Skip to main content

দু'দিক

অহংকারের একদিকটা গরম, আরেকদিকটা ছুঁচালো। তুমি একদিকে, আমি একদিকে। তুমি বিঁধছ, আমি পুড়ছি।
অথচ দুজনেই জানি, চাইলেই একে সরিয়ে দেওয়া যায়। দিই না। নিজেদের মুখোমুখি হতে ভয়। সাধারণত্বের বিনয়, মিথ্যা অসাধারণত্বের মুখোশ। সেই মুখোশেই ভরসা।
জানি না তো, আসলে সত্যিই অসাধারণ কে? তুমি না তো?

 

আরশিনগর

হাতের কাছে কি একটা আছে। ছুঁতে চাইলেই ছুঁতে পারি। তবু যেন ছোঁয়ার যো নেই। কিসের যেন বাধা। না বুঝি কি আছে হাতের কাছে!

দরবারি কানাড়া

গভীর রাত। বাঁশিতে বাজল সুর - দরবারি কানাড়া। সুর উঠল কেঁপে কেঁপে চার দেওয়ালের মধ্যে মাথাকুটে। কে দেবে ওকে আগল খুলে? ও কাকে চায়? কার কান্না ওর বুকে এমন জমাট বেঁধে?

সত্য উত্তর

আমার সঙ্গে এরকম ঘটবে ভাবতেও পারিনি....শেষে আমার জন্য এই অপেক্ষা করছিল....আপনিই বলুন এটা হওয়া কি উচিৎ

বিশ্বাস

পথ চলতে সামনের দিকে কত সাবধানতা, কত সতর্কতা! কারণ আমার চোখদুটো সামনের দিকে করা।

একাকীত্ব

গভীর কোনো সংগীতই পারে একাকীত্ব থেকে চিত্তকে মুক্তি দিয়ে একা-র আনন্দ সাগরের তীরে নিয়ে আসতে।

টর্চ

টর্চটার একদিন খেয়াল হল। কি খেয়াল হল? না সে তার ব্যাটারীগুলোকে দেখবে। এদিকে ঘরে আর অন্য আলোও নেই। তো তা সে মানবে কেন? জোর করে সব ব্যাটারী বার করে টেবিলে রাখল। তারপর সে ব্যাটারীগুলো দেখবে বলে আলো জ্বালার চেষ্টা করতে লাগল, মানে নিজেকে জ্বালানোর আর কি! এখনো চেষ্টা করে চলেছে।

যেমন কেউ কেউ তাঁকে ভিতরে ছেড়ে বাইরে দেখার গোঁ ধরেছে।

নাবিক

বাসনাগুলোকে নাবিক করেছি। খালাসির কাজে ছিল ওরা। তাদের দিলাম নাবিকের ভার।

শীতের কম্বল


যে আলোতে নিজের, অন্যের ভিতরটা দেখা যায় তা হল অনুকম্পা। অন্যের দিকে ফিরলে অন্যকে দেখায়, নিজের মধ্যে ফিরলে নিজেকে চেনায়। না হলে, নিজের অহংকারের জুলুমে অন্যকেও মারি, নিজেও মরি। নিজের ভার লাঘব করলে অন্যের চলার পথে পাথর হই না, আর নিজের বুকের ওপর পাথর হয়ে বসি না। 

Subscribe to চিন্তন