February 2017

তবু মনে হয় যেন পরবাসে আছি
     নিজের থেকে কিছুটা দূরত্বে দাঁড়িয়ে আমি
 তোমার হাতটা নাগালে পাওয়ার ইচ্ছা 

প্রখর গ্রীষ্মের দাবদাহে, প্যাচপ্যাচে ঘামে শুয়ে শুয়েও তো ভেবেছি
    আচমকা ঝড় উঠবে, কালো তিরপলে আকাশ ঢেকে...
   উফ! কি ধুন্ধুমার কাণ্ডটাই না হবে!

বাসি বিছানায়, ছাড়া জামা-কাপড়ে, আগোছালো ঘর-দোরে
    আলসেমির শান্তিজল ছড়ানো

      প্রশ্রয়ের অপেক্ষায়

মেয়েটার স্বামী ফুলশয্যায় মদ্যপ হয়ে এলো। গরীব হলে এমন হয়। সমাজ উদাসীন।
সংসারের জোয়াল মেয়েটার ঘাড়ে। স্বামী মাতাল, উদাসীন। পরিবার উদাসীন। পাড়া উদাসীন। সমাজ হাই তুলে সমাজোদ্ধারকদের সাথে ঘোরে, শিথিল পায়ে।

এককণা ধুলো 
বসন্তের বাতাসে উড়ে শিমূল ফুলের পাপড়িতে গিয়ে বসল
 লাল বিছানায় শুয়ে আকাশে তাকিয়ে দেখল

"আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, আমরা যেমন মাতৃক্রোড়ে জন্মেছি তেমনি মাতৃভাষার ক্রোড়ে আমাদের জন্ম, এই উভয় জননীই আমাদের পক্ষে সজীব ও অপরিহার্য।” ~ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    একদিন তোমার হাত ভীষণ শক্ত হবে
   এমন শক্ত হবে 
তুমি কম্পিত প্রদীপকে আড়াল করে বলবে - থামো!
       প্রদীপ স্থির হবে

দূরে শুনছ কিসের সুর বাজছে?
শুনতে পাচ্ছো না?
ওই দেখো, ওর তালে তালে
   বাড়ির উঠোন কাঁপছে, ছাদ দুলছে
শিউলিগুলো ঝরছে দেখো প্রতিটা সমে
তুমি কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছ না, শুনছ না কিছু?

ছেলেটাকে আমি চিনতাম।

ও একটা সামাজিক ভালোবাসা চেয়েছিল।

পায় নি। ছেলেটা সমকামী ছিল।

এখন শুনেছি অন্ধকার গলিতে দাঁড়ায়।

অসামাজিক প্রেমই ওকে ডেকে নিল।

হতে পারে তুমি আমার উপর নারাজ
রাস্তাটা আধমাইল কেন
   এক পাও হাঁটতে তোমার ইচ্ছা নেই
হতে পারে তোমার ভোরের স্বপ্ন ভাঙিয়েছি আমি

দোহাই তোমায়
    তোমার একাকীত্বকে নিঃসঙ্গতা বানিয়ে ফেলো না

তোমার কথা বলব
শুধু তোমার কথা বলব
যারা তোমার কথা বলল
        তাদের কথা বলব

কি বলব?

বলব তুমি আগল নও
বলব তুমি দূর নও
বলব তুমি জটিল নও
বলব তুমি ভয় নও

মাছের বাজার। সব্জী বাজার। মুদির দোকান।
     কোথাও যান না। শুধু চাষের জমি খুঁজে বেড়ান।
  কে যেন বলে গেছে - চাষবাস আরো বাড়ানো চাই
  সেদিন ভোরে উনি চাষের ক্ষেতে