Skip to main content

দুঃখ থেকে ত্রাণ

দুঃখ থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য কত উপায় মানুষটা করল। কোনোটা কাজে এলো না। তারপর দুঃখ পেতে পেতে একদিন যখন তার দুঃখের ভয়টা চলে গেল, তার মনে হল যেন কদ্দিনের না কাচা কম্বল তার গা থেকে খসে গেল। তখন তার নিজের আগেকার চেষ্টাগুলো মনে পড়ে হাসি পেল, নিজেকে কত নির্বোধ মনে হল। সে খুব হাসল ক'দিন ধরে। লাগাতার হাসল।

সে নিজেও জানে না

বাঁ হাতের গোড়া থেকে টাটাচ্ছিল। এই হাতের কাঁধের কাছে গোলাটা দুবার বেরিয়ে গিয়েছিল ধড় থেকে। কি যন্ত্রণা, উফ্..., কি যন্ত্রণা খাণ্ডোবাই জানে। আবার খাণ্ডোবার নাম করছে! মন বড় পাজি। কয়লার মত। যতই ধোও রঙ আর যায় না।

এক খামচা কষ্ট

কান ঘেঁষে গুলিটা চলে গেল। মানুষ মারার গুলি না, বেলুন ফাটানোর।

পয়লা জানুয়ারী

পয়লা জানুয়ারী। গিন্নী কম্বল ছেড়ে বেরিয়ে, খাট থেকে নেমে, দেওয়ালে ঝোলানো রামকৃষ্ণদেবের ছবিতে প্রণাম করে বললেন, হ্যাঁ গো, আজ তো কল্পতরু উৎসব, চলো না গো আমরা কাশীপুর মঠে যাই। কদ্দিন যাই না। ...

বিরাট স্বপ্ন

নধরকান্তি বাবু ব্লাড সুগার নিজের ছন্দে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। চায়ে চিনি খান না। কারোর বাড়ি গেলে কেউ যদি ভুল করে বা না জিজ্ঞাসা করে চিনি দিয়ে ফেলে চায়ে, মুখেও দেন না সে চা, কিন্তু চায়ের পর দুটো রসগোল্লা ওনার চাই-ই চাই।

একদিন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে

একদিন সব রোগ ভালো হয়ে যাবে। সবাই ঘুম থেকে উঠে বলবে, বাহ্! কই কিচ্ছু তো নেই! সবাই বলবে, সত্যিই জীবন কি আনপ্রেডিক্টেবল না? ...

ঝুড়ি

ভীষণ মেঘ করেছে দেখে ঝুনু ঝুড়ি বোনার সব কিছু নিয়ে বাড়ির সামনে যে টিলাটা আছে, সেই টিলার উপর যে শিব
মন্দিরটা আছে, তার চাতালে গিয়ে বসল। এতটা উঠতে হাঁফ ধরে না যে তা নয়। ধরে। বুকটা হাপরের মত ওঠে পড়ে।
উঠতে উঠতে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে, কতবার যে সারাদিন উঠত নামত! শরীরটা বদলে বদলে যাচ্ছে, মনটা না।

বাসিফুল

বাসিফুল, নষ্টফুলের স্তূপ গঙ্গার ধারে জড়ো করে রাখা। ক্ষ্যাপা বলল, বলো তো, কোন ফুল মন্দিরের, আর কোন ফুল বাজারের?

শ্মশানযাত্রী

 খবরটা রটতেই রাত দুটো থেকে লোক জমা হতে শুরু করল। কনকনে ঠাণ্ডায় বারুইদের উঠানে এক এক করে লোক জমছে। পেয়ারা গাছে বসে থাকা প্যাঁচাটা ডাকছে না। লোক দেখছে। এত রাতে এত লোক! আধখানা খাওয়া চাঁদটাও যেন থমকে দাঁড়িয়ে, এত মানুষ!

খদ্দের

দোকান বন্ধ করে নন্দদুলাল মাফলারটা জড়িয়ে বেরোতে যাবে, এমন সময় একজন এসে দাঁড়ালো।

Subscribe to অনুগল্প