Skip to main content

সূচ

সমস্যা..... বুঝলে

মায়ের হুইলচেয়ার

হুইলচেয়ারে সারাটা রাত বসে থাকে ছেলেটা। তার মায়ের হুইলচেয়ার। ছিল।

এইবার?

বার কয়েকবার উঠে আবার বসে পড়লেন সুধীরবাবু। পাঁশকুড়া লোকাল এই নিয়ে তিনটে ছেড়ে দিলেন। পেটটায় অস্বস্তি হচ্ছে। সাহস পাচ্ছেন না। এদিকে ঠাণ্ডাও যা পড়েছে, ইচ্ছাও করছে না। তবে? চা, কফি কিছুর দিকে তাকাচ্ছেনও না। জীবনে অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন যে এত কঠিন হয়ে পড়ে? আগে এই সময়ে অনেকবার ঈশ্বরকে ডেকেছেন। লাভ হয় না খুব একটা। যার যখন ভূমিষ্ঠ হবার, সে হবেই।

ভুলেই গেল

অমলেশ বলেছিল, যেখানে সকালে পাখির ডাক শোনা যায় না, সেখানে সে কোনোদিন থাকবে না। থাকেওনি অমলেশ। বৈঁচি থেকে আরো ভিতরে একটা গ্রামে অমলেশ সারাটা জীবন কাটিয়ে দিল।

রাতের দোকান

এত রাতে দোকান খোলা রাখেন?

রাখতেই হয়। ওই যে মোড়টা দেখছেন, বড় লাইটটা জ্বলছে, ওর থেকে কয়েক মিটার গেলেই শ্মশান। রাতে কোনো দোকান খোলা থাকে না। শ্মশানযাত্রীরা চা'টা খেতে সব এখানে। সবাই জানে বলাইদার দোকান সারারাত খোলা। বাইকে বসেই চা খাবেন? ভিতরে আসুন।

পাঁজর

ঠিক কোথায় খেইটা হারিয়ে গেল। রমেশ বুঝলই না। পুরো জীবনটাই যেন হুস করে এক ভাঁড় চায়ের মত ফুরিয়ে গেল। মানুষ কতবার খোলস ত্যাগ করে। নতুন মানুষ হয়। বারবার নতুন হয়। কিন্তু ভালো লাগে কি? আগের বারের খাঁচার জন্য মন খারাপ করে না?

স্বপ্ন

বাবা তুমি কোনোদিন সমুদ্দুরের ওদিকে গেছো?

বাবা ছেলের মুখের দিকে একবার তাকিয়ে, জালটা গোটাতে গোটাতে বলল, না বাবা।

ছেলে বলল, তবে রোজ রোজ সমুদ্দুরে নৌকা নিয়ে কেন যাও?

বাবা বলল, মাছ ধরতে। মাছ বিক্রি না করলে আমাদের যে না খেয়ে থাকতে হবে।

ছেলে বলল, আমি একদিন তোমার নৌকাটা নিয়ে ওপার থেকে ঘুরে আসব। বড় হই। তুমি দেবে তো তোমার নৌকাটা আমায়?

মায়ের ইচ্ছে

​​​​​​​অর্জুন বাড়ুজ্জে আচমন করে সবে কোশাকুশিতে গঙ্গাজল ঢেলেছে, অমনি মা কাটা মুণ্ডুটা বেদীতে নামিয়ে এক চড় কষালেন অর্জুনের গালে।

অর্জুন গালে হাত বোলাতে বোলাতে বলল, কি অন্যায় হল মা? আমি কি মন্ত্র কিছু ভুল পড়লাম....

মা বললেন, না বুঝে তো সেই ছোটোবেলা থেকেই মন্ত্র পড়ে আসছিস... সে দোষ আমি ধরিও না.. তাছাড়া আজকাল স্বর্গের কচি দেবতারাও ধাতুরূপ, শব্দরূপ মনে রাখতে পারে না, সব সারাদিন নয় হিন্দী, নয় ইংরাজিতে কথা বলে যাচ্ছে। মায় বাংলাটাও বলে না। সে জন্যে মারিনি..

ক্যাডবেরি

ধুম করে আলোটা নিভিয়ে চলে এলে যে?

দিলীপ কম্বলের ভিতর থেকে বলল।

রত্না শুতে গিয়েও বসে পড়ে বলল, মানে, আলো জ্বালিয়ে শোবে নাকি। যত বুড়ো হচ্ছ, তত ভীমরতি ধরছে...

দিলীপ উঠে বসে বলল, বাহাত্তুরেও বলতে পারো, তিয়াত্তর তো হল না?

রত্না বলল, শোনো এই মাঝরাতে আমার খেজুরে আলাপ করার কোনো ইচ্ছা নেই, শোও...

বোকা কোথাকার!

ঘুঁটেগুলো তুলে নিয়ে ফিরতে যাবে, হঠাৎ গাছের উপর থেকে কেউ যেন বলল, দুটো দিয়ে যা না রে, ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছি, একটু আগুন জ্বেলে বসি।

  রমার ঠাকুমার তো দাঁত কপাটি লাগার জোগাড়। "রাম রাম" বলতে আবার দু পা এগিয়েছে, অমনি গাছ থেকে আবার সে বলল, রাম নামে পালাবো আমি অমন পাপী ভূত না রে, ভ্যাকেন্সি নেই উপরে তাই মাঝখানে রিজার্ভে আছি। বডি পেলেই ঢুকে যাব।

Subscribe to অনুগল্প