Skip to main content

ঝরণা

জীবনটা খাদের ধারে আসলেও থামতে বলি না
দে ঝাঁপ! দিক ঝাঁপ!

নদী খাদের ধারে এসে থমকায় না
বলে না, ওরে বাবা, যদি মরি!
দেয় ঝাঁপ
সে ঝরণা হয়ে ঝরে
নতুন খাতে, নতুন স্রোতে ছোটে


(শুভ নববর্ষ। প্রবীণদের প্রণাম জানাই। নবীনদের শুভেচ্ছা জানাই। বয়স্যদের দিই আলিঙ্গন। সবাই ভাল থাকুন, শান্তিতে থাকুন, আনন্দে থাকুন এই প্রার্থনা।)

বেগতিক

যদি ভালবাসতে
         পুড়তে পারতাম
যদি গালাগাল করতে
         রাগতে পারতাম

তুমি তো দেখেও দেখলে না
না ঝাড়া ঝুলের মত ঝুলে রইলাম

নদী

আমার শরীরে-বুকে স্মৃতির নদী
শাখা-প্রশাখায় প্রাণের শিকড় ছুঁয়ে গেছে
কোন শাখাতে কখন লাগে ঢেউ
সে খবর কি তার নিজের কাছেই আছে?

আমি যদি এ বলি,
এসব কথা ভুলেই আমি ছিলাম
সে বলে হেসে
ভোলো নি তুমি, সে কথা জানিয়ে গেলাম।

খেলা

খেলতে খেলতে বুঝিনি
কখন খেলার সাথীর বেলা এসেছিল ফুরিয়ে

তাকে বললাম খেলা শেষে কি খেলা ভাঙতেই হয়?

সে বলল, হ্যাঁ

বললাম, বেশ ভাঙলাম না হয় খেলা,
যদি সত্যি সত্যিই চাই?

সে বলল, এ আবার কি নতুন খেলা করলে শুরু!

সৃষ্টি

ভক্ত-
এত স্বাধীনতা কেন দিলে তুমি?
স্বেচ্ছাচারী পাতকী হলাম, স্বামী!

প্রভু-
নিজের ছায়ায় গড়েছি তোমায়
সার্থক আমি প্রেমেতে তোমার
বাঁধনেতে বাঁধা নই কোনোদিন আমি।

কমা


দুটো দাঁড়ির মধ্যে কটা কমা থাকে?
দীর্ঘশ্বাসের সত্যিই কোনো প্রতিশব্দ হয়?
কিছু চিঠি আজও অলিখিত -
                       মনের খামে ভরা
সত্যি করে বলো
সব চিঠিই কি ডাকবাক্সে যায়?

জখম


তোমার পাশে বসার জন্য
কত চেষ্টা করলাম।
জানতাম না-
পাশে তোমার অন্য কেউ তখন,
এখন ইরেজারে মুছতে মুছতে
খাতার পাতাই জখম।

আগুন


বুকের ভিতর যে আগুন
          তা নিভতে দিও না
দেখেছি যে ভিতরে পোড়ে
         সে বাইরে পোড়ে না

রূপ


আমার দুঃখগুলো কান্নাগুলো জমিয়ে
তোমার একটা রূপ গড়েছি
এখন সে রূপেই আমার সুখ

অঞ্জলি


আমি তোমারই প্রতিধ্বনি
তোমার দানই দিই ফিরে তোমায়
সেই আমার অঞ্জলি

Subscribe to উপপত্র