পর্দা টেনে, 
ঘরে রাত আনতে পারো যখন তখন

একটা কালপুরুষ আনতে পারো কি?
...

চক্ষুলজ্জা

'চক্ষুলজ্জা'র ইংরাজি অভিধানে মনের মত পেলাম না। সংসদের অভিধানে তো একটা রচনাই লিখে বসেছে দেখলাম। কেন বলুন তো? তবে কি ওদের ওদিকে লোকে এমনধারা লজ্জা পেতে লজ্জাবোধ করে? জানি না। তবে আমাদের বাঙালিজাতটার আর কিছু লজ্জা থাকুক চাই না থাকুক এই চক্ষুলজ্জাটা কিন্তু বেশ দগদগে।
...

কবিতার সাথে

একজন মানুষের সাথে কিছুদিন কাটালে মানুষটাকে ধীরে ধীরে চেনা যায়।
...

কৃষ্ণচূড়া

কাজের ঘোরটা একটু যেন বেশি। সারাদিন দেওয়ালের মধ্যেই কেটে যায়। অফিসে যখন ঢোকে তখন বাইরে সকালের রোদ। অফিসের গেটের পাশেই একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। অফিসে জয়েন করা থেকে রণিত গাছটা দেখছে। অ্যাজ সাচ অফিসে যেদিন প্রথম ইন্টারভিউ দিতে আসে সেদিন গেটের সামনে এই গাছটাই যেন তাকে স্বাগতম জানিয়েছিল। এমন নয় যে সে কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব ভালোবাসে। তার বাড়ি মদনপুরে।
...

হৃদয় ফুঁড়ে

রাস্তা হারিয়ে যাক
নাবিকের সাড়া না মিলুক
ধ্রুবতারায় গ্রহণ লাগুক
প্রেম নিঃশব্দ হোক
...

হাল ছেড়ো না

আজ বহুক্ষণ ধরে কলেজস্ট্রীট পাড়া চষে বেড়ালাম। টুলে বসে, উবু হয়ে বসে, দাঁড়িয়ে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিলাম। পুরোনো বইয়ের গন্ধর সাথে নতুন বইয়ের গন্ধ মিলেমিশে একাকার। তার সাথে বহু মানুষের গায়ের গন্ধ, ঘামের গন্ধ। 
...

কিছু মানুষ গর্জাবেই

রামচন্দ্র গুহ - বরাবর আমার প্রিয় চিন্তাবিদ, লেখক। আগে টেলিগ্রাফে খুশবন্ত সিং এর আর্টিকেলের জন্য মুখিয়ে থাকতাম - Malice towards all, এখন রামচন্দ্র গুহর মত কয়েকজন columnist এর জন্য। 
...

পার্থক্য হল

পার্থক্য হল,
তুমি তোমার ধর্মকে ভালো বলো
...

তুমি বলেছিলে

তুমি বলেছিলে -
  "মানুষের ধর্ম বিশ্বাস না থাকলে, ঈশ্বরে বিশ্বাস না থাকলে মানুষ পশু হয়ে যাবে।"
...

যাকে দরকার

আমাদের চেতনায় একটা মধ্যযুগীয় শেওলা বরাবরই আছে। আজ বলে নয়। মধ্যযুগীয় নানা ধ্যান-ধারণারা এখনও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যথেষ্ট প্রভাব রাখে। আমাদের চেতনায় একটা পচন ধরেছে। যে পচনটার আশু সমাধান না খুঁজলে সত্যিই বিপদ। প্রগতিশীল, মুক্তমনা ইত্যাদি কথার অর্থ আমি ততটা বুঝি না, যতটা বিজ্ঞান নির্ভরতা বুঝি।
...

পাশাপাশি

কখনও কখনও
ঘাতকও ঘায়েলকে বলে
- আমারও লেগেছিল
...

সত্যযুগ

ওহে নিশ্চুপানন্দ সন্ন্যাসীর দল
ওহে কোটিপতি জগদগুরু, সদগুরু, মন্ত্রগুরুর দল
  ভারতে নাকি সত্যযুগ এসেছে...কই হে তোমরা...

ঘুম

আসলে তো কারোর ঘুম ভাঙাতে পারি না
জেগে থাকতেই পারি
মৃত ঈশ্বর আর ঘুমন্ত জনগণ ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে
 কারা কারা জেগে দেখে নিতেই পারি
...

জেগে থাকতেই পারি

আসলে তো কারোর ঘুম ভাঙাতে পারি না
জেগে থাকতেই পারি
মৃত ঈশ্বর আর ঘুমন্ত জনগণ ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে
   কারা কারা জেগে দেখে নিতেই পারি

৮ বছর মানে তো আইপিএল নয়
৮ বছর মানে তো চোখ মারা নয়
৮ বছর মানে নায়কের জেলের কষ্টও নয়

কথাটা তো খুব সোজা

কথাটা তো খুব সোজা, একজন মানুষ ধার্মিক হয়েও হাড়বজ্জাৎ-ঠগ-ধর্ষক-খুনী হতে পারে। কিন্তু একটা সৎ মানুষ ধার্মিক নাও হতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয়টা নিয়ে মুশকিল হল দল পাকানো যায় না। 

নীরবতা

খানিক চুপ করে থাকলেও তো পারতে
ভুলে যাও কেন 
...

পানকৌড়িটা

শান্ত হও
এখনও পানকৌড়িটার ডানাদুটো মেলা
...

নীরবতা - আত্মশুশ্রূষা

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আলোকিত করেও আমার দোরগোড়ায় আলো করার মত আলো কম হয় না। প্রতিটা প্রাণী-উদ্ভিদ এই কথাটাকে তার প্রাপ্য হিসাবে এমন করে জানে যে সে নিয়ে তাদের সংশয় হয় না।
...

খুকু

খুকু গেল নীলচলে সাথে ডলিরাণী
খুকু বলে খাবো তিমি দেনা মা আনি
মা বলেন, খায় নারে মা, বিঁধবে গলায় কাঁটা
...

নিঃসঙ্গতার শতবর্ষ

বিস্ময়ের সীমারেখা ছাড়ালে এক ধরণের বিস্ময় জন্মায়। তাকে কি বলে আমার জানা নেই। পড়েছি এই বইটা তিনি আঠারো বছর বয়সে নিজের মানসলোকে অঙ্কুরিত হতে দেখেন। কিন্তু সে অঙ্কুরকে একটা বৃক্ষরূপে দেখার জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় আরো কুড়িটা বছর।
...

জীবন-বেদ

হাওয়ায় ওড়া চুল সরাতে সরাতে
   যে মানুষটা মোহনার মুখে দাঁড়িয়ে আমার কাঁধে হাত রেখেছিল
সে পুরুষ না নারী আমি জানি না-
...

নিশানা

তুমি এলোপাথাড়ি গুলি চালালে 
বাঁচতাম হয়ত বা
   মরতেও পারতাম, 
      অথবা আহত হতাম
...

হাওয়াই মিঠাই

আমিও অনেকগুলো মিছিমিছি হৃদয় বানাবো 
                          তোমাদের মত
হাওয়াই মিঠাইয়ের মত লাল, নীল, সবুজ, হলুদ 
ভালোবাসা টাঙিয়ে রাখব সুতোয় বেঁধে
...

অসমাপ্ত আরতি

হঠাৎ করেই ঝড় উঠল
কালো মেঘের সাথে গঙ্গার বোঝাপড়া
উত্তাল গঙ্গা ফুঁসে ফুঁসে উঠছে
কালো বুনোমোষের দল আকাশ থেকে
...

কুঁড়ি

আবর্জনা সরানো নিয়ে সংশয় ছিল 
আবর্জনা চাপা উর্বর জমি ছিল
জমির নীচে ফল্গুপ্রবাহ ছিল
ফল্গু প্রবাহের নীচে উত্তপ্ত লাভা ছিল 
...

ঘূর্ণি

কোকিল বুঝতে শুরু করেছে
  বসন্ত এখন ভাঙা মেলা

বাতাসে গরম সেঁক, গুমোট
বিচ্ছু ছেলের মত
...

কে তুমি?

এ আলোচনাটা কিছুটা আত্মগত। নিজের মধ্যে উত্তর খোঁজা। তার প্রধাণ কারণ এই আলোচনা করার বৈধ যোগ্যতা আমার কোনো অর্থেই নেই। তবু মন থাকলে গতি থাকবে। আর মনের গতি তো চিন্তা। চিন্তা আর কবে সরলরেখায় হল?
...

আস্তিক হও

আস্তিক হও, নাস্তিক হও
কোনো চিন্তা নাই
...

ঈশ্বর, আপনি চুপ

ঈশ্বর, আপনার নামে পতাকার চেহারা বদলাচ্ছে। হিংসা কোথাও দাবানলের মত, কোথাও ধিকিধিকি জ্বলছে। ঈশ্বর আপনি কোন টিমে খেলছেন? নাকি রেফারি বা আম্পায়ারিং করছেন?
...

স্নিগ্ধ ঝড়

ঝড়ের বাতাস বোলগুলোকে গাছ থেকে ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে
ধুলোয় ধুলোয় উড়িয়ে দিয়ে গেল
...

কি সুর বাজে আমার প্রাণে

আমার একটা ঘর আছে। তার চারদিকে চারটে দেওয়াল আছে। তার মাথার উপর ছাদ আছে। ছাদে একটা পাখা ঝোলে। কখনও ঘোরে, কখনও হাঁ করে নীচের দিকে তাকিয়ে ঝুলে থাকে। ঘরে চেয়ার টেবিল খাট বিছানা তোষক বালিশ চাদর ইত্যাদি আছে। এখন কথা হল এগুলো তো সবার বাড়িতেই আছে। এ বলার কি আছে?
...

গ্যাদারিং

 উৎসবে হাসিমুখ রাখা কতটা সোজা। সবাই হাসছে। চোখে-মুখে হাসি ঠিকরে পড়ছে। সাজ-পোশাক বলে দিচ্ছে, কি অসম্ভব খুশী আমরা। পরিপূর্ণ আমরা। ক্ষোভ? ফুঃ! ওসব ফু দিয়ে ওড়াই আমরা।
...

অতি নৈকট্যের আড়াল

আজ একটা বড় অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। আমার এক বহু পূর্ব পরিচিত মানুষের সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি মাকে বহুকাল আগে থেকে চিনতেন। তখন ওনার নিজের শ্বশুরবাড়িতে ভীষণ অশান্তি। মা নাকি কয়েক মাস ওনাকে অ্যাডজাস্ট করার কথা বলেন।
...

বুঝছ না কেন?

তোমাদের জন্য আমার শান্তি নেই। আমার ব্যক্তিগত জীবনে শান্তি ছিল। যখন ধর্ম আমার একান্ত ব্যক্তিগত ছিল। আমার ধর্মে সেদিন আমি ছিলাম, আমার ঈশ্বর ছিলেন। সংগীত ছিল। নৃত্য ছিল। আকুতি ছিল। আনন্দাশ্রু ছিল। আমার ধর্মের মধ্যে আমি সারা বিশ্বের ছবি দেখতাম। আমার স্তব ছিল, ভজন ছিল, ফুলের সাজ ছিল।
...

ঝোড়ো সন্ধ্যে

আমায় এখন ভূতে পেয়েছে। তাই খালি খালি ভূতের গপ্পো বলব। তবে আজ যেটা বলব, গপ্পো নয়। খাঁটি সত্য ঘটনা।
তখন আমি ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। মা, বাবা, ভাই বাড়িতে কেউ নেই। সব্বাই বড়মামার ওখানে গেছে সল্টলেকে। শনিবারে থেকে রবিবার ফিরবে।
...

রবীন্দ্রনাথ

আমার পরম শ্রদ্ধেয় Samiran দা আমায় সাতদিনে সাতটা বই আর সাতজনকে ট্যাগ করার বললেন। এ এক মজার খেলা। অনেকেই খেলছেন। না পড়া, অজানা বহু বইয়ের সন্ধানও পাচ্ছি। 
        আমি আমার বইয়ের তাক, আলমারি, টেবিল, ড্রয়ার ইত্যাদি সাম্ভাব্য যতগুলো স্থানে-অস্থানে বই রাখি, দাঁড়ালাম, ভাবলাম - কোন বইটা দিই। কোন বইটা দিয়ে শুরু করি? হল না।
...

মনোপলি

স্টিফেন হকিংকে প্রথাগত, ঐতিহ্যগত ক্যাথলিক ধর্মের অনুশাসন, রীতিতেই শেষক্রিয়া সমাধা করা হল তার সন্তানদের তত্ত্বাবধানে - পয়লা এপ্রিলে এর থেকে মজাদার খবর আর কি হতে পারে?
...

বান না বন্যা?

বাঙালী ভক্তের জাত। বাঙালী হুজুগের ভক্ত। কালী, দূর্গা তো অনেক হল। এরকম পুরুষতান্ত্রিক সমাজে  অমন মেনীমুখো হয়ে থাকলে চলবে না বাপু! বাঙালি অ্যাদ্দিনে বুঝেছে। পুরুষাকার জাগছে। রক্তে অ্যাড্রিনালিনের পরিমাণ বাড়ছে। ওই বোলপুর আর জোড়াসাঁকো করে করে শুকুতে বসেছিল গা! তো কথা হল, নতুন একটা হুজুগ বাঙালি বহুদিন পর পেলো।
...