আজ
সেদিন কেউ কেউ কাছে ডেকেছিল,
বেরোনোর দরজা পাইনি।
সেদিন থেকে হাতড়ে হাতড়ে পেলাম
একটা ছোট্ট সুড়ঙ্গ আজ
নিজেকে হেঁচড়ে হেঁচড়ে বাইরে আনলাম
কোথায় গেল ওরা,
যারা ডেকেছিল?
হাত
হাতটা ছেড়ে দাও,
হয়তো হাতটা ধরতে গিয়ে
অজান্তেই বেঁধে ফেলেছো,
হাতের চাপে।
এবার ছেড়ে দাও,
হাতের স্পর্শের সুখ
হাতের মোচড় হওয়ার
দুঃস্বপ্নের আগে।
তখন
তোমার আসার আগে বুঝতে পারি,
তুমি আসছো
তুমি যাওয়ার আগে বুঝতে পারি,
এবার বলবে, আসি
শুধু বুঝি না মাঝের সময়টা-
তখন আমি কোথায় থাকি?
বোধন
শুনিলাম কোনো বিজ্ঞানী
স্থির সিদ্ধান্তে আসিয়াছেন
সর্ব সমক্ষে ঘোষিয়াছেন-
ঈশ্বর নাই
আম জনতা দলে দলে
তাহারি পদতলে আসিতেছে
বলিতেছে গদগদ ভাষে-
হেন সত্য উদঘাটিলে
তবে তুমি তাই!
আঁচড়
আমার সারা বুক ক্ষত-বিক্ষত
তোমার চোখের আঁচড়ে
তবু আসি কেন জানো?
মরণ যে কাছ থেকে এত সুন্দর,
তোমায় না দেখলে জানতাম কি করে?
স্পর্ধা
দুটো শরীর ভীষণ কাছে এলো
মনকে ঠেলে সরালো।
অন্ধ ওরা দু'জনেই এখন
একে অপরকে হাতড়ে খুঁজছে-
খুঁড়ছে সন্দেহে
ক্ষত-বিক্ষত শরীর দুটোয়
শুধুই স্পর্ধা আজ।
কি হবে
এত ঔদ্ধত্য তোমার!
কি হবে-
যদি শেষরক্ষা না হয়!
চোখের জল না বুকের আগুন
কার কথা শুনবে সেদিন?
নাকি,
দীর্ঘশ্বাসকে দীর্ঘ করবে আরো-
যতদূর যায় ভাঙা অহঙ্কারের ছায়া?
তখনই
ছদ্মবেশ
কিছু সরল চোখ মিথ্যা বলতে পারে
কিছু সরল হাসি ছুরি লুকাতে পারে
কিছু মিথ্যা সত্য বলতে পারে
কিছু হাসি কান্না আনতে পারে
উপহার
আমার জন্য কি আনবে?
পারো যদি এনো-
এক মুঠো সময়।
সে হোক না গোধূলির মত রাঙা
কিম্বা নদীর কলকল শব্দের মত বিহ্বল
ভোরের মত স্নিগ্ধ
নতুবা তোমার চোখের মত চঞ্চল।