নির্বিষাদ
অবুঝ
শরীরে মনে আগুন জ্বাললে প্রবল ক্ষুধায়
আত্মত্যাগের অনল শিখা দীপ পেল না
ভিক্ষাপাত্র সম্বল করে পথে নামলে
প্রেমকে বুকে শ্বেতশুভ্র আসন দিলে না
প্রতিফলন
তুমি প্রতিফলন নাকি আমি?
মাঝে মাঝেই গুলিয়ে ফেলি
আমার আমিতে তুমি
নাকি তোমার আমিতে আমি
চেয়ে থাকো
চোখ, লোহার ত্রিফলা পাটাতনে, জুড়ছেন কোনো ছেঁড়া চটি
তাকিয়ে দেখছেন না, কার পায়ের তলায় রাস্তা হেঁটে চটিটা ছিঁড়ল
উদাসীনতা
হে চিরনূতন
বলা হল যদি তুমি তারাখসা দেখতে দেখতে কিছু চাও, তুমি পাবে। আবার কেউ বলল, চোখের ঝরাপাতা হাতে যা চাইবে, পাবে।
ব্ল্যাকবোর্ড
তাতে অনেক কিছু লেখা
অনেক হিসাব, অনেক সিদ্ধান্ত
হাজার ঘষলেও যায় না
কিছু কথা তবু যেন বলা হয়নি
কিছু কথা বলা কখনো হয় না
মনের তলানিতে আটকে
কড়া পড়া কড়াইয়ের মত
হাজার ঘষলেও যায় না
চিন্তামণি
আমি তাঁকে যেদিন মুক্তি দিলাম
আমার বাসনা পূরণের পদকর্তা থেকে
সেদিন তিনিও আমায় মুক্তি দিলেন
লোভে ঢাকা মুক্তির আকাশকে মুক্ত করে
সেদিন থেকে তাঁর সরোবর থেকে শীতল বাতাস আসে আমার বাগানে
আমার বাগান থেকে ফুল উড়ে বুকে ভাসে সে সরোবরের জলে
আমরা দু'জনেই মুক্ত দু'জনের দিকে তাকিয়ে
ওই সরোবরের তলদেশে আছে
আমার মননের মণি - চিন্তামণি
একমুঠো সুখ জন্মালো বুকে
আমি ত্যাগ করিনি কোনোদিন
আমি ত্যাগ করিনি কোনোদিন
ত্যাগ মহতেরা করেন
আমি বেছে নিয়েছি আজীবন
মন্দের মধ্যে ভালো
অন্ধকারের মধ্যে আলো
অসতের মধ্যে সৎ
আমার মধ্যে তোমায়
তোমার মধ্যে আমায়
পাকচক্র
তুমি মোহঘূর্ণীর পাকচক্র নও। তুমি ভোগ্যও তো নও। নও তুমি ধুলোঝড়ের মত আচমকা আসা উত্তেজনা।
তুমি আমার একমাত্র শান্তি-সরোবর
আমার নগ্ন-আত্মার শেষ আশ্রয়স্থল
আমার প্রেম -
স্নিগ্ধ ভোরের শুকতারা
শ্বাসবায়ু
আমি তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি না
তোমায় নিয়ে আমার কোনো রঙীন কল্পনাও নেই
মিথ্যা
১
----
মন্দ্র সপ্তকে মিথ্যা বলা যায় না
মিথ্যা বলতে তার সপ্তক লাগে
চোখের মণির দৃষ্টি ছুটে তীর বেরোলে
সাজানো কথার ঢালের আড়াল লাগে
পূর্ণতা আর শূন্যতা
আলো
১
----
আলো নেভালেও যে আলো থাকে
সে আলো চোখের বাইরে না
সে ভিতর পথে ডাকে
২----
সাচ্চা হৃদয় খুঁজছি
নিশ্চই সে আছে
না হলে রোজ সকালে এত আলো
কারই বা খোঁজে আসে?
ভুল
১
====
ভেজা চোখ এড়াতে মুখ ফেরালাম
ভাবলে উপেক্ষা
শুকনো চোখে তোমার দিকে ফিরলাম
ভাবলে চালাকি
নিত্য নতুন ফুল ফোটেনা
নিত্য নতুন ফুল ফোটেনা
ফুল যা ফোটে একই
দেখার চোখে নতুন রে সে
সময় বলতে যা বুঝিস
সেও মন না থাকলে ফাঁকি
রোজ রাতেই
রোজ রাতেই আমরা
একই আকাশ, একই তারা, একই স্বপ্ন দেখি
তবু সারাদিন রোজ
কত না যত্নে নিজেদের নিরাপদ দূরত্ব রাখি
সাধনা
তোর সাধনায় জাগা অন্তরে
রাত্রি যেমন দিনের বুকে
প্রশ্নজাল
"জীবের আত্যন্তিক মঙ্গল কিসে?".... "হ্যাঁ গো, কাল কি দুধে বেশি জল মিশিয়েছিলে নাকি ?"
দুটোই প্রশ্ন। প্রশ্ন কোথায় নেই? সেই গীতায় অর্জুনের প্রশ্ন... বাইবেলে যোহন, ম্যাথিউ ইত্যাদির প্রশ্ন... বুদ্ধকে আনন্দ, আম্রপালির প্রশ্ন... সক্রেটিসকে প্লেটোর প্রশ্ন... অধুনা কথামৃতে ঠাকুরকে স্বামীজি থেকে গিরিশের অবধি নানান প্রশ্ন।
একা দাঁড়ানোরও
একা দাঁড়ানোরও ছন্দ আছে
কালের স্রোতে ভাসতে ভাসতে
নিজের বুকেই দোসর যাচে
(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)
বাংলার রায়
ওগো মহাপ্রাণ
বুদ্ধজয়ন্তী
রামায়ণ থেকে যদি বারো বছরের বনবাসের অধ্যায়টি বাদ দেওয়া যায় তবে তাতে যত তত্ত্বকথাই থাকুক না কেন, সেটা মহাকাব্য হয়ে ওঠে না। মহাভারতের বেলাতেও তাই। পঞ্চপাণ্ডব যদি পায়ের উপর পা তুলে রাজত্ব করেই কাটিয়ে দিতেন, তবে যতই তাতে গীতার কালজয়ী উপদেশ থাকুক, তা-ও মহাকাব্য হত না। জীবনের স্বাভাবিক গতিপথের সাথে মিলত না। হত রূপকথা। এমনিই সমস্ত মহাপুরুষের জীবন।
ধ্রুবতারার
ধ্রুবতারার ছায়া পড়ে না
তবু ছায়াপথকে পাশে নিয়েই দাঁড়িয়ে
সব ঢেউ বুকে নিয়েও সমুদ্র শান্ত যেমন
জানে তো ঢেউ জল ছাপিয়ে যায় না
দৃষ্টি মণিতে বাধা হয়ে আসে জল
স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখো
স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখো
না হলে আকাশ থাকবে মাথার উপর
ওড়ার জন্য ডানা থাকবে না
কম হাঁটা পথ
---
আমি একটা নির্লিঙ্গ প্রেম খুঁজছি
বিছানায় আলকুশি ছড়িয়ে
মতান্তর
অবশেষে বুক চিরল
জাতিস্মর মৃত্যুঞ্জয়
তোমার গায়ের গন্ধে - আমি জাতিস্মর
তোমার হাতের স্পর্শে - আমি মৃত্যুঞ্জয়
বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো
বলেছিলাম আলোর দিকে ফেরো। তুমি আলোর সংজ্ঞা জানতে চাইলে। আমি মুখ্যু, আলোর সংজ্ঞা কি ছাই জানি? না জানি সে কোন পথে আসে, কোন পথে দিয়ে যায়?
তুমি কোন দিকে দাঁড়িয়ে
তুমি কোন দিকে দাঁড়িয়ে?
আমার ছায়া জিজ্ঞাসা করেছিল আমায়
আজ আমি জিজ্ঞাসা করছি তোমায়
মৃত্যু নিশ্চিত
মৃত্যু নিশ্চিত, জীবন অনিশ্চিত
অনিশ্চিতকেই বুকে জড়ালাম
মৃত্যু খুঁজে নেবে আমায় সময় হলেই
জ্বলন্ত লাভার অদম্য ইচ্ছা-বীজ
বুকে বসালাম
এত অহংকার আমার
জল ভরতে গিয়েছিলাম একা
কাজের জল, স্নানের জল, পানের জল
তুমি আলাদা করোনি
আমি করেছি
যেমন সপ্তর্ষিমণ্ডল নাম দিয়ে
ওদের অন্য তারাদের থেকে আলাদা করেছি
এত অহংকার আমার
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ
বুকে প্রেমের টহলদারি
মন ছুঁয়েছে ভেজা বাতাস
চাইছে তোমার নজরদারি
যদি পূজা করি মিছা দেবতার
ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ
ঘুম ভাঙতে দেখলাম বাইরে রোদ। পর্দাটা টানলাম। ঘরটা অন্ধকার হল। এবার ঘুমাবো আবার। আমার তৈরী করা রাত্রিতে।
ঘুমোতে ঘুমোতেও মনের মধ্যে বিঁধে থাকল একটা কথা, কাঁটার মত - বাইরে আলো ফুটেছে।
আলগোছে কিছু সময় এসে পড়েছিল
আলগোছে কিছু সময় এসে পড়েছিল
হিসাবি আলমারির চাবি হেরে গেল
ধুলোর পরে ধুলো জমে থাকা আলপনাও
উড়িয়ে নিয়ে গেল দমকা হাওয়া
অথচ আমি ভেবেছিলাম,
আমি তৈরী ছিলাম
উপর তলার কথা
উপর তলার কথা
ভিতরের কথাকে রাখে আড়াল
চুপ করে থাকো খানিক
পাবে সে নীরব কথার নাগাল
তুমি আমার মোহ না
তুমি আমার মোহ না
তুমিই আমার মোহনা
জয় হোক
ভাষার জঙ্গলে বিভ্রান্ত বুদ্ধি
বসল চিরবহমান হৃদি-নদীর তীরে
শ্রান্ত মন শান্ত হল
ভিতরে কে গায়?
সমস্ত প্রাণ উজাড় করে নামল জলে
তখন সান্ধ্যসূর্য সদ্য নেমেছে ঝোঁপের আড়ালে
তিরতির করে কাঁপছে ঝাউপাতার ঝালর
পুরোনো বেণারসীর গায়ে
পুরোনো বেণারসীর গায়ে এখন শুধু ন্যাপথলিনের গন্ধ
চেনা কথাগুলোর শূন্য নীড়ে
মড়া কাঠখড় ছড়ানো
সিঁড়ির দরজাও বহুকাল আছে বন্ধ
মৃত শরীরই কঠিন শুধু না
মৃত শরীরই কঠিন শুধু না, মৃত মনও কঠিন হয়
জীবন জলের মত নমনীয়,
যার স্রোতে পাথরও দ্বিখন্ডিত হয়
তুমি সুন্দর
তুমি সুন্দর
তোমার দিকে তাকালে আমি সুন্দর
তাই ঝাঁপাই না
তাকিয়ে থাকি
তাকিয়েই থাকি
হঠাৎ হারিয়ে যেতে
হঠাৎ হারিয়ে যেতে অনেকেই তো চায়
ফেরার চাবিটা কেউ কেউ-ই ফেলে রেখে যায়
হ্যাপি মাদার্স ডে নয় তো
আজ হ্যাপি মাদার্স ডে নয় তো আমার
মিথ্যা কথা ওসব তোমার,
সে কি ছিল মাটির দূর্গা?
যে একবার তারে দিয়ে বিসর্জন
বলব, আসছে বছর আসছে আবার!
সুরের আলো
সকাল থেকে সুরের আলো
শুদ্ধ গন্ধে গা ভাসানো
গঙ্গার স্রোতে দু'পারের ডাক
জলের স্রোতে কাল গলানো
বুকের মধ্যে ছলছল জল
সবই কেমন আপন যেন
ফুচকার মত বুক ফাটিয়ে
সর্বগ্রাসী প্রেম ঢোকানো
২৫ শে বৈশাখ
প্রতীক্ষা
তোমার কোনো বাস্তব বোধ নেই।"
ঝিলিক কথাটা বলে ঝাঁট দিতে দিতে আড়চোখে একবার শুভায়ুকে দেখে নিল। শুভায়ু খবরের কাগজে ডুবে। মাথাটা না তুলেই বলল, হুঁ।
"কাল মুন্নীর স্কুল থেকে চিঠি দিয়েছে, ওদের এবারের সামার ভ্যাকেশানের ডেটটা কি কারণে যেন এগিয়ে এসেছে। রিজার্ভেশান করেছ?"
শুভায়ু চোখ তুলে বলল, বলোনি তো!
ঝিলিক ঝাঁঝিয়ে উঠল, বলিনি মানে? পরশু থেকে এই নিয়ে তিনবার বললাম।
নির্দিষ্ট গন্তব্য থাকে
সব রাস্তারই একটা নিজস্ব নির্দিষ্ট গন্তব্য থাকে
তোমার সাথে তা নাও মিলতে পারে
রাস্তার সাথে ঝগড়া বাধিয়ে লাভ নেই
তুমি চাইলে নিজেকে পাল্টালেও পাল্টাতে পারো
সে চাইলেও কি আর কখনো পাশ ফিরতে পারে?
We are standing side by side in deep silence
We are standing side by side in deep silence
we know each and every breathing of us
we know the the velocity of blood in our vein
nonetheless your hand will melt in infinity before I touch
oh my insatiable mind, oh traveler forever
come, wait here, let quest for the course of stars
see keenly, does it resembles with us?
গভীর নিস্তব্ধতায়
গভীর নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে আমরা দুজন
নিজেদের প্রতিটা শ্বাস চেনা,
জানা প্রতিটা শিরায় রক্তের গতির বেগ
তবু হাতটা ছোঁয়ার আগেই মিলিয়ে যাবে জানি
আমার অতৃপ্ত মন, আমার চিরযাত্রী মন
এসো খানিক দাঁড়িয়ে খুঁজি তারার গতিপথ
দেখো তো মেলে কি আমাদের সাথে?
চিন্তা
সুতোর পরে সুতো জোড়া
তাতে হরেক রকম রঙ করা
একটু এদিক ওদিক হলে
সুতোর বাঁধন যাবে খুলে
সেই সুতোতেই ঘর বানানো
রঙ মিলিয়ে রঙ সাজানো
সুতোর ভাষায় সুতোর টান
লক্ষ সুতোয় বাঁধছে প্রাণ
সুতোর খেই যেই হারালে
চেনা জগৎ সেই খোয়ালে
সুতোর মালিক যদি চান
সব সুতোরই নাগাল পান
আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী
আত্মাশ্রয়ী আর আত্মহননকারী একসাথেই চলেছিল। প্রথমজন রেখেছিল পা মাটিতে। দ্বিতীয়জন রেখেছিল মাটিতে পা।
মাটি যখন কাঁপল, আত্মাশ্রয়ী পা তুলল মাটি থেকে, নিজেকে রাখল স্থির। আত্মহননকারী মাটির সাথে পড়ল মুখ থুবড়িয়ে, পায়ের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।
দহন
I am here in ageless flowing of time
শামুকের খোলা
আজ বহুদিন পর পুকুরের পাড়ে এসে দাঁড়ালাম
কয়েকটা ধাপ নামতেই পা ডুবে গেল জলে
চেনা সুর শুনলাম অচেনা গলায়
চেনা ছবি অচেনা ফ্রেমে বাঁধা পড়ল
কোমর জলে দাঁড়িয়ে তাকালাম আকাশের দিকে
ছেঁড়া ছেঁড়া ছন্দ নিয়ে কয়েক টুকরো মেঘ বুকে আকাশ
আমায় বলল, আসব?
আমার সারা পুকুরের জল আকাশের ছায়ায় ঢেকে গেল
মেঘমালা
I am here
I am here in ageless flowing of time
With a deep thirst of thousand births
I will return everything, oh dear earth
Please take me back
In your unperturbed, infinite vastness
সহস্র জন্মের তৃষ্ণা
সহস্র জন্মের তৃষ্ণা নিয়ে দাঁড়িয়ে
এ নিত্য প্রবহমানতার মাঝে
সব ফিরিয়ে দেব পৃথিবী,
ফিরিয়ে নাও আমায়
তোমার চিরস্থির অসীম অনন্তলোকে
Oh birds
Oh birds wait, wait for me a little bit
I am here, at the edge of sea shore
in despair, in longing of distant stars
you know the path
oh birds! oh my angels! oh my last hope!
take my soul with you
take me there,
where all hopes have overcome their toughest night
dawn has enlightened dew on wet grasses
We are standing side by side
We are standing side by side in deep silence
we know each and every breathing of us
we know the the velocity of blood in our vein
nonetheless your hand will melt in infinity before I touch
oh my insatiable mind, oh traveler forever
come, wait here, lets quest for the course of stars
please see keenly, does it resembles with us?
ফুল ফোটা হয়ে গেছে
ফুল ফোটা হয়ে গেছে। কিছু অস্ফুট কথা তবু জেগে পাতায় পাতায়।
সব কথা বলা শেষ। তবু কি এক আকুতি জেগে চোখের কোণায়।
হৃদয়পুর
এ চোখে আছে মাটির সাথে বীজের কথার সুর
এ চোখেই পথ সেই সে হৃদয়পুর
দেখছো নাকি চোখে আমার বিশ্বের জলছবি?
না হলে তুমি আর যেই হও, কক্ষনো নও কবি!
(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)
Whisper
পলি
১
----
অভ্যাসের পর অভ্যাস পলি পড়ে গেছে
মেয়েটার বিয়ের ষোলো বছর পর মনে হয়
শূন্য খাঁচায় দুটো মৃত শরীর বাসা বেঁধে আছে
তবু পলি সরিয়ে, পলি সরিয়ে যখন জাগে কারোর চোখ
মেয়েটা বাজার থেকে পলি কিনে আনে,
ভাঙা ডানাকে বলে - চোপ
জঙ্গল কেটে সভ্যতা বানালাম
জঙ্গল কেটে সভ্যতা বানালাম। জঙ্গলের পশুত্বটাকে সাথে করেই আনলাম। ওকে কাটবে কে? বাঁধবে কে?
জানলাটায় তোমার অধিকার
যদি বলি জানলাটায় তোমার অধিকার, জানলার বাইরের প্রবহমান দৃশ্যে নয় - বলবে জ্ঞান দিচ্ছো।
অথচ তোমার চোখের পাতায় চুমু খেতে দিয়ে, চোখের কথাগুলোকে চির-অনধিকারে রাখছো।
মে দিবস
ফাটা মাটি। অবাধ্য পাহাড়। শুষ্ক মরুভূমি। যন্ত্রের রক্তচক্ষু।
যারা মুখোমুখি, পাশাপাশি, হাতেতে হাত রেখে
যারা যেন বেহিসাবী, প্রাক-মঞ্জুরিত প্রাণ
তারা বুঝুক আবার আজ, তাদের টানেই জীবনের জয়গান।