ঈশ্বরকে বলব
আমি ঈশ্বরকে বলব
আমায় স্বর্গে না রাখতে
বলব, তোমার চোখের পাতাগুলোর
একটা পাতায় রাখতে
এগিয়ে
জিভকে একটু বিরাম দাও
হৃদয়েরও কিছু বলার থাকতে পারে।
সব জানাশোনা ছেড়ে এগিয়ে যাও
অজানাতেও কেউ আপন থাকতে পারে।
লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের আকস্মিক মৃত্যুতে
কিছু মৃত্যু মেনে নিতে বড় কষ্ট হয়
যখন চারিদিকে আজ ভীষণ ভীষণ
দুঃসময়
(লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্যের আকস্মিক মৃত্যুতে)
ছাপ
হাত ছিল ভিজে
দেওয়ালে ছিল কাঁচা রঙ।
ভিজে হাতে লাগল রঙ
কাঁচা রঙে লাগল হাতের ছাপ।
ভিজে হাতে উঠল রঙের দাগ
পাকা রঙে এখনো হাতের ছাপ।
মেয়েটা এখনো সে ভিজে হাতের খোঁজে।
অকৃতজ্ঞ
আমায় ধাক্কা দিতে দিতে
ধাক্কা দিতে দিতে
খাদের ধারে নিয়ে আসলে।
আমি ঝাঁপ দিলাম না।
বললে, অকৃতজ্ঞ।
আচমকাই
কিছু মুখ জানলার কাঁচের ওদিকে এখন
এদিকেই ছিল ওরা
এই তো কিছুক্ষণ আগেও
আর জল হাওয়া লাগবে না
আওয়াজ, আর্তনাদ, ডাক কানে যাবে না
আচমকাই হল,
কিছু বোঝার আগেই
আশা
কিছু স্বপ্ন ঝরে গেছে
কিছু স্বপ্ন মাড়িয়ে গেছে
কিছু স্বপ্ন একটা প্রজাপতি পেলো না সারাজীবন
শুকিয়ে গেছে
তবু বেঁচে আছি, কারণ-
আজও কিছু স্বপ্ন কুঁড়ি হয়ে আছে
দিবাস্বপ্ন
একবার উঠে কড়াটা নেড়েই দেখো না
হয়তো দরজাটা খুলবে
না হয় খুললোই না।
তবু জানবে, কড়া তো নেড়েছিলাম
নাকি বসে বসে ভেবেই যাবে-
'আহা রে, যদি দরজাটা খুলত!'
এতটুকুই থাক
তুমি পারতে আরো আরো বেশি যন্ত্রণা দিতে, জানি
যদি পারতাম তোমায় আরো আরো ভালোবাসতে, মানি
তবু এতটুকুই থাক
বাকিটুকু রাখি বাকি
সব পলাশ কি এক বসন্তেই হবে লাল
কিছু পলাশ দিক না, এই বসন্তে ফাঁকি!
আঁচড়
আয়নার কাঁচে ধুলো পড়েছিল
পরিস্কার করতে গিয়ে
কাঁচে পড়ল আঁচড়
এখন মুখ দেখতে গেলে আঁচড়ের দাগটাও দেখি
দেখতেই হয়
বুকের ভিতর প্রতিবারই চিনচিন করে ওঠে
বুঝতে পারি না কেন
ধূলোর জন্য না আঁচড়ের জন্য