ভিক্ষুণী
প্রচণ্ড দাবদাহ
তাপ প্রবাহ চলছে আবহাওয়া দপ্তরের পরিভাষা অনুযায়ী
দুপুর দুটো। জনশূন্য রাস্তা।
ঘরের কাছে কান পাতলে টিভির আর পাখার আওয়াজ
বিকল্প
গুঞ্জন চলছে, এটা কি করে হতে পারে?
বিকাশের চায়ের দোকান। চালু দোকান।
অফিস পাড়ায় সকালের ভিড়।
পাশে ফাস্টফুডের দোকান – রেহমতের,
উত্তরপ্রদেশে বউ, দুই ছেলে, তিন মেয়ে
ছোটোছেলেটা এখানে এখন, ছুটিতে এসেছে
দোকানটা খোলে বেলায়
একদিন
সব জানাশোনারা
পাঁচিলের মত দাঁড়িয়ে
আগাম জানাশোনারা
গুহাপথের মত সামনে
একদিন এই জানাশোনার বাইরে যার পা পড়বে
সে আমি না
জানাশোনার বাইরে কেউ
এমন যদি হয়
এমন যদি হয়
বাজারে আনকোরা কিছু নেই আর তোমার জন্য
এমন কোনো
পাহাড়, নদী, ঝরণা, জঙ্গল, সমুদ্র নেই যা তুমি দেখোনি
অথবা এমন কোনো রতিসুখ নেই
যা তোমার অভিজ্ঞতার বাইরে
কি করবে সেদিন?
খোলামকুচি
সবাই বলল, খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল
এখনও বুঝলাম না
সময়, মৃত্যু, না জীবন
...
পালক
আগলে রাখতে চাইছিলাম
বিস্তৃত ডানায় পেলাম ভয়
ভালোবাসতেই তো চাই
আকাশকে বললাম,
ছেড়ে দিলাম
যা -
তোরই হল জিত
রোচক
মেয়েটা প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করত
কারখানায় যেতে
খারাপ পাড়ার পাশের গলিতেই যেতে হত
সবার ভাবতে শান্তি লাগত
মেয়েটা খারাপ পাড়াতেই কাজে যেত
কবির বিড়ম্বনা
সহস্র কণ্ঠে ধ্বনিত হল কবির গান। কবির ছড়া-কবিতা।
কোলাহল উঠল আকাশে বাতাসে
বুঝতে পারলাম না
বৃন্ত থেকে ঝরে যেতে যেতে
ফুলটা কি যেন বলে গেল
বুঝতে পারলাম না
ভাবতে ভাবতে ক্রমশ গাছ হলাম
কুঁড়ি ধরল। ফুল হল। ঝরে পড়ল।
বিনাবাক্যে ঝরে পড়ল
কেন,
কিছু বুঝতে পারলাম না
অপেক্ষায় থাকছি
আমি কখনও ত্রিভুজ
কখনও চতুর্ভুজ
কখনও বৃত্তের
ভিতর দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি